alt

সম্পাদকীয়

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তার চালকের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না বলে জানা গেছে। যে বাসের চাপায় প্রকৌশলী মারা গেছেন সেটির ফিটনেস সনদের হদিস মেলেনি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশে অনেক আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। দুর্ঘটনায় সড়কে প্রাণ ঝরছে প্রতিদিনই। যানবাহনের ফিটনেস নিশ্চিত করা না হলে, চালকের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স নিশ্চিত করা না হলে দুর্ঘটনা কমবে কীভাবে। সড়ককে নিরাপদ করবার দায়িত্ব যাদের তারা যদি তৎপর না হন তাহলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে কীভাবে! নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে? মানুষ কি ট্রাফিক আইন মেনে চলছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।

দেশে অনেক গাড়িরই নেই ফিটনেস। চালকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, লাইসেন্স নিয়ে আছে প্রশ্ন। গতিসীমা না মানা, বিপজ্জনকভাবে ওভারটেকিং করা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো, অবৈধ পার্কিং প্রভৃতি অভিযোগ পাওয়া যায় পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। মাঝে মাঝে এসব অনিয়ম বন্ধে অভিযান চালানো হয়। তবে টেকসই কোনো সমাধান মেলে না।

সড়ক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দেশে আইন আছে। সড়ক সংক্রান্ত এ পর্যন্ত অনেক সুপারিশ পাওয়া গেছে, নেয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেসব কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। আদালত নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সড়কে এত দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ কেন করা যাচ্ছে না, সমস্যাটা কোথায় সেটা সরকার বলুক।

অভিযোগ রয়েছে, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। যে কারণে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় শক্ত কোনো আইন করা যায় না, আইন করলেও তা সংশোধন করে আরও দুর্বল করা হয়। সেই আইনও কি পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা মেনে চলে? অভিযোগ রয়েছে, তারা কোনো আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না। কারণ তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। সরকারের ভেতরে থেকেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে। তাদের চাপের কাছে সরকারকে বারবারই নতি স্বীকার করতে হয়। আইন মানা না হলে, আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করা হলে দেশে যে প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ ঝরবে সেটাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হচ্ছে, আইন যদি বাস্তবায়নই করা না হবে তাহলে সেটা প্রণয়ন করার কী প্রয়োজন।

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

tab

সম্পাদকীয়

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তার চালকের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না বলে জানা গেছে। যে বাসের চাপায় প্রকৌশলী মারা গেছেন সেটির ফিটনেস সনদের হদিস মেলেনি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশে অনেক আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। দুর্ঘটনায় সড়কে প্রাণ ঝরছে প্রতিদিনই। যানবাহনের ফিটনেস নিশ্চিত করা না হলে, চালকের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স নিশ্চিত করা না হলে দুর্ঘটনা কমবে কীভাবে। সড়ককে নিরাপদ করবার দায়িত্ব যাদের তারা যদি তৎপর না হন তাহলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে কীভাবে! নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে? মানুষ কি ট্রাফিক আইন মেনে চলছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।

দেশে অনেক গাড়িরই নেই ফিটনেস। চালকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, লাইসেন্স নিয়ে আছে প্রশ্ন। গতিসীমা না মানা, বিপজ্জনকভাবে ওভারটেকিং করা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো, অবৈধ পার্কিং প্রভৃতি অভিযোগ পাওয়া যায় পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। মাঝে মাঝে এসব অনিয়ম বন্ধে অভিযান চালানো হয়। তবে টেকসই কোনো সমাধান মেলে না।

সড়ক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দেশে আইন আছে। সড়ক সংক্রান্ত এ পর্যন্ত অনেক সুপারিশ পাওয়া গেছে, নেয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেসব কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। আদালত নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সড়কে এত দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ কেন করা যাচ্ছে না, সমস্যাটা কোথায় সেটা সরকার বলুক।

অভিযোগ রয়েছে, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। যে কারণে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় শক্ত কোনো আইন করা যায় না, আইন করলেও তা সংশোধন করে আরও দুর্বল করা হয়। সেই আইনও কি পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা মেনে চলে? অভিযোগ রয়েছে, তারা কোনো আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না। কারণ তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। সরকারের ভেতরে থেকেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে। তাদের চাপের কাছে সরকারকে বারবারই নতি স্বীকার করতে হয়। আইন মানা না হলে, আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করা হলে দেশে যে প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ ঝরবে সেটাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হচ্ছে, আইন যদি বাস্তবায়নই করা না হবে তাহলে সেটা প্রণয়ন করার কী প্রয়োজন।

back to top