টাঙ্গাইলের সন্তোষে জলাশয় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জলাশয় দখলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জলাশয় প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য টিকে থাকার জন্য এগুলো প্রয়োজন। দেশের শহর ও গ্রামীণ জনপদে পর্যাপ্তসংখ্যক খালবিল, নদ-নদী থাকলে জলবায়ুর তারতম্য বজায় থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এই জলাশয়গুলো প্রাণিকুলকে রক্ষা করে। বৈশ্বিক জলবায়ুর তারতম্যে সারা বিশ্বে পানি-সংকট ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আর এ সংকট আমাদের দেশেও দেখা দিচ্ছে।
শুধু টাঙ্গাইলেই নয়, দেশে অসংখ্য খালবিল, নদ-নদী, জলাশয় মানুষের দখলদারিত্বের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শহর ও প্রান্তিক জনপদে দখল-দূষণে অনেক জলাশয় ধুঁকছে। এসব খবরই প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সাধারণত দেখা যায় যে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি অংশ জলাশয় দখলের মতো অন্যায় অপকর্মে জড়িত থাকে। প্রভাবশালীরা ক্ষমতার জোরে বা কখনো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর-খাল-বিল দখল করে। শুধু দখল করেই তারা ক্ষান্ত হয় না। সেখানে ইচ্ছামতো স্থাপনা তৈরি করে। হীন স্বার্থে দেয়া বাঁধের কারণে কারও কোনো ক্ষতি হলো কিনা সেটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জলাশয় রক্ষায় কী ভূমিকা পালন করে। কারও দখলদারিত্ব বা স্বেচ্ছাচারের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার কোনো প্রতিকার আছে কিনা? নাকি প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে চলবেন আর সাধারণ মানুষকে মুখ বুজে সহ্য করতে হবে?
দেশে আইন আছে। খাল-বিল বা জলাশয় ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কেউ চাইলেই তার ইচ্ছামতো কোনো জলাশয় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। আমরা বলতে চাই, টাঙ্গাইলে জলাশয় দখল করার যে অভিযোগ উঠেছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ-প্রকৃতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
টাঙ্গাইলের সন্তোষে জলাশয় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জলাশয় দখলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জলাশয় প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য টিকে থাকার জন্য এগুলো প্রয়োজন। দেশের শহর ও গ্রামীণ জনপদে পর্যাপ্তসংখ্যক খালবিল, নদ-নদী থাকলে জলবায়ুর তারতম্য বজায় থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এই জলাশয়গুলো প্রাণিকুলকে রক্ষা করে। বৈশ্বিক জলবায়ুর তারতম্যে সারা বিশ্বে পানি-সংকট ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আর এ সংকট আমাদের দেশেও দেখা দিচ্ছে।
শুধু টাঙ্গাইলেই নয়, দেশে অসংখ্য খালবিল, নদ-নদী, জলাশয় মানুষের দখলদারিত্বের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শহর ও প্রান্তিক জনপদে দখল-দূষণে অনেক জলাশয় ধুঁকছে। এসব খবরই প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সাধারণত দেখা যায় যে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি অংশ জলাশয় দখলের মতো অন্যায় অপকর্মে জড়িত থাকে। প্রভাবশালীরা ক্ষমতার জোরে বা কখনো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর-খাল-বিল দখল করে। শুধু দখল করেই তারা ক্ষান্ত হয় না। সেখানে ইচ্ছামতো স্থাপনা তৈরি করে। হীন স্বার্থে দেয়া বাঁধের কারণে কারও কোনো ক্ষতি হলো কিনা সেটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জলাশয় রক্ষায় কী ভূমিকা পালন করে। কারও দখলদারিত্ব বা স্বেচ্ছাচারের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার কোনো প্রতিকার আছে কিনা? নাকি প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে চলবেন আর সাধারণ মানুষকে মুখ বুজে সহ্য করতে হবে?
দেশে আইন আছে। খাল-বিল বা জলাশয় ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কেউ চাইলেই তার ইচ্ছামতো কোনো জলাশয় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। আমরা বলতে চাই, টাঙ্গাইলে জলাশয় দখল করার যে অভিযোগ উঠেছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ-প্রকৃতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।