alt

সম্পাদকীয়

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাঙ্গাইলের সন্তোষে জলাশয় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জলাশয় দখলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জলাশয় প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য টিকে থাকার জন্য এগুলো প্রয়োজন। দেশের শহর ও গ্রামীণ জনপদে পর্যাপ্তসংখ্যক খালবিল, নদ-নদী থাকলে জলবায়ুর তারতম্য বজায় থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এই জলাশয়গুলো প্রাণিকুলকে রক্ষা করে। বৈশ্বিক জলবায়ুর তারতম্যে সারা বিশ্বে পানি-সংকট ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আর এ সংকট আমাদের দেশেও দেখা দিচ্ছে।

শুধু টাঙ্গাইলেই নয়, দেশে অসংখ্য খালবিল, নদ-নদী, জলাশয় মানুষের দখলদারিত্বের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শহর ও প্রান্তিক জনপদে দখল-দূষণে অনেক জলাশয় ধুঁকছে। এসব খবরই প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সাধারণত দেখা যায় যে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি অংশ জলাশয় দখলের মতো অন্যায় অপকর্মে জড়িত থাকে। প্রভাবশালীরা ক্ষমতার জোরে বা কখনো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর-খাল-বিল দখল করে। শুধু দখল করেই তারা ক্ষান্ত হয় না। সেখানে ইচ্ছামতো স্থাপনা তৈরি করে। হীন স্বার্থে দেয়া বাঁধের কারণে কারও কোনো ক্ষতি হলো কিনা সেটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।

প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জলাশয় রক্ষায় কী ভূমিকা পালন করে। কারও দখলদারিত্ব বা স্বেচ্ছাচারের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার কোনো প্রতিকার আছে কিনা? নাকি প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে চলবেন আর সাধারণ মানুষকে মুখ বুজে সহ্য করতে হবে?

দেশে আইন আছে। খাল-বিল বা জলাশয় ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কেউ চাইলেই তার ইচ্ছামতো কোনো জলাশয় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। আমরা বলতে চাই, টাঙ্গাইলে জলাশয় দখল করার যে অভিযোগ উঠেছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ-প্রকৃতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

tab

সম্পাদকীয়

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাঙ্গাইলের সন্তোষে জলাশয় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জলাশয় দখলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জলাশয় প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য টিকে থাকার জন্য এগুলো প্রয়োজন। দেশের শহর ও গ্রামীণ জনপদে পর্যাপ্তসংখ্যক খালবিল, নদ-নদী থাকলে জলবায়ুর তারতম্য বজায় থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এই জলাশয়গুলো প্রাণিকুলকে রক্ষা করে। বৈশ্বিক জলবায়ুর তারতম্যে সারা বিশ্বে পানি-সংকট ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আর এ সংকট আমাদের দেশেও দেখা দিচ্ছে।

শুধু টাঙ্গাইলেই নয়, দেশে অসংখ্য খালবিল, নদ-নদী, জলাশয় মানুষের দখলদারিত্বের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শহর ও প্রান্তিক জনপদে দখল-দূষণে অনেক জলাশয় ধুঁকছে। এসব খবরই প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সাধারণত দেখা যায় যে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি অংশ জলাশয় দখলের মতো অন্যায় অপকর্মে জড়িত থাকে। প্রভাবশালীরা ক্ষমতার জোরে বা কখনো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর-খাল-বিল দখল করে। শুধু দখল করেই তারা ক্ষান্ত হয় না। সেখানে ইচ্ছামতো স্থাপনা তৈরি করে। হীন স্বার্থে দেয়া বাঁধের কারণে কারও কোনো ক্ষতি হলো কিনা সেটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।

প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জলাশয় রক্ষায় কী ভূমিকা পালন করে। কারও দখলদারিত্ব বা স্বেচ্ছাচারের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার কোনো প্রতিকার আছে কিনা? নাকি প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে চলবেন আর সাধারণ মানুষকে মুখ বুজে সহ্য করতে হবে?

দেশে আইন আছে। খাল-বিল বা জলাশয় ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কেউ চাইলেই তার ইচ্ছামতো কোনো জলাশয় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। আমরা বলতে চাই, টাঙ্গাইলে জলাশয় দখল করার যে অভিযোগ উঠেছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ-প্রকৃতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top