দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামীতে আরও হবে। এমনও দেখা গেছে যেখানে সেতু নির্মাণের প্রয়োজন নেই, সেখানে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষ সেই সেতু ব্যবহার করে না বলে নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। আবার জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক জায়গায় একটি সেতুর জন্য যুগের পর যুগ ধরে সেখানকার মানুষ দাবি করে এলেও তারা আজও সেতু পায়নি।
এক্ষেত্রে টাঙ্গাইলের সখীপুর এলাকার মানুষের আহাজারির কথাই বলা যায়। সেখানে বংশাই নদীর বড়ই ঘাটের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরনা দিচ্ছে তারা। বিভিন্ন সময় আশ্বাস মিলেছে কিন্তু সেতু আর আলোর মুখ দেখছে না।
সেতু না থাকায় নদীর দুই পাড়ের লক্ষাধিক মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এলাকার বাসিন্দারা বড়ই ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।
বংশাই নদীর দুই তীরে গিলাবাড়ী, সুর্না, বার্থা, দাড়িয়াপুর, আকন্দপাড়া ও আবাদি বাজার এলাকার মানুষ শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়েই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারে। আর যখন বর্ষা মৌসুম শুরু হয়, তখন ভরসা নৌকা। সেতু না থাকায় মানুষের প্রয়োজনে সময়মতো শহরে আসতে পারে না। উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের নানান ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়। চাষাবাদের সব কাজে তাদের বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
প্রতি বছর এখানে দুটি মেলা বসে। তখন লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। এতে এলাকার মানুষের আয়-উপার্জনের পথ সৃষ্টি হয় কিন্তু সেদিক থেকেও তারা বঞ্চিত হয় শুধু একটি সেতু না থাকার কারণে।
বংশাই নদীর বড়ইতলা ঘাটে সেতু হলে এখানকার মানুষের জীবনজীবিকা অনেকটা পাল্টে যেত। হাট-বাজারে পণ্য বেচাকেনা, চিকিৎসাসহ নানা সুবিধা ভোগ করত। কথা হচ্ছে, দেশে এত এত উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। তাহলে সখীপুরের জনগণইবা কেন উন্নয়নবঞ্চিত হবে। সব এলাকার সমানভাবে উন্নয়ন করা হলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে।
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামীতে আরও হবে। এমনও দেখা গেছে যেখানে সেতু নির্মাণের প্রয়োজন নেই, সেখানে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষ সেই সেতু ব্যবহার করে না বলে নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। আবার জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক জায়গায় একটি সেতুর জন্য যুগের পর যুগ ধরে সেখানকার মানুষ দাবি করে এলেও তারা আজও সেতু পায়নি।
এক্ষেত্রে টাঙ্গাইলের সখীপুর এলাকার মানুষের আহাজারির কথাই বলা যায়। সেখানে বংশাই নদীর বড়ই ঘাটের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরনা দিচ্ছে তারা। বিভিন্ন সময় আশ্বাস মিলেছে কিন্তু সেতু আর আলোর মুখ দেখছে না।
সেতু না থাকায় নদীর দুই পাড়ের লক্ষাধিক মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এলাকার বাসিন্দারা বড়ই ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।
বংশাই নদীর দুই তীরে গিলাবাড়ী, সুর্না, বার্থা, দাড়িয়াপুর, আকন্দপাড়া ও আবাদি বাজার এলাকার মানুষ শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়েই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারে। আর যখন বর্ষা মৌসুম শুরু হয়, তখন ভরসা নৌকা। সেতু না থাকায় মানুষের প্রয়োজনে সময়মতো শহরে আসতে পারে না। উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের নানান ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়। চাষাবাদের সব কাজে তাদের বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
প্রতি বছর এখানে দুটি মেলা বসে। তখন লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। এতে এলাকার মানুষের আয়-উপার্জনের পথ সৃষ্টি হয় কিন্তু সেদিক থেকেও তারা বঞ্চিত হয় শুধু একটি সেতু না থাকার কারণে।
বংশাই নদীর বড়ইতলা ঘাটে সেতু হলে এখানকার মানুষের জীবনজীবিকা অনেকটা পাল্টে যেত। হাট-বাজারে পণ্য বেচাকেনা, চিকিৎসাসহ নানা সুবিধা ভোগ করত। কথা হচ্ছে, দেশে এত এত উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। তাহলে সখীপুরের জনগণইবা কেন উন্নয়নবঞ্চিত হবে। সব এলাকার সমানভাবে উন্নয়ন করা হলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে।