alt

সম্পাদকীয়

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ ও সুন্দরবন অভ্যন্তরের নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। বালু বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত একটি চক্র এই কাজ করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চক্রটি বালু বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালু তোলার কারণে নদী তীরবর্তী বাঁধ ও সুন্দরবনের পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খুলনায় নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো নদী, ফসলিজমি বা খাল থেকে বালু তোলার অনুমতি নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু যে একটি জেলার দু-একটি নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। দেশে এমন আরও অনেক নদ-নদী আছে যেখান থেকে প্রভাবশালীরা নির্বিচারে বালু তুলছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, নির্বিচারে বালু তোলার প্রভাবে ভাঙছে নদীর পাড়। বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি।

নদী থেকেও বালু তোলা যায়। তবে সেটার জন্য আইন রয়েছে। কেউ যদি আইন অমান্য করে বালু তোলে তাহলে সেটি হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, বেআইনিভাবে সরকারি বা বেসরকারি ভূমি, নদীর পাড়, তলদেশ ইত্যাদি থেকে যদি বালু উত্তোলন করলে (কোন ক্ষতি হোক বা না হোক) তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আইন অমান্য করে বালু তোলা হলে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ- হতে পারে।

প্রশ্ন হচ্ছে, খুলনায় বালু তোলার ক্ষেত্রে এই আইন মানা হচ্ছে কিনা। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইন প্রয়োগের জন্য কী করছে সেটাও আমরা জানতে চাইব। বেআইনিভাবে বালু তোলা বন্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তা ফলপ্রসূ হয় না। এর কারণ কী সেটা জানা দরকার।

আমরা বলতে চাই, বেআইনিভাবে বালু তোলা যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। যারাই আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন বাছবিচার কাম্য নয়। বালু তুলতে হলে অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে।

সরকারি সম্পদের অপব্যবহার নয়

সার সংকটের অভিযোগ আমলে নিন

জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করুন

তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ টেকসইভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে

ফুটপাত দখলমুক্ত হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের মনোবল ফেরানো জরুরি

মৌসুমি অসুখ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

মেলা আয়োজনে বাধা কেন

এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি সফল হোক

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

tab

সম্পাদকীয়

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ ও সুন্দরবন অভ্যন্তরের নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। বালু বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত একটি চক্র এই কাজ করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চক্রটি বালু বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালু তোলার কারণে নদী তীরবর্তী বাঁধ ও সুন্দরবনের পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খুলনায় নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো নদী, ফসলিজমি বা খাল থেকে বালু তোলার অনুমতি নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু যে একটি জেলার দু-একটি নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। দেশে এমন আরও অনেক নদ-নদী আছে যেখান থেকে প্রভাবশালীরা নির্বিচারে বালু তুলছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, নির্বিচারে বালু তোলার প্রভাবে ভাঙছে নদীর পাড়। বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি।

নদী থেকেও বালু তোলা যায়। তবে সেটার জন্য আইন রয়েছে। কেউ যদি আইন অমান্য করে বালু তোলে তাহলে সেটি হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, বেআইনিভাবে সরকারি বা বেসরকারি ভূমি, নদীর পাড়, তলদেশ ইত্যাদি থেকে যদি বালু উত্তোলন করলে (কোন ক্ষতি হোক বা না হোক) তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আইন অমান্য করে বালু তোলা হলে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ- হতে পারে।

প্রশ্ন হচ্ছে, খুলনায় বালু তোলার ক্ষেত্রে এই আইন মানা হচ্ছে কিনা। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইন প্রয়োগের জন্য কী করছে সেটাও আমরা জানতে চাইব। বেআইনিভাবে বালু তোলা বন্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তা ফলপ্রসূ হয় না। এর কারণ কী সেটা জানা দরকার।

আমরা বলতে চাই, বেআইনিভাবে বালু তোলা যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। যারাই আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন বাছবিচার কাম্য নয়। বালু তুলতে হলে অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে।

back to top