খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ ও সুন্দরবন অভ্যন্তরের নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। বালু বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত একটি চক্র এই কাজ করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চক্রটি বালু বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালু তোলার কারণে নদী তীরবর্তী বাঁধ ও সুন্দরবনের পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খুলনায় নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো নদী, ফসলিজমি বা খাল থেকে বালু তোলার অনুমতি নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুধু যে একটি জেলার দু-একটি নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। দেশে এমন আরও অনেক নদ-নদী আছে যেখান থেকে প্রভাবশালীরা নির্বিচারে বালু তুলছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, নির্বিচারে বালু তোলার প্রভাবে ভাঙছে নদীর পাড়। বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি।
নদী থেকেও বালু তোলা যায়। তবে সেটার জন্য আইন রয়েছে। কেউ যদি আইন অমান্য করে বালু তোলে তাহলে সেটি হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, বেআইনিভাবে সরকারি বা বেসরকারি ভূমি, নদীর পাড়, তলদেশ ইত্যাদি থেকে যদি বালু উত্তোলন করলে (কোন ক্ষতি হোক বা না হোক) তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আইন অমান্য করে বালু তোলা হলে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ- হতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে, খুলনায় বালু তোলার ক্ষেত্রে এই আইন মানা হচ্ছে কিনা। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইন প্রয়োগের জন্য কী করছে সেটাও আমরা জানতে চাইব। বেআইনিভাবে বালু তোলা বন্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তা ফলপ্রসূ হয় না। এর কারণ কী সেটা জানা দরকার।
আমরা বলতে চাই, বেআইনিভাবে বালু তোলা যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। যারাই আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন বাছবিচার কাম্য নয়। বালু তুলতে হলে অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে।
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ ও সুন্দরবন অভ্যন্তরের নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। বালু বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত একটি চক্র এই কাজ করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চক্রটি বালু বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালু তোলার কারণে নদী তীরবর্তী বাঁধ ও সুন্দরবনের পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খুলনায় নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো নদী, ফসলিজমি বা খাল থেকে বালু তোলার অনুমতি নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুধু যে একটি জেলার দু-একটি নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। দেশে এমন আরও অনেক নদ-নদী আছে যেখান থেকে প্রভাবশালীরা নির্বিচারে বালু তুলছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, নির্বিচারে বালু তোলার প্রভাবে ভাঙছে নদীর পাড়। বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি।
নদী থেকেও বালু তোলা যায়। তবে সেটার জন্য আইন রয়েছে। কেউ যদি আইন অমান্য করে বালু তোলে তাহলে সেটি হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, বেআইনিভাবে সরকারি বা বেসরকারি ভূমি, নদীর পাড়, তলদেশ ইত্যাদি থেকে যদি বালু উত্তোলন করলে (কোন ক্ষতি হোক বা না হোক) তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আইন অমান্য করে বালু তোলা হলে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ- হতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে, খুলনায় বালু তোলার ক্ষেত্রে এই আইন মানা হচ্ছে কিনা। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইন প্রয়োগের জন্য কী করছে সেটাও আমরা জানতে চাইব। বেআইনিভাবে বালু তোলা বন্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তা ফলপ্রসূ হয় না। এর কারণ কী সেটা জানা দরকার।
আমরা বলতে চাই, বেআইনিভাবে বালু তোলা যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। যারাই আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন বাছবিচার কাম্য নয়। বালু তুলতে হলে অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে।