দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় কোন না কোন মানুষের জীবনে করুণ পরিণতি ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যানবাহনের বেপরোয়া গতি। বেপরোয়া গতির কারণে সড়ক-মহাসড়কে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহনের গতি বেশি হলে দুর্ঘটনায় আঘাতের মাত্রাও তীব্র হয়। দেশের সড়ক-মহাসড়কে কোন ধরনের যানবাহন কত গতিতে চলবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত রোববার ‘মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করেছে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে সেটা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে এবং সার্ভিস লেইন ছাড়া চার বা ছয় লেইনের জাতীয় মহাসড়কে প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাস চলতে পারবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে। মোটরসাইকেল ও ট্রাকের গতিসীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিন চাকার যানবাহন।
সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে সেটা ভালো। এখন জরুরি হচ্ছে বেঁধে দেয়া গতিসীমা কার্যকর করা। কোনো যানবাহন গতিসীমা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে শুধু গতিসীমা বেঁধে দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটা একটা প্রশ্ন। সড়ক-মহাসড়কে চলা অনেক গাড়িরই নেই ফিটনেস। চালকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, লাইসেন্স নিয়ে আছে প্রশ্ন। বিপজ্জনকভাবে ওভারটেকিং করা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো, অবৈধ পার্কিং প্রভৃতি অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা মনে করি, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে এসব সমস্যারও টেকসই সমাধান হওয়া জরুরি।
মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রশ্নে শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করা বা আইন করাই যথেষ্ট নয়। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। না হয় পরিস্থিতির উন্নতি হবে না, সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে না। অভিযোগ আছে, সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী তিন চাকার যানবাহন ও নানান অবৈধ যানবাহন থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা ও মাসোহারা পেয়ে থাকে। এজন্য সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। এ অভিযোগের সুরাহা হওয়া দরকার।
শনিবার, ১১ মে ২০২৪
দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় কোন না কোন মানুষের জীবনে করুণ পরিণতি ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যানবাহনের বেপরোয়া গতি। বেপরোয়া গতির কারণে সড়ক-মহাসড়কে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহনের গতি বেশি হলে দুর্ঘটনায় আঘাতের মাত্রাও তীব্র হয়। দেশের সড়ক-মহাসড়কে কোন ধরনের যানবাহন কত গতিতে চলবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত রোববার ‘মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করেছে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে সেটা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে এবং সার্ভিস লেইন ছাড়া চার বা ছয় লেইনের জাতীয় মহাসড়কে প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাস চলতে পারবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে। মোটরসাইকেল ও ট্রাকের গতিসীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিন চাকার যানবাহন।
সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে সেটা ভালো। এখন জরুরি হচ্ছে বেঁধে দেয়া গতিসীমা কার্যকর করা। কোনো যানবাহন গতিসীমা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে শুধু গতিসীমা বেঁধে দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটা একটা প্রশ্ন। সড়ক-মহাসড়কে চলা অনেক গাড়িরই নেই ফিটনেস। চালকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, লাইসেন্স নিয়ে আছে প্রশ্ন। বিপজ্জনকভাবে ওভারটেকিং করা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো, অবৈধ পার্কিং প্রভৃতি অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা মনে করি, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে এসব সমস্যারও টেকসই সমাধান হওয়া জরুরি।
মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রশ্নে শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করা বা আইন করাই যথেষ্ট নয়। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। না হয় পরিস্থিতির উন্নতি হবে না, সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে না। অভিযোগ আছে, সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী তিন চাকার যানবাহন ও নানান অবৈধ যানবাহন থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা ও মাসোহারা পেয়ে থাকে। এজন্য সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। এ অভিযোগের সুরাহা হওয়া দরকার।