টাঙ্গাইলের কালীহাতির পাইকপাড়ার খরশিলা সড়কে পাঁচ বছর আগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৯ সালে খরশিলা সড়কে ২৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট উঁচু এ সেতুটি নির্মাণ করেছিল। সেতু নির্মাণ করা হলেও দু’পাশের সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায় মানুষ সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে এলাকার জনগণের দুর্ভোও বাড়ছে।
সেতুর সংযোগ সড়কটি তিন যুগ ধরে মানুষের ব্যবহার অনুপোযোগী। সড়কটি সংস্কারেরও প্রশাসন কালক্ষেপণ করছে। এতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর দায় ওর ঘাড়ে, ওর দায় এর ঘাড়ে চাপিয়েই কালক্ষেপণ করছেন। শুধু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই সেতুটি আজও চালু হয়নি বলে অভিযোগ করেছে এলাকার জনগণ। তারা দ্রুত সেতুর সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।
সেতুর দুদিকে খরশিলা ও রোয়াইল গ্রাম। সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায়, এ দুটি গ্রামের হাজারো মানুষকে যারপরনাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতেও কষ্ট হচ্ছে। মানুষ নিত্যদিনে জিনিস কিনতে হাট-বাজারেও যেতে পারছে না। জেলা এবং উপজেলায় যেতে হলে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার নতুন পথ সৃষ্টি হবে। শহরের দূরুত্ব কমে আসবে দুই কিলোমিটার। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকার জনগণ সেতু পেয়েছে ঠিকই কিন্তু সেতুর রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ সড়ক না থাকলে সেতু দিয়ে মানুষ কী করবে, এ প্রশ্ন এসে যায়। সেতুর ঠিকাদারেরও কোনো হদিস নেয়। আবার প্রকল্প কর্মকর্তাও নতুন যোগদান করেছেন বলে দায় এড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যান বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাজ এটি। সংসদ সদস্যও বারবার ‘ঠিক করা হবে’ বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন পার হবে? এলাকার মানুষ কি বছরের পর বছর ধরে সেতুর সুবিধা বঞ্চিতই থেকেই যাবে? শুধু দায় চাপিয়ে ও আশ্বাস দিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
শনিবার, ১১ মে ২০২৪
টাঙ্গাইলের কালীহাতির পাইকপাড়ার খরশিলা সড়কে পাঁচ বছর আগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৯ সালে খরশিলা সড়কে ২৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট উঁচু এ সেতুটি নির্মাণ করেছিল। সেতু নির্মাণ করা হলেও দু’পাশের সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায় মানুষ সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে এলাকার জনগণের দুর্ভোও বাড়ছে।
সেতুর সংযোগ সড়কটি তিন যুগ ধরে মানুষের ব্যবহার অনুপোযোগী। সড়কটি সংস্কারেরও প্রশাসন কালক্ষেপণ করছে। এতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর দায় ওর ঘাড়ে, ওর দায় এর ঘাড়ে চাপিয়েই কালক্ষেপণ করছেন। শুধু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই সেতুটি আজও চালু হয়নি বলে অভিযোগ করেছে এলাকার জনগণ। তারা দ্রুত সেতুর সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।
সেতুর দুদিকে খরশিলা ও রোয়াইল গ্রাম। সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায়, এ দুটি গ্রামের হাজারো মানুষকে যারপরনাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতেও কষ্ট হচ্ছে। মানুষ নিত্যদিনে জিনিস কিনতে হাট-বাজারেও যেতে পারছে না। জেলা এবং উপজেলায় যেতে হলে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার নতুন পথ সৃষ্টি হবে। শহরের দূরুত্ব কমে আসবে দুই কিলোমিটার। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকার জনগণ সেতু পেয়েছে ঠিকই কিন্তু সেতুর রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ সড়ক না থাকলে সেতু দিয়ে মানুষ কী করবে, এ প্রশ্ন এসে যায়। সেতুর ঠিকাদারেরও কোনো হদিস নেয়। আবার প্রকল্প কর্মকর্তাও নতুন যোগদান করেছেন বলে দায় এড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যান বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাজ এটি। সংসদ সদস্যও বারবার ‘ঠিক করা হবে’ বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন পার হবে? এলাকার মানুষ কি বছরের পর বছর ধরে সেতুর সুবিধা বঞ্চিতই থেকেই যাবে? শুধু দায় চাপিয়ে ও আশ্বাস দিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।