alt

সম্পাদকীয়

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

: মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪। গত বছর ৮১ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছিল। এ বছরের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেড়েছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার ২২০ শিক্ষার্থী। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী।

প্রকাশিত ফল থেকে জানা যায়, মেয়ে শিক্ষার্থীরা ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল অর্জন করেছে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন আর বাকি ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ছেলে শিক্ষার্থী।

গতবার এসএসসি পরীক্ষার ফল তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়েছিল। করোনার সময় লেখাপড়ায় যে ক্ষতি হয়েছে সেটা কাটিয়ে উঠতে না পাড়ার কারণে সেবার ফল খারাপ হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গণিতে অনেক শিক্ষার্থী খারাপ করেছিল। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল খারাপ হওয়ায় সামগ্রিক ফলের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। গতবারের তুলনায় এবার ইংরেজি ও অঙ্কে ভালো ফল করেছে শিক্ষার্থীরা। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক ফলে।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই। তবে পরক্ষীয় অনেকেই কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে পারেনি। যারা কোন কারণে কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে পারেনি তাদের হতাশ হলে চলবে না। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদরেকে আগামীর পথ চলতে হবে। আগামীতে ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের আগামীতে আরও ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।

জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের এই অর্জন আমাদের আনন্দিত করে। যথাযথ সুযোগ পেলে, সমর্থন দিলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে মেয়েরাও সব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে। পাশাপাশি ছেলেদের আরও উন্নতির প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ছেলেদের পিছিয়ে পড়ার কারণগুলো কী সেটা সংশ্লিষ্ট গবেষকরা খুঁজে বের করবেন, সেই অনুযায়ী নীতিনির্ধারকরা ব্যবস্থা নেবেন সেই প্রত্যাশা করি।

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

tab

সম্পাদকীয়

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪। গত বছর ৮১ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছিল। এ বছরের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেড়েছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার ২২০ শিক্ষার্থী। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী।

প্রকাশিত ফল থেকে জানা যায়, মেয়ে শিক্ষার্থীরা ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল অর্জন করেছে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন আর বাকি ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ছেলে শিক্ষার্থী।

গতবার এসএসসি পরীক্ষার ফল তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়েছিল। করোনার সময় লেখাপড়ায় যে ক্ষতি হয়েছে সেটা কাটিয়ে উঠতে না পাড়ার কারণে সেবার ফল খারাপ হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গণিতে অনেক শিক্ষার্থী খারাপ করেছিল। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল খারাপ হওয়ায় সামগ্রিক ফলের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। গতবারের তুলনায় এবার ইংরেজি ও অঙ্কে ভালো ফল করেছে শিক্ষার্থীরা। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক ফলে।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই। তবে পরক্ষীয় অনেকেই কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে পারেনি। যারা কোন কারণে কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে পারেনি তাদের হতাশ হলে চলবে না। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদরেকে আগামীর পথ চলতে হবে। আগামীতে ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের আগামীতে আরও ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।

জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের এই অর্জন আমাদের আনন্দিত করে। যথাযথ সুযোগ পেলে, সমর্থন দিলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে মেয়েরাও সব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে। পাশাপাশি ছেলেদের আরও উন্নতির প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ছেলেদের পিছিয়ে পড়ার কারণগুলো কী সেটা সংশ্লিষ্ট গবেষকরা খুঁজে বের করবেন, সেই অনুযায়ী নীতিনির্ধারকরা ব্যবস্থা নেবেন সেই প্রত্যাশা করি।

back to top