চাঁদপুরের মতলবে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে ধনাগোদা নদী। কচুরিপানা আর জলজ উদ্ভিদ জন্মেছে নদীতে। একে আর নদী বলে চেনা দায়, মনে হয় বদ্ধ জলাশয়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় নদীর পানি প্রবাহ বিঘিœত হচ্ছে। যে নদীতে এক সময় লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযান চলত সেই নদী এখন নৌ যোগাযোগের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এক সময় দেড় হাজারের মতো নদী ছিল দেশে। নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের দখল ও দূষণে বেশিরভাগ নদ-নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে নদী মারা যাচ্ছে। অনেকে প্রত্যক্ষ দখলের মাধ্যমে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করছে। কেউবা নদীতে নানাবিধ বর্জ্য ফেলে দূষণের মাধ্যমে নদীকে ভাগাড়ে পরিণত করছে। এ কারণে নদী তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষকে আত্মঘাতী এ প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।
নদী হলো সব জীবনের উৎস। তাই সামগ্রিকভাবে নদী হচ্ছে জীবনের প্রধান আধার। দেশের নদ-নদী রক্ষা করার বিকল্প নেই। তবে সরকারের একার পক্ষে এত নদ-নদী রক্ষা করা সম্ভব হবে না। দেশের নদ-নদীগুলো রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। নদ-নদী রক্ষা করতে মানুষের ভেতরে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। প্রশাসন ও নাগরিকদের নদী রক্ষা পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে নদ-নদীগুলো রক্ষা পাবে।
ধনাগোদা নদী সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল। আমরা আশা করব, চাঁদপুরের নদীটি দ্রুত সংস্কার করা হবে। সংস্কার করা হলে নদীটি রক্ষা পাবে। পাশাপাশি স্থানীয় যোগাযোগ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি হবে। নদীর ওপর নির্ভরশীল কৃষি ও মৎস্যজীবীসহ নদীপাড়ের সব বাসিন্দা উপকৃত হবেন।
নদ-নদী সংস্কার করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। সংস্কার করার পর নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। কেউ যেন নদ-নদীর জায়গা দখল করতে না পারে সেটা দেখভাল করতে হবে। নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। অনেক সময় নদ-নদী খনন করা হলেও শুধু নজরদারির অভাবে আবার দূষিত হয় কিংবা দখল হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
চাঁদপুরের মতলবে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে ধনাগোদা নদী। কচুরিপানা আর জলজ উদ্ভিদ জন্মেছে নদীতে। একে আর নদী বলে চেনা দায়, মনে হয় বদ্ধ জলাশয়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় নদীর পানি প্রবাহ বিঘিœত হচ্ছে। যে নদীতে এক সময় লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযান চলত সেই নদী এখন নৌ যোগাযোগের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এক সময় দেড় হাজারের মতো নদী ছিল দেশে। নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের দখল ও দূষণে বেশিরভাগ নদ-নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে নদী মারা যাচ্ছে। অনেকে প্রত্যক্ষ দখলের মাধ্যমে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করছে। কেউবা নদীতে নানাবিধ বর্জ্য ফেলে দূষণের মাধ্যমে নদীকে ভাগাড়ে পরিণত করছে। এ কারণে নদী তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষকে আত্মঘাতী এ প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।
নদী হলো সব জীবনের উৎস। তাই সামগ্রিকভাবে নদী হচ্ছে জীবনের প্রধান আধার। দেশের নদ-নদী রক্ষা করার বিকল্প নেই। তবে সরকারের একার পক্ষে এত নদ-নদী রক্ষা করা সম্ভব হবে না। দেশের নদ-নদীগুলো রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। নদ-নদী রক্ষা করতে মানুষের ভেতরে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। প্রশাসন ও নাগরিকদের নদী রক্ষা পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে নদ-নদীগুলো রক্ষা পাবে।
ধনাগোদা নদী সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল। আমরা আশা করব, চাঁদপুরের নদীটি দ্রুত সংস্কার করা হবে। সংস্কার করা হলে নদীটি রক্ষা পাবে। পাশাপাশি স্থানীয় যোগাযোগ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি হবে। নদীর ওপর নির্ভরশীল কৃষি ও মৎস্যজীবীসহ নদীপাড়ের সব বাসিন্দা উপকৃত হবেন।
নদ-নদী সংস্কার করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। সংস্কার করার পর নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। কেউ যেন নদ-নদীর জায়গা দখল করতে না পারে সেটা দেখভাল করতে হবে। নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। অনেক সময় নদ-নদী খনন করা হলেও শুধু নজরদারির অভাবে আবার দূষিত হয় কিংবা দখল হয়ে যায়।