মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ বলধারা নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রশাসন বারবার বাধা দিলেও মাদ্রাসা কমিটির লোকজন ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, খাল দখল করে বহুতল মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ করা হলে খালটি সংকুচিত হয়ে যাবে, পানি প্রবাহ বিঘিœত হবে।
সরকারি জলাশয় দখল করে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। আর সেটা যে ধরনের স্থাপনাই হোক না কেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও বলেছেন এই কথা। তিনি বলেছেন, খালের জায়গা দখল করে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। তবুও যারা আইন অমান্য করে খাল দখল নিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা বলতে চাই, শুধু ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেই হবে না। খাল দখল বন্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের জলাশয় সংরক্ষণের জন্য আইনও রয়েছে। কেউ সেই আইন অমান্য করে জলাশয় দখলের মতো কর্মকা- করলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানারও বিধান রয়েছে।
সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের যে অভিযোগ উঠেছে, তা একটা উদাহরণমাত্র। এভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ভাবে নদ-নদী, খালবিল ও জলাশয় দখল করা হয়। একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি দখলের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
সিংগাইরে সরকারি খাল দখল করে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। কোনো অজুহাতেই সরকারি খাল দখল চলে না, সেটা যে ধরনেরই প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন। আর এই দখলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দখলদাররা যে বা যারাই হোন না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা অজুহাত তুলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারি যে সব খালবিল ও জলাশয় দখল করেছেন, সেগুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্ধার হওয়া জলাশয় যেন পুনরায় দখল হয়ে না যায় সেজন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে।
বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ বলধারা নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রশাসন বারবার বাধা দিলেও মাদ্রাসা কমিটির লোকজন ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, খাল দখল করে বহুতল মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ করা হলে খালটি সংকুচিত হয়ে যাবে, পানি প্রবাহ বিঘিœত হবে।
সরকারি জলাশয় দখল করে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। আর সেটা যে ধরনের স্থাপনাই হোক না কেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও বলেছেন এই কথা। তিনি বলেছেন, খালের জায়গা দখল করে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। তবুও যারা আইন অমান্য করে খাল দখল নিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা বলতে চাই, শুধু ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেই হবে না। খাল দখল বন্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের জলাশয় সংরক্ষণের জন্য আইনও রয়েছে। কেউ সেই আইন অমান্য করে জলাশয় দখলের মতো কর্মকা- করলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানারও বিধান রয়েছে।
সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের যে অভিযোগ উঠেছে, তা একটা উদাহরণমাত্র। এভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ভাবে নদ-নদী, খালবিল ও জলাশয় দখল করা হয়। একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি দখলের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
সিংগাইরে সরকারি খাল দখল করে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। কোনো অজুহাতেই সরকারি খাল দখল চলে না, সেটা যে ধরনেরই প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন। আর এই দখলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দখলদাররা যে বা যারাই হোন না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা অজুহাত তুলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারি যে সব খালবিল ও জলাশয় দখল করেছেন, সেগুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্ধার হওয়া জলাশয় যেন পুনরায় দখল হয়ে না যায় সেজন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে।