alt

সম্পাদকীয়

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

: সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪

সাতক্ষীরায় পাটের আবাদ বেড়েছে। সেখানে বেশির ভাগ পাট কাটা হয়ে গেছে। কিন্তু জলাশয়ের অভাবে এসব পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা। সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় ১২ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬৭০ হেক্টর বেশি বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র। পাট জাগ দিতে না পেরে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। পাট কাটার পর আবার ধানের আবাদ করা হয়। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানি না পেয়ে খেতের পাট খেতেই থাকছে। কিছু জলাশয় রয়েছে কিন্তু মাছ ও পানিফল চাষ করা হচ্ছে।

নদী, খালবিল, হাওর-বাঁওড় ও ডোবা-নালাগুলো দেশের প্রাকৃতিক জলাশয়। এগুলো আমাদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত। কিন্তু এসব প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো দিনে দিনে দখল ও দূষণে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ এসব প্রাকৃতিক জলাশয় অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ভরাট করে নির্মাণ করছে নানা স্থাপনা। পাট চাষিরা এসব প্রাকৃতিক জলাশয়ে পাট জাগ দিতেন। এখন জলাশয়ের অভাবে তারা সময়মতো পাট জাগ দিতে পারছেন না বলে আক্ষেপ করছেন।

কৃষকরা যদি আধুনিক ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাহলে অল্প পানিতে অনেক পাট পচানো সম্ভব বলে পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন পাট জাগ দেয়ার জন্য পানি সংকট দেখা দিলে সেক্ষেত্রে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এই পদ্ধতিতে ১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হবে। তারপর কাঁচা পাটগাছ থেকে ছাল বা বাকল ছাড়িয়ে নিয়ে অল্প পানিতে পচাতে দিতে হবে। এটা বেশ লাভজনক। পাট পচানোর জন্য বহু দূরে ভ্যানগাড়িতে বহন না করে জমির একপাশে গর্ত করে এ পদ্ধতিতে পাট পচানো যায়।

তবে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে পাট পচানোর ব্যাপারটি এখনো অনেক কৃষক জানেন না। আবার তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে অভ্যস্তও নন। তাই এটার প্রচার-প্রচারণা চালানো দরকার। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা যদি প্রচারের মাধ্যমে এই পদ্ধতির সুবিধাগুলো কৃষকদের মাঝে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে পাট জাগ দেয়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে সমস্যার কথা শোনা যায় সেটা আর থাকবে না।

তবে, প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো দখলমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এগিয়ে আসতে হবে। সাতক্ষীরা জেলায় দখল-দূষণে যেসব জলাশয় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে, তা দখলমুক্ত করে খননের উদ্যোগ আনতে হবে। জলাভূমি সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাহলে একদিকে মানুষের চাহিদা পূরণ হবে আবার কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজও সারতে পারবেন।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪

সাতক্ষীরায় পাটের আবাদ বেড়েছে। সেখানে বেশির ভাগ পাট কাটা হয়ে গেছে। কিন্তু জলাশয়ের অভাবে এসব পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা। সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় ১২ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬৭০ হেক্টর বেশি বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র। পাট জাগ দিতে না পেরে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। পাট কাটার পর আবার ধানের আবাদ করা হয়। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানি না পেয়ে খেতের পাট খেতেই থাকছে। কিছু জলাশয় রয়েছে কিন্তু মাছ ও পানিফল চাষ করা হচ্ছে।

নদী, খালবিল, হাওর-বাঁওড় ও ডোবা-নালাগুলো দেশের প্রাকৃতিক জলাশয়। এগুলো আমাদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত। কিন্তু এসব প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো দিনে দিনে দখল ও দূষণে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ এসব প্রাকৃতিক জলাশয় অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ভরাট করে নির্মাণ করছে নানা স্থাপনা। পাট চাষিরা এসব প্রাকৃতিক জলাশয়ে পাট জাগ দিতেন। এখন জলাশয়ের অভাবে তারা সময়মতো পাট জাগ দিতে পারছেন না বলে আক্ষেপ করছেন।

কৃষকরা যদি আধুনিক ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাহলে অল্প পানিতে অনেক পাট পচানো সম্ভব বলে পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন পাট জাগ দেয়ার জন্য পানি সংকট দেখা দিলে সেক্ষেত্রে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এই পদ্ধতিতে ১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হবে। তারপর কাঁচা পাটগাছ থেকে ছাল বা বাকল ছাড়িয়ে নিয়ে অল্প পানিতে পচাতে দিতে হবে। এটা বেশ লাভজনক। পাট পচানোর জন্য বহু দূরে ভ্যানগাড়িতে বহন না করে জমির একপাশে গর্ত করে এ পদ্ধতিতে পাট পচানো যায়।

তবে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে পাট পচানোর ব্যাপারটি এখনো অনেক কৃষক জানেন না। আবার তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে অভ্যস্তও নন। তাই এটার প্রচার-প্রচারণা চালানো দরকার। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা যদি প্রচারের মাধ্যমে এই পদ্ধতির সুবিধাগুলো কৃষকদের মাঝে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে পাট জাগ দেয়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে সমস্যার কথা শোনা যায় সেটা আর থাকবে না।

তবে, প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো দখলমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এগিয়ে আসতে হবে। সাতক্ষীরা জেলায় দখল-দূষণে যেসব জলাশয় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে, তা দখলমুক্ত করে খননের উদ্যোগ আনতে হবে। জলাভূমি সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাহলে একদিকে মানুষের চাহিদা পূরণ হবে আবার কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজও সারতে পারবেন।

back to top