alt

সম্পাদকীয়

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

: রোববার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান চেয়েছেন তাদের স্বজনরা। গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারও দাবি করেছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছেন। গত শুক্রবার ছিল আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। সেদিন তারা এই দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হয়েছেন।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গুম হওয়া কোনো কোনো ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। একাধিক ব্যক্তিকে ‘আয়নাঘর’ খ্যাত ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) পরিচালিত এক বন্দীশালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকা কোনো কোনো ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার দাবি জোরালো হয়।

গুম মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ। যাদের গুম করা হয়েছে কেবল তাদেরই যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে তা নয়, গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরাও দীর্ঘ সময় ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন। এর সঙ্গে তাদের মানসিক যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে, আর্থ-সামাজিক সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছে।

সরকার পরিবর্তন হয়েছে। গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। আমরা এর সাধুবাদ জানাই। গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত ও কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে কমিশন।

শুধু গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান করাই যথেষ্ট কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা মনে করি, যারা গুমের সঙ্গে জড়িত তাদেরও খুঁজে বের করা দরকার। কে বা কারা দেশের নাগরিকদের গুম করেছে, গুম করার সিদ্ধান্ত কোথা থেকে এসেছে সেটাও জানতে হবে। গুমের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তির বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আগামীতে গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য এটা করা অত্যন্ত জরুরি।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে যেতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে তার কর্মপরিধি ও ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। যাতে করে কমিশন গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি গুমের জন্য দায়ীদেরও চিহ্নিত করতে পারে এবং দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনে দ- দেয়ার ক্ষমতাও কমিশনকে দেয়া যেতে পারে। দেশে আর কত আয়নাঘর আছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এসব বন্দিশালা ধ্বংস করা জরুরি। দেশে যেন আর কোনো গুমের ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরে নামছে কেন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

tab

সম্পাদকীয়

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

রোববার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান চেয়েছেন তাদের স্বজনরা। গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারও দাবি করেছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছেন। গত শুক্রবার ছিল আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। সেদিন তারা এই দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হয়েছেন।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গুম হওয়া কোনো কোনো ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। একাধিক ব্যক্তিকে ‘আয়নাঘর’ খ্যাত ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) পরিচালিত এক বন্দীশালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকা কোনো কোনো ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার দাবি জোরালো হয়।

গুম মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ। যাদের গুম করা হয়েছে কেবল তাদেরই যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে তা নয়, গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরাও দীর্ঘ সময় ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন। এর সঙ্গে তাদের মানসিক যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে, আর্থ-সামাজিক সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছে।

সরকার পরিবর্তন হয়েছে। গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। আমরা এর সাধুবাদ জানাই। গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত ও কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে কমিশন।

শুধু গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান করাই যথেষ্ট কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা মনে করি, যারা গুমের সঙ্গে জড়িত তাদেরও খুঁজে বের করা দরকার। কে বা কারা দেশের নাগরিকদের গুম করেছে, গুম করার সিদ্ধান্ত কোথা থেকে এসেছে সেটাও জানতে হবে। গুমের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তির বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আগামীতে গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য এটা করা অত্যন্ত জরুরি।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে যেতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে তার কর্মপরিধি ও ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। যাতে করে কমিশন গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি গুমের জন্য দায়ীদেরও চিহ্নিত করতে পারে এবং দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনে দ- দেয়ার ক্ষমতাও কমিশনকে দেয়া যেতে পারে। দেশে আর কত আয়নাঘর আছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এসব বন্দিশালা ধ্বংস করা জরুরি। দেশে যেন আর কোনো গুমের ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top