বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশায় এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সেসব গাছ বিক্রিও করে দিয়েছেন, সেখানে অতীতেও সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
এদিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার কেন্দুয়া-মদন সড়কের পাশে বাদে আঠারবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ কাটার ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু যে দেশের দু-একটি স্থানে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে তা নয়Ñ দেশের অনেক স্থানেই এ রকম গাছ কাটার কথা প্রায়ই শোনা যায়। পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশে বেশি বেশি গাছ লাগানোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছর দেশে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিতও করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখনও নির্বিচারে গাছ নিধন হচ্ছে। স্বার্থান্বেষী একটি চক্র খেয়ালখুশিমতো সরকারি গাছ কেটে নিজেদের পকেট ভারী করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলে, পরিবেশ বিনষ্টকারী সে যে-ই হোক না কেন সে ছাড় পাবে না। কিন্তু গাছ কাটা বন্ধ করতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে বাস্তবে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনদিন গাছ কমে যাওয়ার কারণে প্রকৃতির রুদ্ররোষ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবীতে। বৈশ্বিক উষ্ণতার তারতম্যের পেছনে অতিরিক্ত বৃক্ষনিধনও দায়ী। বিশ্ববাসী এখন প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি। পৃথিবীর কোনো কোনো অঞ্চলে টানা বৃষ্টি, ভূমিধস, বন্যা, ও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট দেখা যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে অনাবৃষ্টি, খরা, দাবানল ও রেকর্ড গড়া গরম। বাংলাদেশেও আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে বৃষ্টির দেখা মেলে না প্রায়ই। আবার অসময়ে টানা বৃষ্টি হতে দেখা যায়। সম্প্রতি তাপমাত্রার রেকর্ড হতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকা মানবগোষ্ঠী ও জীবজগতকে টিকিয়ে রাখতে হলে গাছ লাগানো ছাড়া উপায় নেই। গাছ প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
বাগেরহাট ও নেত্রকোণায় গাছ কাটার যে অভিযোগ উঠেছে, তা আমলে নিতে হবে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশায় এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সেসব গাছ বিক্রিও করে দিয়েছেন, সেখানে অতীতেও সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
এদিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার কেন্দুয়া-মদন সড়কের পাশে বাদে আঠারবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ কাটার ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু যে দেশের দু-একটি স্থানে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে তা নয়Ñ দেশের অনেক স্থানেই এ রকম গাছ কাটার কথা প্রায়ই শোনা যায়। পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশে বেশি বেশি গাছ লাগানোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছর দেশে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিতও করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখনও নির্বিচারে গাছ নিধন হচ্ছে। স্বার্থান্বেষী একটি চক্র খেয়ালখুশিমতো সরকারি গাছ কেটে নিজেদের পকেট ভারী করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলে, পরিবেশ বিনষ্টকারী সে যে-ই হোক না কেন সে ছাড় পাবে না। কিন্তু গাছ কাটা বন্ধ করতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে বাস্তবে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনদিন গাছ কমে যাওয়ার কারণে প্রকৃতির রুদ্ররোষ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবীতে। বৈশ্বিক উষ্ণতার তারতম্যের পেছনে অতিরিক্ত বৃক্ষনিধনও দায়ী। বিশ্ববাসী এখন প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি। পৃথিবীর কোনো কোনো অঞ্চলে টানা বৃষ্টি, ভূমিধস, বন্যা, ও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট দেখা যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে অনাবৃষ্টি, খরা, দাবানল ও রেকর্ড গড়া গরম। বাংলাদেশেও আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে বৃষ্টির দেখা মেলে না প্রায়ই। আবার অসময়ে টানা বৃষ্টি হতে দেখা যায়। সম্প্রতি তাপমাত্রার রেকর্ড হতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকা মানবগোষ্ঠী ও জীবজগতকে টিকিয়ে রাখতে হলে গাছ লাগানো ছাড়া উপায় নেই। গাছ প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
বাগেরহাট ও নেত্রকোণায় গাছ কাটার যে অভিযোগ উঠেছে, তা আমলে নিতে হবে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।