alt

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলছে না

: রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমদানি করেও ডিমের দামে লাগাম পরানো যায়নি। সপ্তাহখানেক আগে ভারত থেকে প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার ডিম আমদানি করা হয়েছে। এর কোনো প্রভাবই পড়েনি বাজারে। ডিমের দাম কমবে কি, উল্টো বেড়েছে। যে ডিমের দাম কিছুদিন আগে ডজনপ্রতি ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা, তার দাম এখন ১৬০-১৬৫ টাকা।

বাড়ছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ টাকা, সেনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুল্ক কমানো হলেও পেঁয়াজ ও আলুর দরে সেই অনুপাতে প্রভাব পড়েনি বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

নিতপণ্যের দর নিয়ন্ত্রণ করা নানা কারণে চ্যালেঞ্জিং। অতীতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেয়া অনেক পদক্ষেপ মাঠে মারা গেছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেই না। পণ্য উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, আমদানি, সরবরাহ, বিক্রি প্রভৃতি স্তরে নানা গলদ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব গলদ মনুষ্যসৃষ্ট। গলদগুলো চিহ্নিত করে শক্ত হাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না গেলে মানুষের ভোগান্তি দূর করা কঠিন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দ্রব্যমূল্য কমাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তার সুফল কেন মিলছে না সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে পরিমাণ ডিম আমদানি করা হয়েছে সেটা অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় সামান্য। এটা দিয়ে ডিমের বাজারে চাহিদা-জোগানে ভারসাম্য আনা কঠিন। আবার কোনো পণ্য আমদানির সময় দেশীয় উদ্যোক্তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। দেশীয় উদ্যোক্তরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে চাহিদা আর উৎপাদন কত সেটা জানতে হবে। বাজার গবেষণার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

দাম কমানোর লক্ষ্যে আলু ও পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু পণ্য দুটির দাম কমেনি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মনটিরংয়ের অভাবে শুল্ক কমানোর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। শুধু শুল্ক কমিয়ে দায়িত্ব সারলেই চলে না। এর সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হলে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

tab

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলছে না

রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমদানি করেও ডিমের দামে লাগাম পরানো যায়নি। সপ্তাহখানেক আগে ভারত থেকে প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার ডিম আমদানি করা হয়েছে। এর কোনো প্রভাবই পড়েনি বাজারে। ডিমের দাম কমবে কি, উল্টো বেড়েছে। যে ডিমের দাম কিছুদিন আগে ডজনপ্রতি ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা, তার দাম এখন ১৬০-১৬৫ টাকা।

বাড়ছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ টাকা, সেনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুল্ক কমানো হলেও পেঁয়াজ ও আলুর দরে সেই অনুপাতে প্রভাব পড়েনি বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

নিতপণ্যের দর নিয়ন্ত্রণ করা নানা কারণে চ্যালেঞ্জিং। অতীতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেয়া অনেক পদক্ষেপ মাঠে মারা গেছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেই না। পণ্য উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, আমদানি, সরবরাহ, বিক্রি প্রভৃতি স্তরে নানা গলদ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব গলদ মনুষ্যসৃষ্ট। গলদগুলো চিহ্নিত করে শক্ত হাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না গেলে মানুষের ভোগান্তি দূর করা কঠিন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দ্রব্যমূল্য কমাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তার সুফল কেন মিলছে না সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে পরিমাণ ডিম আমদানি করা হয়েছে সেটা অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় সামান্য। এটা দিয়ে ডিমের বাজারে চাহিদা-জোগানে ভারসাম্য আনা কঠিন। আবার কোনো পণ্য আমদানির সময় দেশীয় উদ্যোক্তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। দেশীয় উদ্যোক্তরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে চাহিদা আর উৎপাদন কত সেটা জানতে হবে। বাজার গবেষণার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

দাম কমানোর লক্ষ্যে আলু ও পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু পণ্য দুটির দাম কমেনি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মনটিরংয়ের অভাবে শুল্ক কমানোর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। শুধু শুল্ক কমিয়ে দায়িত্ব সারলেই চলে না। এর সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হলে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।

back to top