আমদানি করেও ডিমের দামে লাগাম পরানো যায়নি। সপ্তাহখানেক আগে ভারত থেকে প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার ডিম আমদানি করা হয়েছে। এর কোনো প্রভাবই পড়েনি বাজারে। ডিমের দাম কমবে কি, উল্টো বেড়েছে। যে ডিমের দাম কিছুদিন আগে ডজনপ্রতি ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা, তার দাম এখন ১৬০-১৬৫ টাকা।
বাড়ছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ টাকা, সেনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুল্ক কমানো হলেও পেঁয়াজ ও আলুর দরে সেই অনুপাতে প্রভাব পড়েনি বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
নিতপণ্যের দর নিয়ন্ত্রণ করা নানা কারণে চ্যালেঞ্জিং। অতীতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেয়া অনেক পদক্ষেপ মাঠে মারা গেছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেই না। পণ্য উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, আমদানি, সরবরাহ, বিক্রি প্রভৃতি স্তরে নানা গলদ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব গলদ মনুষ্যসৃষ্ট। গলদগুলো চিহ্নিত করে শক্ত হাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না গেলে মানুষের ভোগান্তি দূর করা কঠিন হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দ্রব্যমূল্য কমাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তার সুফল কেন মিলছে না সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে পরিমাণ ডিম আমদানি করা হয়েছে সেটা অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় সামান্য। এটা দিয়ে ডিমের বাজারে চাহিদা-জোগানে ভারসাম্য আনা কঠিন। আবার কোনো পণ্য আমদানির সময় দেশীয় উদ্যোক্তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। দেশীয় উদ্যোক্তরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে চাহিদা আর উৎপাদন কত সেটা জানতে হবে। বাজার গবেষণার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
দাম কমানোর লক্ষ্যে আলু ও পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু পণ্য দুটির দাম কমেনি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মনটিরংয়ের অভাবে শুল্ক কমানোর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। শুধু শুল্ক কমিয়ে দায়িত্ব সারলেই চলে না। এর সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হলে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।
রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আমদানি করেও ডিমের দামে লাগাম পরানো যায়নি। সপ্তাহখানেক আগে ভারত থেকে প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার ডিম আমদানি করা হয়েছে। এর কোনো প্রভাবই পড়েনি বাজারে। ডিমের দাম কমবে কি, উল্টো বেড়েছে। যে ডিমের দাম কিছুদিন আগে ডজনপ্রতি ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা, তার দাম এখন ১৬০-১৬৫ টাকা।
বাড়ছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ টাকা, সেনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুল্ক কমানো হলেও পেঁয়াজ ও আলুর দরে সেই অনুপাতে প্রভাব পড়েনি বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
নিতপণ্যের দর নিয়ন্ত্রণ করা নানা কারণে চ্যালেঞ্জিং। অতীতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেয়া অনেক পদক্ষেপ মাঠে মারা গেছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেই না। পণ্য উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, আমদানি, সরবরাহ, বিক্রি প্রভৃতি স্তরে নানা গলদ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব গলদ মনুষ্যসৃষ্ট। গলদগুলো চিহ্নিত করে শক্ত হাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না গেলে মানুষের ভোগান্তি দূর করা কঠিন হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দ্রব্যমূল্য কমাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তার সুফল কেন মিলছে না সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে পরিমাণ ডিম আমদানি করা হয়েছে সেটা অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় সামান্য। এটা দিয়ে ডিমের বাজারে চাহিদা-জোগানে ভারসাম্য আনা কঠিন। আবার কোনো পণ্য আমদানির সময় দেশীয় উদ্যোক্তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। দেশীয় উদ্যোক্তরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে চাহিদা আর উৎপাদন কত সেটা জানতে হবে। বাজার গবেষণার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
দাম কমানোর লক্ষ্যে আলু ও পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু পণ্য দুটির দাম কমেনি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মনটিরংয়ের অভাবে শুল্ক কমানোর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। শুধু শুল্ক কমিয়ে দায়িত্ব সারলেই চলে না। এর সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হলে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।