alt

সম্পাদকীয়

গ্রামগঞ্জেও বিস্তৃত হচ্ছে ডেঙ্গু, সতর্ক থাকতে হবে

: রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এখন স্থান-কালের সীমায় ডেঙ্গুরোগকে বাঁধা যায় না। একসময় বলা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ, কারণ এডিস মশা সাধারণত নগর এলাকায় বংশবিস্তার করে। যে কারণে নগরের বাসিন্দারাই সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হতো। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এডিস মশা নগরের সীমা অতিক্রম করেছে। দেশের সব স্থানেই এর উপস্থিতি রয়েছে, যে কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডেঙ্গুরোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এবারও গ্রাম এলাকায় এর বিস্তার ঘটেছে।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। এ সময় বৃষ্টিবাদল হয়। পানি জমার সুযোগ থাকে, যে কারণে এডিসের বংশবিস্তারও বেশি হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গুরোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে।

উদ্বেগের ব্যপার হচ্ছে ডেঙ্গুরোগের বিস্তৃতি বাড়ছে। অতীতের মতো যদি এর প্রকোপ দেখা যায তাহলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর নজিবিহীন চাপ পড়বে। কাজেই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বর রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালেই শুধু হবে না। মশা নিধন কার্যক্রম ঠিকমতো না চললে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। শুধু রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালালেই হবে না। ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু বিস্তৃত হয়েছে। কাজেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার বাইরেও অভিযান চালাতে হবে। সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে অভিযান পারিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে, অভিযানে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে নাগরিকদের দায়িত্বই বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে তিন থেকে পাঁচ দিনের জমা পানিতে এ মশা বংশবিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

tab

সম্পাদকীয়

গ্রামগঞ্জেও বিস্তৃত হচ্ছে ডেঙ্গু, সতর্ক থাকতে হবে

রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এখন স্থান-কালের সীমায় ডেঙ্গুরোগকে বাঁধা যায় না। একসময় বলা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ, কারণ এডিস মশা সাধারণত নগর এলাকায় বংশবিস্তার করে। যে কারণে নগরের বাসিন্দারাই সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হতো। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এডিস মশা নগরের সীমা অতিক্রম করেছে। দেশের সব স্থানেই এর উপস্থিতি রয়েছে, যে কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডেঙ্গুরোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এবারও গ্রাম এলাকায় এর বিস্তার ঘটেছে।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। এ সময় বৃষ্টিবাদল হয়। পানি জমার সুযোগ থাকে, যে কারণে এডিসের বংশবিস্তারও বেশি হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গুরোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে।

উদ্বেগের ব্যপার হচ্ছে ডেঙ্গুরোগের বিস্তৃতি বাড়ছে। অতীতের মতো যদি এর প্রকোপ দেখা যায তাহলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর নজিবিহীন চাপ পড়বে। কাজেই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বর রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালেই শুধু হবে না। মশা নিধন কার্যক্রম ঠিকমতো না চললে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। শুধু রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালালেই হবে না। ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু বিস্তৃত হয়েছে। কাজেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার বাইরেও অভিযান চালাতে হবে। সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে অভিযান পারিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে, অভিযানে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে নাগরিকদের দায়িত্বই বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে তিন থেকে পাঁচ দিনের জমা পানিতে এ মশা বংশবিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

back to top