alt

সম্পাদকীয়

মজুদ যথেষ্ট, তারপরও কেন বাড়ছে চালের দাম

: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাজারে চাল মিলছে। তবে দাম বেশি। সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে আরেক দফা। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের খরচও বেড়েছে।

দেশে খাদ্যের কোনো সংকট আছে বলে জানা যায় না। খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, চাল-গম মিলিয়ে দেশে ১৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য ১২-১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকাই যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বর্তমান মজুদকে ‘যথেষ্ট’ মানছেন। তবুও বেড়েই চলেছে চালের দাম।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি, মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ, সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।

মজুদ যথেষ্ট হওয়ার পরও পরও চালের দাম কেন বাড়ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বন্যার কথা। বন্যায় পরিবহন ব্যবস্থা বিঘিœত হয়েছে, আমনের আবাদ বিলম্বিত হয়েছে। বাজারে নতুন ধান না আসা পর্যন্ত চালের দাম কমার সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।

তবে ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না অনেকে। তারা বলছেন, অসাধু সিন্ডিকেট চক্র বন্যাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। তারা বাজারে চালের সরবরাহের গতি ধীর করে এর দাম বাড়াচ্ছে।

উৎপাদন বা জোগান যথেষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কখনো কখনো সরবরাহ সংকট তৈরি হলে পণ্যের দাম বাড়তে পারে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছিল। তখন পণ্যের দাম বেড়েছে। যাতায়াত-যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ার পর সরবরাহ ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফিরে যাবে সেটাই কাম্য। প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কেউ চালের সরবরাহকে কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা।

এর আগে অভিযোগ উঠেছে, চালের দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে চালকলের মালিক ও খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফা। আবার মিলার ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিভিন্ন করপোরেট গ্রুপ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসব অভিযোগের সুরাহা হতে দেখা যায়নি।

আমরা চাই, দেশের মানুষ যৌক্তিক মূল্যে চাল কেনার সুযোগ পাক। কোনো পণ্যের দাম বাড়লেই সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। এই সিন্ডিকেট শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার।

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

সড়কটি আর কবে পাকা হবে

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

পৌর এলাকায় ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুন

বনদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলে-বাওয়ালিদের রক্ষা করুন

tab

সম্পাদকীয়

মজুদ যথেষ্ট, তারপরও কেন বাড়ছে চালের দাম

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাজারে চাল মিলছে। তবে দাম বেশি। সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে আরেক দফা। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের খরচও বেড়েছে।

দেশে খাদ্যের কোনো সংকট আছে বলে জানা যায় না। খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, চাল-গম মিলিয়ে দেশে ১৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য ১২-১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকাই যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বর্তমান মজুদকে ‘যথেষ্ট’ মানছেন। তবুও বেড়েই চলেছে চালের দাম।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি, মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ, সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।

মজুদ যথেষ্ট হওয়ার পরও পরও চালের দাম কেন বাড়ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বন্যার কথা। বন্যায় পরিবহন ব্যবস্থা বিঘিœত হয়েছে, আমনের আবাদ বিলম্বিত হয়েছে। বাজারে নতুন ধান না আসা পর্যন্ত চালের দাম কমার সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।

তবে ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না অনেকে। তারা বলছেন, অসাধু সিন্ডিকেট চক্র বন্যাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। তারা বাজারে চালের সরবরাহের গতি ধীর করে এর দাম বাড়াচ্ছে।

উৎপাদন বা জোগান যথেষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কখনো কখনো সরবরাহ সংকট তৈরি হলে পণ্যের দাম বাড়তে পারে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছিল। তখন পণ্যের দাম বেড়েছে। যাতায়াত-যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ার পর সরবরাহ ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফিরে যাবে সেটাই কাম্য। প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কেউ চালের সরবরাহকে কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা।

এর আগে অভিযোগ উঠেছে, চালের দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে চালকলের মালিক ও খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফা। আবার মিলার ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিভিন্ন করপোরেট গ্রুপ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসব অভিযোগের সুরাহা হতে দেখা যায়নি।

আমরা চাই, দেশের মানুষ যৌক্তিক মূল্যে চাল কেনার সুযোগ পাক। কোনো পণ্যের দাম বাড়লেই সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। এই সিন্ডিকেট শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার।

back to top