বাজারে চাল মিলছে। তবে দাম বেশি। সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে আরেক দফা। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের খরচও বেড়েছে।
দেশে খাদ্যের কোনো সংকট আছে বলে জানা যায় না। খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, চাল-গম মিলিয়ে দেশে ১৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য ১২-১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকাই যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বর্তমান মজুদকে ‘যথেষ্ট’ মানছেন। তবুও বেড়েই চলেছে চালের দাম।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি, মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ, সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
মজুদ যথেষ্ট হওয়ার পরও পরও চালের দাম কেন বাড়ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বন্যার কথা। বন্যায় পরিবহন ব্যবস্থা বিঘিœত হয়েছে, আমনের আবাদ বিলম্বিত হয়েছে। বাজারে নতুন ধান না আসা পর্যন্ত চালের দাম কমার সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।
তবে ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না অনেকে। তারা বলছেন, অসাধু সিন্ডিকেট চক্র বন্যাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। তারা বাজারে চালের সরবরাহের গতি ধীর করে এর দাম বাড়াচ্ছে।
উৎপাদন বা জোগান যথেষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কখনো কখনো সরবরাহ সংকট তৈরি হলে পণ্যের দাম বাড়তে পারে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছিল। তখন পণ্যের দাম বেড়েছে। যাতায়াত-যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ার পর সরবরাহ ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফিরে যাবে সেটাই কাম্য। প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কেউ চালের সরবরাহকে কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা।
এর আগে অভিযোগ উঠেছে, চালের দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে চালকলের মালিক ও খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফা। আবার মিলার ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিভিন্ন করপোরেট গ্রুপ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসব অভিযোগের সুরাহা হতে দেখা যায়নি।
আমরা চাই, দেশের মানুষ যৌক্তিক মূল্যে চাল কেনার সুযোগ পাক। কোনো পণ্যের দাম বাড়লেই সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। এই সিন্ডিকেট শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাজারে চাল মিলছে। তবে দাম বেশি। সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে আরেক দফা। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের খরচও বেড়েছে।
দেশে খাদ্যের কোনো সংকট আছে বলে জানা যায় না। খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, চাল-গম মিলিয়ে দেশে ১৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য ১২-১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকাই যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বর্তমান মজুদকে ‘যথেষ্ট’ মানছেন। তবুও বেড়েই চলেছে চালের দাম।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি, মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ, সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
মজুদ যথেষ্ট হওয়ার পরও পরও চালের দাম কেন বাড়ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বন্যার কথা। বন্যায় পরিবহন ব্যবস্থা বিঘিœত হয়েছে, আমনের আবাদ বিলম্বিত হয়েছে। বাজারে নতুন ধান না আসা পর্যন্ত চালের দাম কমার সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।
তবে ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না অনেকে। তারা বলছেন, অসাধু সিন্ডিকেট চক্র বন্যাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। তারা বাজারে চালের সরবরাহের গতি ধীর করে এর দাম বাড়াচ্ছে।
উৎপাদন বা জোগান যথেষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কখনো কখনো সরবরাহ সংকট তৈরি হলে পণ্যের দাম বাড়তে পারে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছিল। তখন পণ্যের দাম বেড়েছে। যাতায়াত-যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ার পর সরবরাহ ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফিরে যাবে সেটাই কাম্য। প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কেউ চালের সরবরাহকে কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা।
এর আগে অভিযোগ উঠেছে, চালের দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে চালকলের মালিক ও খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফা। আবার মিলার ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিভিন্ন করপোরেট গ্রুপ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসব অভিযোগের সুরাহা হতে দেখা যায়নি।
আমরা চাই, দেশের মানুষ যৌক্তিক মূল্যে চাল কেনার সুযোগ পাক। কোনো পণ্যের দাম বাড়লেই সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। এই সিন্ডিকেট শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার।