আজ ঈদে মিলাদুন্নবী। এইদিনে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মোহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। আজকের দিনটিই তার মৃত্যুদিবস। বিশ্বের মুসলিমরা ঈদে মিলাদুন্নবীকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন।
আরব বিশ্ব একসময় পৌত্তলিকতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল। সেখানে সর্বত্র অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। এ কারণে সেই সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াত। মহান আল্লাহ এই অবস্থা থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে তার জন্ম হয়।
দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে তার অনুসারীদের আত্মজিজ্ঞাসা প্রয়োজন। যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদাযাপনের ক্ষেত্রে অনুসারীদের মধ্যে এই মনোভাব জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন যে, মহামানবদের জীবন ও আদর্শ নিজের জীবনে অনুশীলন ও অনুসরণ করতে হবে।
বিদায় হজের দিন মহানবী রাসুলে করিম (সা.) এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন, ‘তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, অতীতে বহু জাতি এজন্য ধ্বংস হয়ে গেছে।’
দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, দেশে প্রায়ই ধর্মকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আজ ধর্মের নামে মাজার-দরগায় হামলা হচ্ছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হামলা চালাতে দেখা যায়। কখনো কখনো ফেইসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর মন্দ প্রবণতা দেখা দেয়। ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী ইসলামের মূল শিক্ষা ‘শান্তি ও সহনশীলতা’কে ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদের দেয়াল তোলার অপচেষ্টা করে।
কিন্তু ইসলাম এই শিক্ষা দেয় না। অপপ্রচার চালিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর চড়াও হওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। ধর্মের নাম করে কোন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা রাসুলের শিক্ষা নয়। ইসলামের নামে অন্য ধর্মের ওপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলাম ধর্মের শান্তির পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যারা সাধারণ মানুষের সারল্য ও ধর্মবিশ্বাসকে মূলধন করে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
ধর্ম মানুষের কল্যাণ সাধন, মানুষে-মানুষে মৈত্রী স্থাপনের কথা বলে। রাসুলে করিম (সা.)-এর জীবনের আদর্শ ও তার চরিত্র নিজের জীবনে, কাজে ও চিন্তায় ধারণ করার সংকল্পই ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের আদর্শ পথ।
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আজ ঈদে মিলাদুন্নবী। এইদিনে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মোহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। আজকের দিনটিই তার মৃত্যুদিবস। বিশ্বের মুসলিমরা ঈদে মিলাদুন্নবীকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন।
আরব বিশ্ব একসময় পৌত্তলিকতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল। সেখানে সর্বত্র অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। এ কারণে সেই সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াত। মহান আল্লাহ এই অবস্থা থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে তার জন্ম হয়।
দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে তার অনুসারীদের আত্মজিজ্ঞাসা প্রয়োজন। যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদাযাপনের ক্ষেত্রে অনুসারীদের মধ্যে এই মনোভাব জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন যে, মহামানবদের জীবন ও আদর্শ নিজের জীবনে অনুশীলন ও অনুসরণ করতে হবে।
বিদায় হজের দিন মহানবী রাসুলে করিম (সা.) এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন, ‘তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, অতীতে বহু জাতি এজন্য ধ্বংস হয়ে গেছে।’
দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, দেশে প্রায়ই ধর্মকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আজ ধর্মের নামে মাজার-দরগায় হামলা হচ্ছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হামলা চালাতে দেখা যায়। কখনো কখনো ফেইসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর মন্দ প্রবণতা দেখা দেয়। ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী ইসলামের মূল শিক্ষা ‘শান্তি ও সহনশীলতা’কে ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদের দেয়াল তোলার অপচেষ্টা করে।
কিন্তু ইসলাম এই শিক্ষা দেয় না। অপপ্রচার চালিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর চড়াও হওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। ধর্মের নাম করে কোন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা রাসুলের শিক্ষা নয়। ইসলামের নামে অন্য ধর্মের ওপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলাম ধর্মের শান্তির পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যারা সাধারণ মানুষের সারল্য ও ধর্মবিশ্বাসকে মূলধন করে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
ধর্ম মানুষের কল্যাণ সাধন, মানুষে-মানুষে মৈত্রী স্থাপনের কথা বলে। রাসুলে করিম (সা.)-এর জীবনের আদর্শ ও তার চরিত্র নিজের জীবনে, কাজে ও চিন্তায় ধারণ করার সংকল্পই ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের আদর্শ পথ।