alt

সম্পাদকীয়

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করুন

: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে পাটের ব্যবহার নানানভাবে কমছে। এর বিপরীতে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। অথচ পাটের ব্যবহার বাড়াতে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন রয়েছে। তারপরও পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যবহার কেন বাড়ছে আর পরিবেশবান্ধব পাট উৎপাদন ও ব্যবহার কেন কমছে সেটা একটা প্রশ্ন।

দুই দশক আগে ২০০২ সালে দেশে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাস্তবে এর ব্যবহার বন্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এখন প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগ মানুষের হাতে হাতে।

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বলছে, ১৯ পণ্য মোড়কে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক। কিন্তু আইন প্রয়োগে রয়েছে শৈথিল্য। যে কারণে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা বলেছেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানান। পরিবেশ মন্ত্রণালয় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে নীতি সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, এতে করে পরিবেশবান্ধব পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, প্রথমে ধান, চাল ও গমের বস্তায় পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতে উদ্যোগ নেয়া হবে।

আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়ন করা হলে দেশের পরিবেশ রক্ষা পাবে। প্লাস্টিক বর্জ্য মাটিতে আটকে পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান চলাচলে বাধা দেয়। ফলে মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না, জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায় এবং শস্যের ফলন কম হয়। তাছাড়া এসব বর্জ্য পোড়ালে কার্বন মনো-অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পুরনো প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে আবার নতুন পণ্য তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কাজেই প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আর এক্ষেত্রে পাটের ব্যবহার বাড়ানো জরুরি।

আইনটি বাস্তাবায়ন করা হলে পাটশিল্পও বিকশিত হবে। উক্ত আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হলে পাটের চাহিদা বাড়বে। এর ফলে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা স্থানীয় বাজারে বাড়বে। পাটচাষিরাও উপকৃত হবেন। তারা পাটের ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করা যায়।

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

সড়কটি আর কবে পাকা হবে

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

পৌর এলাকায় ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুন

বনদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলে-বাওয়ালিদের রক্ষা করুন

আবার শ্রমিক অসন্তোষ

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী

মজুদ যথেষ্ট, তারপরও কেন বাড়ছে চালের দাম

গ্রামগঞ্জেও বিস্তৃত হচ্ছে ডেঙ্গু, সতর্ক থাকতে হবে

নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলছে না

স্টিয়ারিং নয়, এসব শিশু-কিশোরে হাতে বই-খাতা দেখতে চাই

শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হোক

tab

সম্পাদকীয়

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করুন

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে পাটের ব্যবহার নানানভাবে কমছে। এর বিপরীতে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। অথচ পাটের ব্যবহার বাড়াতে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন রয়েছে। তারপরও পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যবহার কেন বাড়ছে আর পরিবেশবান্ধব পাট উৎপাদন ও ব্যবহার কেন কমছে সেটা একটা প্রশ্ন।

দুই দশক আগে ২০০২ সালে দেশে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাস্তবে এর ব্যবহার বন্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এখন প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগ মানুষের হাতে হাতে।

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বলছে, ১৯ পণ্য মোড়কে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক। কিন্তু আইন প্রয়োগে রয়েছে শৈথিল্য। যে কারণে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা বলেছেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানান। পরিবেশ মন্ত্রণালয় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে নীতি সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, এতে করে পরিবেশবান্ধব পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, প্রথমে ধান, চাল ও গমের বস্তায় পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতে উদ্যোগ নেয়া হবে।

আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়ন করা হলে দেশের পরিবেশ রক্ষা পাবে। প্লাস্টিক বর্জ্য মাটিতে আটকে পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান চলাচলে বাধা দেয়। ফলে মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না, জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায় এবং শস্যের ফলন কম হয়। তাছাড়া এসব বর্জ্য পোড়ালে কার্বন মনো-অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পুরনো প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে আবার নতুন পণ্য তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কাজেই প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আর এক্ষেত্রে পাটের ব্যবহার বাড়ানো জরুরি।

আইনটি বাস্তাবায়ন করা হলে পাটশিল্পও বিকশিত হবে। উক্ত আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হলে পাটের চাহিদা বাড়বে। এর ফলে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা স্থানীয় বাজারে বাড়বে। পাটচাষিরাও উপকৃত হবেন। তারা পাটের ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করা যায়।

back to top