সুন্দরবনে একাধিক বনদস্যু বাহিনী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে ‘টোকেন’ না নিয়ে জেলেরা মাছ বা কাঁকড়া ধরতে পারছেন না। কখনো কখনো এসব বাহিনীর জেলেদের অপহরণ বা জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাওয়ালিরাও বনদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। জানা গেছে, বনদস্যু বাহিনী সুন্দরবনে জেলে নৌকায় হামলা চালিয়ে জাল, ডিজেল, চাল, ডাল প্রভৃতি লুট করে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সুন্দরবনে বনদস্যুদের উৎপাত নতুন নয়। অতীতেও তাদের অপতৎপরতা দেখা গেছে। তবে মাঝে বেশকিছুটা সময় সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। সম্প্রতি আবার সেখানে একাধিক দস্যুবাহিনী সক্রিয় হয়েছে। তারা সুন্দরবনে জেলে ও বাওয়ালিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। কাজেই বনের ওপর নির্ভরশীল এসব মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। গত মাসে বনদস্যুরা সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কুচখালী খাল এলাকা থেকে এক জেলেকে অপহরণ করে। অপহৃত জেলের পরিবারের সদস্যদের কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সুযোগে সুন্দরবনে বনদস্যুরা আবার তৎপর হয়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুন্দরবনে লাগাতার অভিযানের ফলে এর আগে অনেক বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিল। এর প্রভাবে মাঝে বেশ কয়েক বছর সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। কিন্তু এখন আবার তিনটি বনদস্যু বাহিনী তৎপর হয়ে উঠেছে। এসব বাহিনীতে সাত-আটজন দস্যু রয়েছে বলে জানা গেছে।
আমরা বলতে চাই, সুন্দরবনের বনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জেলে ও বাওয়ালিদের নিরাপত্তার জন্য বনে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বনদুস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো জরুরি। যারা জেলে ও বাওয়ালিদের জানমালের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের আইনের মুখোমুখি করা হবে এটা আমাদের আশা। এজন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সুন্দরবনে একাধিক বনদস্যু বাহিনী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে ‘টোকেন’ না নিয়ে জেলেরা মাছ বা কাঁকড়া ধরতে পারছেন না। কখনো কখনো এসব বাহিনীর জেলেদের অপহরণ বা জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাওয়ালিরাও বনদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। জানা গেছে, বনদস্যু বাহিনী সুন্দরবনে জেলে নৌকায় হামলা চালিয়ে জাল, ডিজেল, চাল, ডাল প্রভৃতি লুট করে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সুন্দরবনে বনদস্যুদের উৎপাত নতুন নয়। অতীতেও তাদের অপতৎপরতা দেখা গেছে। তবে মাঝে বেশকিছুটা সময় সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। সম্প্রতি আবার সেখানে একাধিক দস্যুবাহিনী সক্রিয় হয়েছে। তারা সুন্দরবনে জেলে ও বাওয়ালিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। কাজেই বনের ওপর নির্ভরশীল এসব মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। গত মাসে বনদস্যুরা সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কুচখালী খাল এলাকা থেকে এক জেলেকে অপহরণ করে। অপহৃত জেলের পরিবারের সদস্যদের কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সুযোগে সুন্দরবনে বনদস্যুরা আবার তৎপর হয়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুন্দরবনে লাগাতার অভিযানের ফলে এর আগে অনেক বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিল। এর প্রভাবে মাঝে বেশ কয়েক বছর সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। কিন্তু এখন আবার তিনটি বনদস্যু বাহিনী তৎপর হয়ে উঠেছে। এসব বাহিনীতে সাত-আটজন দস্যু রয়েছে বলে জানা গেছে।
আমরা বলতে চাই, সুন্দরবনের বনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জেলে ও বাওয়ালিদের নিরাপত্তার জন্য বনে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বনদুস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো জরুরি। যারা জেলে ও বাওয়ালিদের জানমালের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের আইনের মুখোমুখি করা হবে এটা আমাদের আশা। এজন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাতে হবে।