সড়ক হচ্ছে মানুষের যোগাযোগ-যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সড়কটি যদি পাকা হয় তাহলে মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ মসৃণ হয়। আর সড়ক কাঁচা হলে নাগরিকদের চলাচলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। দেশের অনেক এলাকার সড়কই এখনো রয়ে গেছে কাঁচা। এমনই একটি সড়ক হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলসার ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ‘কাটাভারানী বেড়িবাঁধ’ সড়ক।
কাটাভারানী বেড়িবাঁধ সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ কিলোমিটার। প্রায় বিশ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষ এ সড়কে যাতায়াত করেন। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদা হয় তাদের সঙ্গী। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এ সড়কই তাদের ভরসা। এবড়োখেবড়ো সড়কে যানবাহনের ঝাঁকুনিতে রোগীর অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে চরম ভোগান্তি পোহান। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এটা সত্য যে দেশে সড়ক যোগাযোগে অনেক উন্নতি হয়েছে। আবার কাটাভারানী বেড়িবাঁধের মতো সড়কও দেশে রয়েছে। শুধু এই একটি সড়কই নয়, দেশের আরও অনেক সড়কের অবস্থা নাজুক। গ্রামীণ সড়কের ৫৫ শতাংশ এখনো কাঁচা। গ্রামীণ সড়ক শুধু স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনযাপনই নয়, দেশের অর্থনীতির চাকাকেও সচল রাখতে সহায়তা করে। কোনো এলাকার যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে, সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবন পাল্টে যায়। প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য শহরে নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হন। পাশাপাশি শহরের পণ্যও গ্রামে আসে। ফলে সার্বিকভাবে এলাকায় কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়।
আমরা বলতে চাই, কাটাভারানী বেড়িবাঁধের সড়কটি পাকা করার ব্যবস্থা করা হোক। অনিয়ম-দুর্নীতি ছাড়াই সেখানে যেন একটি টেকসই সড়ক নির্মিত হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক নির্মাণ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে দেশে। গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণে বরাদ্দ যেমন জরুরি, সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট ও সড়ক নির্মাণ করার ক্ষেত্রেও অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন করা জরুরি।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সড়ক হচ্ছে মানুষের যোগাযোগ-যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সড়কটি যদি পাকা হয় তাহলে মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ মসৃণ হয়। আর সড়ক কাঁচা হলে নাগরিকদের চলাচলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। দেশের অনেক এলাকার সড়কই এখনো রয়ে গেছে কাঁচা। এমনই একটি সড়ক হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলসার ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ‘কাটাভারানী বেড়িবাঁধ’ সড়ক।
কাটাভারানী বেড়িবাঁধ সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ কিলোমিটার। প্রায় বিশ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষ এ সড়কে যাতায়াত করেন। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদা হয় তাদের সঙ্গী। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এ সড়কই তাদের ভরসা। এবড়োখেবড়ো সড়কে যানবাহনের ঝাঁকুনিতে রোগীর অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে চরম ভোগান্তি পোহান। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এটা সত্য যে দেশে সড়ক যোগাযোগে অনেক উন্নতি হয়েছে। আবার কাটাভারানী বেড়িবাঁধের মতো সড়কও দেশে রয়েছে। শুধু এই একটি সড়কই নয়, দেশের আরও অনেক সড়কের অবস্থা নাজুক। গ্রামীণ সড়কের ৫৫ শতাংশ এখনো কাঁচা। গ্রামীণ সড়ক শুধু স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনযাপনই নয়, দেশের অর্থনীতির চাকাকেও সচল রাখতে সহায়তা করে। কোনো এলাকার যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে, সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবন পাল্টে যায়। প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য শহরে নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হন। পাশাপাশি শহরের পণ্যও গ্রামে আসে। ফলে সার্বিকভাবে এলাকায় কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়।
আমরা বলতে চাই, কাটাভারানী বেড়িবাঁধের সড়কটি পাকা করার ব্যবস্থা করা হোক। অনিয়ম-দুর্নীতি ছাড়াই সেখানে যেন একটি টেকসই সড়ক নির্মিত হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক নির্মাণ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে দেশে। গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণে বরাদ্দ যেমন জরুরি, সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট ও সড়ক নির্মাণ করার ক্ষেত্রেও অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন করা জরুরি।