alt

সম্পাদকীয়

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

: রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা জাতিগত সংঘাতে রূপ নিল। সেই সংঘাত-সংঘর্ষ ছড়িয়ে গেলে রাঙামাটিতে। সংঘাতের জের ধরে হতাহতের ঘটনা ঘটল। জারি করতে হলো ১৪৪ ধারা।

পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের পেছনে কি শুধুই একটি মোটরসাইকেল চুরি বা গণপিটুনিতে একজনকে হত্যার ঘটনার দায় রয়েছেÑসেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, এই সংঘাত-সংঘর্ষের স্বরূপ বুঝতে হলে পাহাড়ি-বাঙালি সমস্যার মূলে তাকাতে হবে। এটা শুধু আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয়।

শুধু আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয় বলেই, পাহাড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে দুই সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়, বসতবাড়ি ও দোকানপাট। করা হয়েছে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। এক জেলায় শুরু হওয়া সংঘাত বিস্তৃত হয়েছে আরেক জেলায়।

পাহাড়ে সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে পার্বত্য শান্তিচুক্তি করা হয়েছে ১৯৯৭ সালে। কিন্তু শান্তি অধরাই রয়ে গেছে। কেন শান্তির দেখা মিলছে না? বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হিসেবে পাহাড়িদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারছে না। কেন পারছে না?

শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্যাঞ্চলে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ নানা সময় নানা ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। স্বার্থান্বেষী কোনো কোনো গোষ্ঠী অনেক সময় এর সুযোগ নেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর এই সুযোগ নেয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কি কোনো দায় নেই।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব পাহাড়েও পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর দেশের প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গনপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরেও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেখা গেছে। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হামলার মতো গর্হিত অপরাধে সম্পৃক্ত হতে দেখা গেছে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে। এর লাগাম টানা যাচ্ছে না কিছুতেই। খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি মারা যান। এরপর সেখানকার পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। বর্তমান প্রশাসন শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করলে পাহাড়ে এই ঘটনা নাও ঘটতে পারত।

পাহাড়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা যেন আরও খারাপ না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে শাস্তি দিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা জরুরি। সেখানে যেন আর জাতিগত সংঘাত না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয়কেই শান্ত থাকতে হবে, সংযম দেখাতে হবে। কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যেন ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তবে দীর্ঘমেয়াদে পার্বত্যাঞ্চলে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে পাহাড়িদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই দায়িত্ব প্রশাসনের, সরকারের। শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি। পাহাড়ের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। আমরা চাই, পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা পাক।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা জাতিগত সংঘাতে রূপ নিল। সেই সংঘাত-সংঘর্ষ ছড়িয়ে গেলে রাঙামাটিতে। সংঘাতের জের ধরে হতাহতের ঘটনা ঘটল। জারি করতে হলো ১৪৪ ধারা।

পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের পেছনে কি শুধুই একটি মোটরসাইকেল চুরি বা গণপিটুনিতে একজনকে হত্যার ঘটনার দায় রয়েছেÑসেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, এই সংঘাত-সংঘর্ষের স্বরূপ বুঝতে হলে পাহাড়ি-বাঙালি সমস্যার মূলে তাকাতে হবে। এটা শুধু আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয়।

শুধু আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয় বলেই, পাহাড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে দুই সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়, বসতবাড়ি ও দোকানপাট। করা হয়েছে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। এক জেলায় শুরু হওয়া সংঘাত বিস্তৃত হয়েছে আরেক জেলায়।

পাহাড়ে সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে পার্বত্য শান্তিচুক্তি করা হয়েছে ১৯৯৭ সালে। কিন্তু শান্তি অধরাই রয়ে গেছে। কেন শান্তির দেখা মিলছে না? বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হিসেবে পাহাড়িদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারছে না। কেন পারছে না?

শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্যাঞ্চলে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ নানা সময় নানা ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। স্বার্থান্বেষী কোনো কোনো গোষ্ঠী অনেক সময় এর সুযোগ নেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর এই সুযোগ নেয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কি কোনো দায় নেই।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব পাহাড়েও পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর দেশের প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গনপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরেও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেখা গেছে। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হামলার মতো গর্হিত অপরাধে সম্পৃক্ত হতে দেখা গেছে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে। এর লাগাম টানা যাচ্ছে না কিছুতেই। খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি মারা যান। এরপর সেখানকার পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। বর্তমান প্রশাসন শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করলে পাহাড়ে এই ঘটনা নাও ঘটতে পারত।

পাহাড়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা যেন আরও খারাপ না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে শাস্তি দিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা জরুরি। সেখানে যেন আর জাতিগত সংঘাত না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয়কেই শান্ত থাকতে হবে, সংযম দেখাতে হবে। কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যেন ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তবে দীর্ঘমেয়াদে পার্বত্যাঞ্চলে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে পাহাড়িদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই দায়িত্ব প্রশাসনের, সরকারের। শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি। পাহাড়ের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। আমরা চাই, পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা পাক।

back to top