ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এডিস মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে মারা গেছেন ৪৮ জন। চলতি বছর এই রোগে এখন পর্যন্ত কোনো মাসে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু । এ বছর ডেঙ্গুরোগে মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৪ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ।
ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর বিস্তার বাড়ছে। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার দুইশ রোগী আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন ১৩ জন।
উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক শিশু ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে এ বছর কমপক্ষে তিন হাজার ৩৩৯টি শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এসব শিশুর বয়স ছিল শূন্য থেকে দশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু রোগীদের শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশাঙ্কা বেশি। ডেঙ্গু হলে শিশুদের একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই রোগ লিভার ও কিডনিকেও আক্রান্ত করে, যেটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ কারণে শিশু রোগীদের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
ডেঙ্গু একাধিকবার হতে পারে। যাদের আগে ডেঙ্গু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ডেঙ্গুরোগের ভয়াবহতা প্রতিরোধ করতে হলে যার যার স্থান থেকে প্রত্যেকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনেক পদক্ষেপ নেয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশা প্রতিরোধের সহজ ও মোক্ষম হাতিয়ার হচ্ছে মশারি। নাগরিকরা যদি মশারি ব্যবহারে মনোযোগী হন তাহলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বা এর বিস্তৃতির আশঙ্কা কমে। তারা বলছেন, সুস্থ মানুষকে তো বটেই, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও মশারি ব্যবহার করতে হবে।
এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে মানুষকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। এডিসের বংশ বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এডিস মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে মারা গেছেন ৪৮ জন। চলতি বছর এই রোগে এখন পর্যন্ত কোনো মাসে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু । এ বছর ডেঙ্গুরোগে মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৪ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ।
ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর বিস্তার বাড়ছে। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার দুইশ রোগী আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন ১৩ জন।
উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক শিশু ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে এ বছর কমপক্ষে তিন হাজার ৩৩৯টি শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এসব শিশুর বয়স ছিল শূন্য থেকে দশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু রোগীদের শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশাঙ্কা বেশি। ডেঙ্গু হলে শিশুদের একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই রোগ লিভার ও কিডনিকেও আক্রান্ত করে, যেটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ কারণে শিশু রোগীদের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
ডেঙ্গু একাধিকবার হতে পারে। যাদের আগে ডেঙ্গু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ডেঙ্গুরোগের ভয়াবহতা প্রতিরোধ করতে হলে যার যার স্থান থেকে প্রত্যেকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনেক পদক্ষেপ নেয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশা প্রতিরোধের সহজ ও মোক্ষম হাতিয়ার হচ্ছে মশারি। নাগরিকরা যদি মশারি ব্যবহারে মনোযোগী হন তাহলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বা এর বিস্তৃতির আশঙ্কা কমে। তারা বলছেন, সুস্থ মানুষকে তো বটেই, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও মশারি ব্যবহার করতে হবে।
এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে মানুষকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। এডিসের বংশ বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।