ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, কুমিল্লার চান্দিনার মাইজখার ইউনিয়নে কার্ডধারীদের না দিয়ে ডিলার ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের পছন্দের মানুষকে টিসিবির পণ্য দিয়েছেন।
তালিকা অনুযায়ী যারা দীর্ঘদিন ধরে টিসিবির পণ্য কিনেছেন তাদের কার্ড রেখে দিয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এর পরিবর্তে অনেক লোককে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে পণ্য দেয়া হয়েছে।
টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে জামালপুরেও। সেখানেও কার্ডধারীরা পণ্য কিনতে পারেননি। গত সোমবার জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়নে কার্ডধারী অনেকে পণ্য কিনতে না পেরে শূন্য হাতে ফিরে গেছেন। কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য কিনতে না পারলেও নতুন করে এক ধরনের সিøপ তৈরি করে কিছু ব্যক্তিকে পণ্য দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা অতীতেও শোনা গেছে। তবে অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এই অনিয়ম-দুর্নীতি নতুন মাত্রা পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যেসব কার্ডধারী টিসিবির পণ্য পাচ্ছিলেন তাদের পণ্য দেয়া হচ্ছে না। কেন তারা পণ্য পাচ্ছেন না সেটা আমরা জানতে চাইব।
আবার কার্ড নেই এমন অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা তথাকথিত সিøপের মাধ্যমে পণ্য পাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কার্ডের পরিবর্তে জাতীয় পরিচয়পত্র বা সিøপের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্তটি কে বা কারা নিয়েছেন। এটা কি সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকারি সিদ্ধান্ত না হলে কারা কাজটি করছেন সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
যাদের কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে তাদের কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করা হচ্ছে সেটাও জানা দরকার। বহু মানুষ পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন শূন্য হাতে। তাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে হতাশা ও ক্ষোভ। দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেয়ার লক্ষ্যে টিসিবি কার্যক্রম চালায়। নিয়ম অনুযায়ী, যাদের কাছে টিসিবির কার্ড আছে তারা সরকার নির্ধারিত দামে টিসিবির পণ্য কিনতে পারবে। এই নিয়মের ব্যতয় ঘটার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব।
আমরা বলতে চাই, টিসিবির পণ্য বিতরণে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। এসব অভিযোগের দ্রুত সুরাহা করতে হবে। প্রকৃত উপকারভোগীরা যেন পণ্য কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, কুমিল্লার চান্দিনার মাইজখার ইউনিয়নে কার্ডধারীদের না দিয়ে ডিলার ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের পছন্দের মানুষকে টিসিবির পণ্য দিয়েছেন।
তালিকা অনুযায়ী যারা দীর্ঘদিন ধরে টিসিবির পণ্য কিনেছেন তাদের কার্ড রেখে দিয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এর পরিবর্তে অনেক লোককে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে পণ্য দেয়া হয়েছে।
টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে জামালপুরেও। সেখানেও কার্ডধারীরা পণ্য কিনতে পারেননি। গত সোমবার জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়নে কার্ডধারী অনেকে পণ্য কিনতে না পেরে শূন্য হাতে ফিরে গেছেন। কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য কিনতে না পারলেও নতুন করে এক ধরনের সিøপ তৈরি করে কিছু ব্যক্তিকে পণ্য দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা অতীতেও শোনা গেছে। তবে অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এই অনিয়ম-দুর্নীতি নতুন মাত্রা পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যেসব কার্ডধারী টিসিবির পণ্য পাচ্ছিলেন তাদের পণ্য দেয়া হচ্ছে না। কেন তারা পণ্য পাচ্ছেন না সেটা আমরা জানতে চাইব।
আবার কার্ড নেই এমন অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা তথাকথিত সিøপের মাধ্যমে পণ্য পাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কার্ডের পরিবর্তে জাতীয় পরিচয়পত্র বা সিøপের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্তটি কে বা কারা নিয়েছেন। এটা কি সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকারি সিদ্ধান্ত না হলে কারা কাজটি করছেন সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
যাদের কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে তাদের কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করা হচ্ছে সেটাও জানা দরকার। বহু মানুষ পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন শূন্য হাতে। তাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে হতাশা ও ক্ষোভ। দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেয়ার লক্ষ্যে টিসিবি কার্যক্রম চালায়। নিয়ম অনুযায়ী, যাদের কাছে টিসিবির কার্ড আছে তারা সরকার নির্ধারিত দামে টিসিবির পণ্য কিনতে পারবে। এই নিয়মের ব্যতয় ঘটার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব।
আমরা বলতে চাই, টিসিবির পণ্য বিতরণে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। এসব অভিযোগের দ্রুত সুরাহা করতে হবে। প্রকৃত উপকারভোগীরা যেন পণ্য কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।