alt

সম্পাদকীয়

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকার বদলের পর ওষুধ কারখানা, জুতা কারখানা, পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদেরকে নানা দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে দেখা গেছে। অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের এখন আন্দোলন করতে দেখা না গেলও অনেক পোশাক কারখানার শ্রমিককে নানা দাবিতে পথে নামতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হচ্ছে। পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিক বিক্ষোভ কেন কমছে না সেই প্রশ্ন উঠেছে।

একেক পোশাক কারখানার শ্রমিকদের দাবি একেক রকম। তবে সব শ্রমিকই বেতন-ভাতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর সঙ্গে কারখানা ভেদে অনেকের আরও দাবিদাওয়া আছে। যেসব কারখানায় এখনো শ্রমিক অসন্তোষ রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এখনো অনেক কারখানার শ্রমিক পাননি বকেয়া বেতন।

শ্রমিক অসন্তোষ হলেই ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে পুঞ্জীভূত অনেক ক্ষোভ রয়েছে। কারখানার মালিকরা বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনকে দমন করেছেন। যথাযথভাবে ক্ষোভ প্রশমন না করায় শ্রমিক আন্দোলন অনেক সময় সংঘাতে রূপ নেয়। তখন একপক্ষ বলে, দাবিদাওয়া আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করা হচ্ছে না। আরেকপক্ষ বলে, ন্যায্য দাবিদাওয়া না মানার জন্য বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকরা ১৮টি দাবি উত্থাপন করেছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ শ্রমিকদের মজুরি এবং বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্ট’ বাড়ানোর দাবি কোনোভাবেই মানবে না বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা কী ভূমিকা নেবে সেটা একটা প্রশ্ন।

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পোশাক খাত ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কারণে এই ক্ষতি বাড়–ক সেটা কাম্য হতে পারে না। পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে জাতীয় অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেটা কারও জন্য সুখকর হবে না। শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক অবসান ঘটানো জরুরি। এজন্য খোলা মনে সব পক্ষকে আলোচনা করতে হবে। বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে সবাইকে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে হবে। এতে কালক্ষেপণ করা ঠিক হবে না।

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকার বদলের পর ওষুধ কারখানা, জুতা কারখানা, পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদেরকে নানা দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে দেখা গেছে। অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের এখন আন্দোলন করতে দেখা না গেলও অনেক পোশাক কারখানার শ্রমিককে নানা দাবিতে পথে নামতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হচ্ছে। পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিক বিক্ষোভ কেন কমছে না সেই প্রশ্ন উঠেছে।

একেক পোশাক কারখানার শ্রমিকদের দাবি একেক রকম। তবে সব শ্রমিকই বেতন-ভাতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর সঙ্গে কারখানা ভেদে অনেকের আরও দাবিদাওয়া আছে। যেসব কারখানায় এখনো শ্রমিক অসন্তোষ রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এখনো অনেক কারখানার শ্রমিক পাননি বকেয়া বেতন।

শ্রমিক অসন্তোষ হলেই ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে পুঞ্জীভূত অনেক ক্ষোভ রয়েছে। কারখানার মালিকরা বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনকে দমন করেছেন। যথাযথভাবে ক্ষোভ প্রশমন না করায় শ্রমিক আন্দোলন অনেক সময় সংঘাতে রূপ নেয়। তখন একপক্ষ বলে, দাবিদাওয়া আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করা হচ্ছে না। আরেকপক্ষ বলে, ন্যায্য দাবিদাওয়া না মানার জন্য বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকরা ১৮টি দাবি উত্থাপন করেছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ শ্রমিকদের মজুরি এবং বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্ট’ বাড়ানোর দাবি কোনোভাবেই মানবে না বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা কী ভূমিকা নেবে সেটা একটা প্রশ্ন।

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পোশাক খাত ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কারণে এই ক্ষতি বাড়–ক সেটা কাম্য হতে পারে না। পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে জাতীয় অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেটা কারও জন্য সুখকর হবে না। শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক অবসান ঘটানো জরুরি। এজন্য খোলা মনে সব পক্ষকে আলোচনা করতে হবে। বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে সবাইকে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে হবে। এতে কালক্ষেপণ করা ঠিক হবে না।

back to top