রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান বরাবরই হতাশাজনক। বিশ্বের যেসব শহরে বায়ুদূষণ বেশি তার তালিকায় রয়েছে ঢাকাও। সেই তালিকায় কখনো কখনো শীর্ষস্থানও দখল করে রাজধানী ঢাকা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুর মান প্রকাশ করে নিয়মিত। গত সোমবার সকালে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ২৭৮। সূচক অনুযায়ী, বাতাসের এই মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। উল্লিখিত সময়ে বিশ্বের ১২০টি শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ছিল শীর্ষে। কোনো শহরের বাতাস কতটা দূষিত সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ ও সতর্ক করে আইকিউএয়ার সূচক।
শহরের চারপাশে গড়ে উঠা ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের কারণে বায়ুমানের এমন পরিস্থিতি। এর ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শুষ্ক দিনে রাজধানীর বায়ুদূষণ তীব্র আকার ধারণ করে। বৃষ্টির সময় বাতাসের মান কিছুটা উন্নত হয়। বা কোনো কারণে কলকারখানা, গাড়ি বন্ধ থাকলে বায়ুর মান ভালো থাকে।
শীতকাল আসছে। তখন বায়ুদূষণ বিপজ্জনক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে কুয়াশার কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যায়, আর তাতে জমা হয় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা।
বায়ুদূষণ রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে উদ্যোগ নিতে হবে এখনই। বায়ুদূষণ মোকাবিলায় জরুরি কাজ হচ্ছে দূষণের উৎস বন্ধ করা। শহরের চারপাশের ইটভাটা উচ্ছেদ করা দরকার। বায়ুদূষণ করে এমন কলকারখানা রাজধানী থেকে সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা দরকার। জলাশয়গুলো রক্ষা করার বিকল্প নেই।
দূষিত বায়ুর মধ্যে নগরের মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে, সেই ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।
রাজধানীর যেসব উন্মুক্ত স্থান দখল হয়ে আছে, সেগুলো দখলমুক্ত করে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। রাজধানী ঢাকাকে ভারমুক্ত করতে হবে। এজন্য বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। একে সবুজ করে গড়ে তুলতে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সবার আগে বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান বরাবরই হতাশাজনক। বিশ্বের যেসব শহরে বায়ুদূষণ বেশি তার তালিকায় রয়েছে ঢাকাও। সেই তালিকায় কখনো কখনো শীর্ষস্থানও দখল করে রাজধানী ঢাকা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুর মান প্রকাশ করে নিয়মিত। গত সোমবার সকালে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ২৭৮। সূচক অনুযায়ী, বাতাসের এই মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। উল্লিখিত সময়ে বিশ্বের ১২০টি শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ছিল শীর্ষে। কোনো শহরের বাতাস কতটা দূষিত সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ ও সতর্ক করে আইকিউএয়ার সূচক।
শহরের চারপাশে গড়ে উঠা ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের কারণে বায়ুমানের এমন পরিস্থিতি। এর ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শুষ্ক দিনে রাজধানীর বায়ুদূষণ তীব্র আকার ধারণ করে। বৃষ্টির সময় বাতাসের মান কিছুটা উন্নত হয়। বা কোনো কারণে কলকারখানা, গাড়ি বন্ধ থাকলে বায়ুর মান ভালো থাকে।
শীতকাল আসছে। তখন বায়ুদূষণ বিপজ্জনক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে কুয়াশার কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যায়, আর তাতে জমা হয় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা।
বায়ুদূষণ রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে উদ্যোগ নিতে হবে এখনই। বায়ুদূষণ মোকাবিলায় জরুরি কাজ হচ্ছে দূষণের উৎস বন্ধ করা। শহরের চারপাশের ইটভাটা উচ্ছেদ করা দরকার। বায়ুদূষণ করে এমন কলকারখানা রাজধানী থেকে সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা দরকার। জলাশয়গুলো রক্ষা করার বিকল্প নেই।
দূষিত বায়ুর মধ্যে নগরের মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে, সেই ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।
রাজধানীর যেসব উন্মুক্ত স্থান দখল হয়ে আছে, সেগুলো দখলমুক্ত করে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। রাজধানী ঢাকাকে ভারমুক্ত করতে হবে। এজন্য বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। একে সবুজ করে গড়ে তুলতে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সবার আগে বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।