alt

সম্পাদকীয়

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের ভূখন্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি দরকার। বাংলাদেশ বনবিভাগ ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর; যা দেশের মোট আয়তনের ১৫.৫৮ শতাংশ এবং বন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০.৭৪ শতাংশ।

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমি কম; যা আছে সেটাকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না। সংরক্ষিত বন এলাকা রক্ষা করা ও দেখাশোনা করার জন্য নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারপরও বনভূমি কেন রক্ষা করা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের অনেক বনের জমি দখল করে আবাসন প্রকল্প, শিল্প-কারখানা, রিসোর্ট, পিকনিক স্পট প্রভৃতি গড়ে তুলতে দেখা যায়। এর সঙ্গে জড়িত থাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়ায়। সেখানে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বন বিভাগের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি বিভিন্ন মহলের কাছে দখলে রয়েছে।

সংরক্ষিত বনভূমির ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ দশমিক শূন্য ৬ একর দখলে আছে। দখলদার ও বনখেকোদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ শক্ত অবস্থান নিতে পারছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা মোকাদ্দামা করে কাজ সারছে। আইনি প্রক্রিয়ার

দীর্ঘসূত্রতার ফলে বনের জমি উদ্ধারে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। আর এই অবসরে দখলদাররা গাছপালা কেটে সাবাড় করছে। বন বিভাগের মনিটরিং যদি শক্ত হতো তাহলে দখলের শুরুতেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

বনভূমি ধ্বংস হওয়ার ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দেশের তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে এর দায় রয়েছে। গাছপালা কাটার ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, বনভূমি রক্ষা করতে হবে। কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংরক্ষিত বন দখলের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। কে বা কারা বন ধ্বংসের সাথে জড়িত তা চিহ্নিত করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বন বিভাগের জায়গায় কিভাবে স্থাপনা নির্মিত হলো আর সেটা বন বিভাগের দায়িত্বরতদের নজর এড়িয়ে গেল তাও খতিয়ে দেখা দরকার। অভিযোগ আছে, যারা বন দখল করে তাদের সাথে বনবিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনে যে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। বনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বন যাতে আবার দখল না হয়ে যায়Ñ সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের ভূখন্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি দরকার। বাংলাদেশ বনবিভাগ ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর; যা দেশের মোট আয়তনের ১৫.৫৮ শতাংশ এবং বন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০.৭৪ শতাংশ।

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমি কম; যা আছে সেটাকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না। সংরক্ষিত বন এলাকা রক্ষা করা ও দেখাশোনা করার জন্য নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারপরও বনভূমি কেন রক্ষা করা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের অনেক বনের জমি দখল করে আবাসন প্রকল্প, শিল্প-কারখানা, রিসোর্ট, পিকনিক স্পট প্রভৃতি গড়ে তুলতে দেখা যায়। এর সঙ্গে জড়িত থাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়ায়। সেখানে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বন বিভাগের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি বিভিন্ন মহলের কাছে দখলে রয়েছে।

সংরক্ষিত বনভূমির ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ দশমিক শূন্য ৬ একর দখলে আছে। দখলদার ও বনখেকোদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ শক্ত অবস্থান নিতে পারছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা মোকাদ্দামা করে কাজ সারছে। আইনি প্রক্রিয়ার

দীর্ঘসূত্রতার ফলে বনের জমি উদ্ধারে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। আর এই অবসরে দখলদাররা গাছপালা কেটে সাবাড় করছে। বন বিভাগের মনিটরিং যদি শক্ত হতো তাহলে দখলের শুরুতেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

বনভূমি ধ্বংস হওয়ার ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দেশের তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে এর দায় রয়েছে। গাছপালা কাটার ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, বনভূমি রক্ষা করতে হবে। কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংরক্ষিত বন দখলের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। কে বা কারা বন ধ্বংসের সাথে জড়িত তা চিহ্নিত করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বন বিভাগের জায়গায় কিভাবে স্থাপনা নির্মিত হলো আর সেটা বন বিভাগের দায়িত্বরতদের নজর এড়িয়ে গেল তাও খতিয়ে দেখা দরকার। অভিযোগ আছে, যারা বন দখল করে তাদের সাথে বনবিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনে যে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। বনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বন যাতে আবার দখল না হয়ে যায়Ñ সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

back to top