আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তুচ্ছ অনেক ঘটনাতেও জনসাধারণকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়া হচ্ছে। গণপিটুনির শিকার ব্যক্তি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মারাও যাচ্ছেন।
মাছ ধরার জাল চুরির অভিযোগে দিনাজপুরের শশরা ইউনিয়নের কাউগাঁও সাহেবগঞ্জ হাটখোলায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন লোক নদী থেকে মাছ ধরার রিং জাল ও কারেন্ট জাল চোর সন্দেহে উক্ত ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাঁশ ঝাড়ে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে তাকে পেটানো হয়। এ ঘটনায় উক্ত ব্যক্তি মারা যান।
আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এর প্রবণতা বেড়েছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমেও শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এ কারণে কারও কারও এমন ধারণা হচ্ছে যে, এই সময় আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কোনো শাস্তি হবে না। গণপিটুনির দু-একটি ঘটনা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা হলে অভিযুক্তদের ধরা হয়। তবে বেশির ভাগ গণপিটুনির ঘটনার বিচার হয় না। এ কারণে উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে উৎসাহী হয়।
সম্প্রতি দেশে জনসাধারণের সম্মিলিত ক্ষোভের শিকার হয়েছেন অনেক ব্যক্তি। এসব ঘটনায় অনেক সময় মারা যান নিরীহ মানুষ। গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
যে কোনো মূল্যে মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে। একজন অপরাধীরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করা চলে না। মব জাস্টিসের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। মব জাস্টিসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।
রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তুচ্ছ অনেক ঘটনাতেও জনসাধারণকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়া হচ্ছে। গণপিটুনির শিকার ব্যক্তি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মারাও যাচ্ছেন।
মাছ ধরার জাল চুরির অভিযোগে দিনাজপুরের শশরা ইউনিয়নের কাউগাঁও সাহেবগঞ্জ হাটখোলায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন লোক নদী থেকে মাছ ধরার রিং জাল ও কারেন্ট জাল চোর সন্দেহে উক্ত ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাঁশ ঝাড়ে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে তাকে পেটানো হয়। এ ঘটনায় উক্ত ব্যক্তি মারা যান।
আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এর প্রবণতা বেড়েছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমেও শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এ কারণে কারও কারও এমন ধারণা হচ্ছে যে, এই সময় আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কোনো শাস্তি হবে না। গণপিটুনির দু-একটি ঘটনা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা হলে অভিযুক্তদের ধরা হয়। তবে বেশির ভাগ গণপিটুনির ঘটনার বিচার হয় না। এ কারণে উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে উৎসাহী হয়।
সম্প্রতি দেশে জনসাধারণের সম্মিলিত ক্ষোভের শিকার হয়েছেন অনেক ব্যক্তি। এসব ঘটনায় অনেক সময় মারা যান নিরীহ মানুষ। গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
যে কোনো মূল্যে মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে। একজন অপরাধীরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করা চলে না। মব জাস্টিসের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। মব জাস্টিসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।