alt

সম্পাদকীয়

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

: রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তুচ্ছ অনেক ঘটনাতেও জনসাধারণকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়া হচ্ছে। গণপিটুনির শিকার ব্যক্তি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মারাও যাচ্ছেন।

মাছ ধরার জাল চুরির অভিযোগে দিনাজপুরের শশরা ইউনিয়নের কাউগাঁও সাহেবগঞ্জ হাটখোলায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন লোক নদী থেকে মাছ ধরার রিং জাল ও কারেন্ট জাল চোর সন্দেহে উক্ত ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাঁশ ঝাড়ে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে তাকে পেটানো হয়। এ ঘটনায় উক্ত ব্যক্তি মারা যান।

আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এর প্রবণতা বেড়েছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমেও শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এ কারণে কারও কারও এমন ধারণা হচ্ছে যে, এই সময় আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কোনো শাস্তি হবে না। গণপিটুনির দু-একটি ঘটনা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা হলে অভিযুক্তদের ধরা হয়। তবে বেশির ভাগ গণপিটুনির ঘটনার বিচার হয় না। এ কারণে উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে উৎসাহী হয়।

সম্প্রতি দেশে জনসাধারণের সম্মিলিত ক্ষোভের শিকার হয়েছেন অনেক ব্যক্তি। এসব ঘটনায় অনেক সময় মারা যান নিরীহ মানুষ। গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

যে কোনো মূল্যে মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে। একজন অপরাধীরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করা চলে না। মব জাস্টিসের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। মব জাস্টিসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তুচ্ছ অনেক ঘটনাতেও জনসাধারণকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়া হচ্ছে। গণপিটুনির শিকার ব্যক্তি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মারাও যাচ্ছেন।

মাছ ধরার জাল চুরির অভিযোগে দিনাজপুরের শশরা ইউনিয়নের কাউগাঁও সাহেবগঞ্জ হাটখোলায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন লোক নদী থেকে মাছ ধরার রিং জাল ও কারেন্ট জাল চোর সন্দেহে উক্ত ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাঁশ ঝাড়ে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে তাকে পেটানো হয়। এ ঘটনায় উক্ত ব্যক্তি মারা যান।

আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এর প্রবণতা বেড়েছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমেও শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এ কারণে কারও কারও এমন ধারণা হচ্ছে যে, এই সময় আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কোনো শাস্তি হবে না। গণপিটুনির দু-একটি ঘটনা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা হলে অভিযুক্তদের ধরা হয়। তবে বেশির ভাগ গণপিটুনির ঘটনার বিচার হয় না। এ কারণে উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে উৎসাহী হয়।

সম্প্রতি দেশে জনসাধারণের সম্মিলিত ক্ষোভের শিকার হয়েছেন অনেক ব্যক্তি। এসব ঘটনায় অনেক সময় মারা যান নিরীহ মানুষ। গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

যে কোনো মূল্যে মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে। একজন অপরাধীরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করা চলে না। মব জাস্টিসের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। মব জাস্টিসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।

back to top