মধ্যপ্রাচ্যের সংকট বেড়েই চলেছে। এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। লেবাননে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সেখানে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল, পাশাপাশি গাজাতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এসব ঘটনাপ্রবাহ মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইরান অভিযোগ করে বলেছে, লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরানকেও টেনে এনে মধ্যেপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করতে চায় ইসরায়েল।
বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আক্রমণ অব্যাহত রাখবে; সেখানে তাদের বিরোধী শক্তিগুলোও চুপ করে থাকবে না। কাজেই এই অঞ্চলে সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত-সংঘর্ষে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। পরিবার-পরিজন ও ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেককে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো মানুষ। ইসরায়েলের বিমান হামলার পর দক্ষিণ লেবাননের অসংখ্য পরিবারকে বৈরুতের সড়কে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ লাখের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের দিতে হচ্ছে চরম মূল্য। যুদ্ধের জের মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে কত দূর পর্যন্ত বইতে হবে সেটা কেউ জানে না।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লেবাননে যুদ্ধবিরতি চেয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে, এর আগে লেবাননে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইসরায়েল।
আমরা বলতে চাই, শান্তিকামী কোনো মানুষ যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধ কেবল মধ্যপ্রাচ্য বা একটি অঞ্চলের মানুষকেই বিপর্যস্ত করছে না, বিশ্ব মানবতাকেই বিপর্যস্ত করছে, বিশ্বশান্তিকে করছে বিঘিœত। মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতমুখর পরিস্থিতি নিরসনে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে, বিশ্বনেতাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজতে হবে।
মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪
মধ্যপ্রাচ্যের সংকট বেড়েই চলেছে। এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। লেবাননে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সেখানে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল, পাশাপাশি গাজাতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এসব ঘটনাপ্রবাহ মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইরান অভিযোগ করে বলেছে, লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরানকেও টেনে এনে মধ্যেপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করতে চায় ইসরায়েল।
বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আক্রমণ অব্যাহত রাখবে; সেখানে তাদের বিরোধী শক্তিগুলোও চুপ করে থাকবে না। কাজেই এই অঞ্চলে সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত-সংঘর্ষে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। পরিবার-পরিজন ও ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেককে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো মানুষ। ইসরায়েলের বিমান হামলার পর দক্ষিণ লেবাননের অসংখ্য পরিবারকে বৈরুতের সড়কে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ লাখের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের দিতে হচ্ছে চরম মূল্য। যুদ্ধের জের মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে কত দূর পর্যন্ত বইতে হবে সেটা কেউ জানে না।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লেবাননে যুদ্ধবিরতি চেয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে, এর আগে লেবাননে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইসরায়েল।
আমরা বলতে চাই, শান্তিকামী কোনো মানুষ যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধ কেবল মধ্যপ্রাচ্য বা একটি অঞ্চলের মানুষকেই বিপর্যস্ত করছে না, বিশ্ব মানবতাকেই বিপর্যস্ত করছে, বিশ্বশান্তিকে করছে বিঘিœত। মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতমুখর পরিস্থিতি নিরসনে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে, বিশ্বনেতাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজতে হবে।