alt

সম্পাদকীয়

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

: মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

কর্মসংস্থানের প্রশ্নে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের সুযোগ তৈরি হয়। যে কারণে দেশে অনেক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের যুগোপযোগী কারিগরির প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য সারাদেশে ৬টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৫-২৫ বছর বয়সী এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন হওয়ার সুযোগ তৈরি করাই এর লক্ষ্য। তারা যেন সমাজ ও পরিবারের বোঝা না হয়ে নিজেরাই স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অবদান রাখতে পারে।

এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণের খুলনা বিভাগের আশাশুনি সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির সমস্যার শেষ নাই। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৬ সালে হলেও কার্যক্রম শুরু করে ২০১৩ সাল হতে। প্রশিক্ষকের অভাবে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি কম্পিউটার, এমব্রয়ডারিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি। ২০১৪ সালে মেশিনগুলো স্থাপন করা হলেও আজও নিয়োগ দেয়া হয়নি কোন প্রশিক্ষক। ফলে অযতœ-অবহেলায় নষ্ট হতে চলেছে কোটি টাকার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

আবাশিক প্রশিক্ষণার্থীদের তিনবেলা খাবারের জন্য দৈনিক ১০০ টাকা করে বরাদ্দ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট ও অন্যান্য খরচ কর্তনবাদ দেওয়া হয় ৮০ টাকা। এ টাকায় বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী একজনের তিনবেলা খাওয়া দাওয়া সম্ভব না। এছাড়া লবণাক্ত এলাকায় রয়েছে সুপেয় পানির সংকট। ১০০টি আসনের বিপরীতে মাত্র ৭০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হলে যেমন দরকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তেমন দরকার দক্ষ প্রশিক্ষকও; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষক নেই, আবার কোথাও কোথাও পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীও নেই। কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি দেখাশোনা করার নেই দক্ষ প্রশাসনিক জনবল। এ অবস্থার অবসান ঘটানো জরুরি।

এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটিকে সফল করতে হবে। কাজেই উক্ত প্রতিষ্ঠানে জনবলের ঘাটতি দ্রুতই দূর করতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করতে হবে।

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

কর্মসংস্থানের প্রশ্নে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের সুযোগ তৈরি হয়। যে কারণে দেশে অনেক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের যুগোপযোগী কারিগরির প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য সারাদেশে ৬টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৫-২৫ বছর বয়সী এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন হওয়ার সুযোগ তৈরি করাই এর লক্ষ্য। তারা যেন সমাজ ও পরিবারের বোঝা না হয়ে নিজেরাই স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অবদান রাখতে পারে।

এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণের খুলনা বিভাগের আশাশুনি সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির সমস্যার শেষ নাই। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৬ সালে হলেও কার্যক্রম শুরু করে ২০১৩ সাল হতে। প্রশিক্ষকের অভাবে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি কম্পিউটার, এমব্রয়ডারিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি। ২০১৪ সালে মেশিনগুলো স্থাপন করা হলেও আজও নিয়োগ দেয়া হয়নি কোন প্রশিক্ষক। ফলে অযতœ-অবহেলায় নষ্ট হতে চলেছে কোটি টাকার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

আবাশিক প্রশিক্ষণার্থীদের তিনবেলা খাবারের জন্য দৈনিক ১০০ টাকা করে বরাদ্দ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট ও অন্যান্য খরচ কর্তনবাদ দেওয়া হয় ৮০ টাকা। এ টাকায় বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী একজনের তিনবেলা খাওয়া দাওয়া সম্ভব না। এছাড়া লবণাক্ত এলাকায় রয়েছে সুপেয় পানির সংকট। ১০০টি আসনের বিপরীতে মাত্র ৭০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হলে যেমন দরকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তেমন দরকার দক্ষ প্রশিক্ষকও; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষক নেই, আবার কোথাও কোথাও পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীও নেই। কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি দেখাশোনা করার নেই দক্ষ প্রশাসনিক জনবল। এ অবস্থার অবসান ঘটানো জরুরি।

এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটিকে সফল করতে হবে। কাজেই উক্ত প্রতিষ্ঠানে জনবলের ঘাটতি দ্রুতই দূর করতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করতে হবে।

back to top