alt

সম্পাদকীয়

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

: বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় চলমান বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নতুন করে প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে তিন উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্গত এলাকার মানুষদের সহায়তার জন্য ত্রাণ, চাল ও নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে। অবশ্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের মুখে পড়েছেন সেখানকার মানুষ। বিশেষ করে ধোবাউড়ার অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও সদর উপজেলায় বন্যার বিস্তৃতি ঘটেছে। এতে ১২৩টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বন্যার কারণে ১৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল, বিশেষ করে আমন ধান ও সবজি খেত, তলিয়ে গেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে।

শেরপুর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বন্যার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নকলা উপজেলায় বন্যার পানিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শেরপুরে এখনো খাদ্য ও পানি সংকট রয়ে গেছে। গ্রামীণ সড়কগুলো বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। এ কারণে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘœ ঘটছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ দেয়া হচ্ছে তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা আশা করব, ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো হবে। বন্যার পর দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা জরুরি।

কয়েক দফায় বন্যার কারণে এবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষি, অবকাঠামো এবং জনজীবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছরই বন্যার কারণে ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় এবং মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এই ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নদীর গভীরতা বাড়িয়ে বন্যার পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানো দরকার।

নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করে বন্যার ক্ষতি কমানো সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বন্যার পূর্বাভাস ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটানো দরকার। সেটা করা গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আগেভাগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমানো সম্ভব হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাস্তা, ব্রিজ এবং অন্যান্য অবকাঠামো বন্যা প্রতিরোধী করে নির্মাণ করা জরুরি। আগামীতে বন্যা মোকাবিলার জন্য বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টরা বিবেচনায় রাখবেন সেটা আমাদের আশা।

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

tab

সম্পাদকীয়

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় চলমান বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নতুন করে প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে তিন উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্গত এলাকার মানুষদের সহায়তার জন্য ত্রাণ, চাল ও নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে। অবশ্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের মুখে পড়েছেন সেখানকার মানুষ। বিশেষ করে ধোবাউড়ার অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও সদর উপজেলায় বন্যার বিস্তৃতি ঘটেছে। এতে ১২৩টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বন্যার কারণে ১৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল, বিশেষ করে আমন ধান ও সবজি খেত, তলিয়ে গেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে।

শেরপুর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বন্যার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নকলা উপজেলায় বন্যার পানিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শেরপুরে এখনো খাদ্য ও পানি সংকট রয়ে গেছে। গ্রামীণ সড়কগুলো বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। এ কারণে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘœ ঘটছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ দেয়া হচ্ছে তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা আশা করব, ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো হবে। বন্যার পর দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা জরুরি।

কয়েক দফায় বন্যার কারণে এবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষি, অবকাঠামো এবং জনজীবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছরই বন্যার কারণে ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় এবং মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এই ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নদীর গভীরতা বাড়িয়ে বন্যার পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানো দরকার।

নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করে বন্যার ক্ষতি কমানো সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বন্যার পূর্বাভাস ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটানো দরকার। সেটা করা গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আগেভাগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমানো সম্ভব হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাস্তা, ব্রিজ এবং অন্যান্য অবকাঠামো বন্যা প্রতিরোধী করে নির্মাণ করা জরুরি। আগামীতে বন্যা মোকাবিলার জন্য বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টরা বিবেচনায় রাখবেন সেটা আমাদের আশা।

back to top