alt

সম্পাদকীয়

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

: শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

আমাদের দেশে পশু জবাই সাধারণত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করলে অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্ক, যক্ষ্মার মতো বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই খোলা স্থানে পশু জবাই হয় এবং সেই মাংস অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছোট দোকানগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি এবং ভেটেরিনারি কর্মকর্তার ছাড়পত্র ছাড়াই হাট-বাজারে অবাধে পশু জবাই করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে পচা ও অস্বাস্থ্যকর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে, যা মানুষের জন্য বিপজ্জনক। জানা যায়, প্রতিদিন ভোরে প্রায় ৫০-৬০টি পশু সবার অগোচরে জবাই করা হয়, যেখানে ভেটেরিনারি কর্মকর্তার অনুমোদন নেই। তদারকির অভাবে এসব পশুর মাংস বাজারে বিক্রি হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে এই মাংস কিনছেন, যদিও তারা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পশু জবাইয়ের আগে তাদের রোগবালাই আছে কিনা তা পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা নেই, যে কারণে হাট-বাজারে পশু জবাইয়ের প্রশ্নে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না।

স্বাস্থ্যবিধি এবং ভেটেরিনারি কর্মকর্তার ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাইয়ের চিত্র এই একটিই নয়; দেশের প্রায় সব স্থানেই এমন ঘটনা ঘটে।

আমরা বলতে চাই, দেশের প্রতিটি স্থানে, বিশেষ করে হাট-বাজার এলাকায়, পশু জবাইখানা স্থাপন করা উচিত। প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের অধীনে ভেটেরিনারি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হোক। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হোক। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ২০১১ সালে প্রণীত ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন’ কার্যকর করতে এবং এর তদারকি সংস্থাগুলোকে নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। পশু জবাইয়ে সংশ্লিষ্টদের আইন মানতে বাধ্য করা হবে। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাদের প্রয়োজনে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

আমাদের দেশে পশু জবাই সাধারণত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করলে অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্ক, যক্ষ্মার মতো বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই খোলা স্থানে পশু জবাই হয় এবং সেই মাংস অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছোট দোকানগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি এবং ভেটেরিনারি কর্মকর্তার ছাড়পত্র ছাড়াই হাট-বাজারে অবাধে পশু জবাই করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে পচা ও অস্বাস্থ্যকর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে, যা মানুষের জন্য বিপজ্জনক। জানা যায়, প্রতিদিন ভোরে প্রায় ৫০-৬০টি পশু সবার অগোচরে জবাই করা হয়, যেখানে ভেটেরিনারি কর্মকর্তার অনুমোদন নেই। তদারকির অভাবে এসব পশুর মাংস বাজারে বিক্রি হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে এই মাংস কিনছেন, যদিও তারা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পশু জবাইয়ের আগে তাদের রোগবালাই আছে কিনা তা পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা নেই, যে কারণে হাট-বাজারে পশু জবাইয়ের প্রশ্নে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না।

স্বাস্থ্যবিধি এবং ভেটেরিনারি কর্মকর্তার ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাইয়ের চিত্র এই একটিই নয়; দেশের প্রায় সব স্থানেই এমন ঘটনা ঘটে।

আমরা বলতে চাই, দেশের প্রতিটি স্থানে, বিশেষ করে হাট-বাজার এলাকায়, পশু জবাইখানা স্থাপন করা উচিত। প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের অধীনে ভেটেরিনারি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হোক। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হোক। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ২০১১ সালে প্রণীত ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন’ কার্যকর করতে এবং এর তদারকি সংস্থাগুলোকে নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। পশু জবাইয়ে সংশ্লিষ্টদের আইন মানতে বাধ্য করা হবে। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাদের প্রয়োজনে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।

back to top