alt

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

: রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি, সবজি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছে, সবজির কেজি গড়ে ১০০ টাকার উপরে আর মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের অভাব সাধারণ ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।

মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে তারা কোনো স্বস্তি পাচ্ছেন না। পরিবারগুলোর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটেই, মধ্যবিত্তরাও বর্তমানে নিজেদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরাও পণ্যের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের বিনিয়োগ দ্বিগুণ করতে হচ্ছে, লাভের পরিমাণ কমছে, আর পণ্যের সরবরাহেও অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মতে, পণ্য কিনতে আগের তুলনায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে, ফলে ক্রেতাদেরও তা সামলাতে কষ্ট হচ্ছে।

বাজারের এই অস্থিতিশীলতার পেছনে একাধিক কারণ বিদ্যমান। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বাজারে স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু তদারকির অভাব। সরকারের কিছু পদক্ষেপ যেমনÑ শুল্ক কমানো এবং টাস্কফোর্স গঠন ইতিবাচক, কিন্তু তা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।

নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তির মুখোমুখি। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কেবল শুল্ক কমানো বা টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে হবে না বলে অনেকে মনে করছেন। পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের সঠিক পরিসংখ্যান রাখা, মজুতদারি বন্ধ করা এবং বাজারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ভাঙার জন্য আরও শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

বাজারে একক বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হলে মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, পোলট্রি শিল্পে মুরগি ও ডিমের বাজার কয়েকটি কোম্পানির হাতে চলে গেছে। তাদের ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণের কারণে মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ছে। এই একচেটিয়া ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া দরকার। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের উন্নয়ন ও পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে আরও তৎপর হতে হবে।

সঠিক বাজার নিয়ন্ত্রণ, মজুতদারি রোধ এবং প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি, সবজি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছে, সবজির কেজি গড়ে ১০০ টাকার উপরে আর মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের অভাব সাধারণ ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।

মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে তারা কোনো স্বস্তি পাচ্ছেন না। পরিবারগুলোর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটেই, মধ্যবিত্তরাও বর্তমানে নিজেদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরাও পণ্যের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের বিনিয়োগ দ্বিগুণ করতে হচ্ছে, লাভের পরিমাণ কমছে, আর পণ্যের সরবরাহেও অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মতে, পণ্য কিনতে আগের তুলনায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে, ফলে ক্রেতাদেরও তা সামলাতে কষ্ট হচ্ছে।

বাজারের এই অস্থিতিশীলতার পেছনে একাধিক কারণ বিদ্যমান। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বাজারে স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু তদারকির অভাব। সরকারের কিছু পদক্ষেপ যেমনÑ শুল্ক কমানো এবং টাস্কফোর্স গঠন ইতিবাচক, কিন্তু তা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।

নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তির মুখোমুখি। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কেবল শুল্ক কমানো বা টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে হবে না বলে অনেকে মনে করছেন। পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের সঠিক পরিসংখ্যান রাখা, মজুতদারি বন্ধ করা এবং বাজারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ভাঙার জন্য আরও শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

বাজারে একক বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হলে মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, পোলট্রি শিল্পে মুরগি ও ডিমের বাজার কয়েকটি কোম্পানির হাতে চলে গেছে। তাদের ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণের কারণে মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ছে। এই একচেটিয়া ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া দরকার। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের উন্নয়ন ও পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে আরও তৎপর হতে হবে।

সঠিক বাজার নিয়ন্ত্রণ, মজুতদারি রোধ এবং প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।

back to top