দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু এবং ৯১৫ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতির বিপদ সংকেত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় আরও গুরুতর আকার ধারণ করছে।
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১,৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ডেঙ্গুর সংক্রমণের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র ঢাকা মহানগর। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে শুধু ঢাকা নয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কিছুটা কম, তবুও এটি পুরো দেশেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ এবং মৃত্যু রোধ করতে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। সরকার এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। ডেঙ্গুর উৎসস্থল এডিস মশা, যা বাসাবাড়ির আশপাশের জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে। এ কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা এবং মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা। মশা নিধনে আরও কার্যকর অভিযান চালানো প্রয়োজন। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে প্রয়োজন নিয়মিত ফগিং এবং লার্ভিসাইড প্রয়োগ।
ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব এলাকায় চিকিৎসা সেবা উন্নত করতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো অপরিহার্য। সাধারণ জনগণকে ডেঙ্গুর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। অনেকেই ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে সাধারণ জ্বর হিসেবে গ্রহণ করেন এবং সময়মতো চিকিৎসা না করানোর ফলে রোগ জটিল আকার ধারণ করে। তাই গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় পর্যায়ের সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে আরও অবগত করতে হবে।
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু এবং ৯১৫ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতির বিপদ সংকেত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় আরও গুরুতর আকার ধারণ করছে।
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১,৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ডেঙ্গুর সংক্রমণের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র ঢাকা মহানগর। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে শুধু ঢাকা নয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কিছুটা কম, তবুও এটি পুরো দেশেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ এবং মৃত্যু রোধ করতে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। সরকার এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। ডেঙ্গুর উৎসস্থল এডিস মশা, যা বাসাবাড়ির আশপাশের জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে। এ কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা এবং মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা। মশা নিধনে আরও কার্যকর অভিযান চালানো প্রয়োজন। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে প্রয়োজন নিয়মিত ফগিং এবং লার্ভিসাইড প্রয়োগ।
ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব এলাকায় চিকিৎসা সেবা উন্নত করতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো অপরিহার্য। সাধারণ জনগণকে ডেঙ্গুর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। অনেকেই ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে সাধারণ জ্বর হিসেবে গ্রহণ করেন এবং সময়মতো চিকিৎসা না করানোর ফলে রোগ জটিল আকার ধারণ করে। তাই গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় পর্যায়ের সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে আরও অবগত করতে হবে।