alt

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

: সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু এবং ৯১৫ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতির বিপদ সংকেত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় আরও গুরুতর আকার ধারণ করছে।

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১,৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ডেঙ্গুর সংক্রমণের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র ঢাকা মহানগর। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে শুধু ঢাকা নয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কিছুটা কম, তবুও এটি পুরো দেশেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

ডেঙ্গুর প্রকোপ এবং মৃত্যু রোধ করতে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। সরকার এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। ডেঙ্গুর উৎসস্থল এডিস মশা, যা বাসাবাড়ির আশপাশের জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে। এ কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা এবং মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা। মশা নিধনে আরও কার্যকর অভিযান চালানো প্রয়োজন। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে প্রয়োজন নিয়মিত ফগিং এবং লার্ভিসাইড প্রয়োগ।

ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব এলাকায় চিকিৎসা সেবা উন্নত করতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো অপরিহার্য। সাধারণ জনগণকে ডেঙ্গুর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। অনেকেই ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে সাধারণ জ্বর হিসেবে গ্রহণ করেন এবং সময়মতো চিকিৎসা না করানোর ফলে রোগ জটিল আকার ধারণ করে। তাই গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় পর্যায়ের সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে আরও অবগত করতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু এবং ৯১৫ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতির বিপদ সংকেত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় আরও গুরুতর আকার ধারণ করছে।

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১,৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ডেঙ্গুর সংক্রমণের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র ঢাকা মহানগর। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে শুধু ঢাকা নয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কিছুটা কম, তবুও এটি পুরো দেশেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

ডেঙ্গুর প্রকোপ এবং মৃত্যু রোধ করতে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। সরকার এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। ডেঙ্গুর উৎসস্থল এডিস মশা, যা বাসাবাড়ির আশপাশের জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে। এ কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা এবং মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা। মশা নিধনে আরও কার্যকর অভিযান চালানো প্রয়োজন। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে প্রয়োজন নিয়মিত ফগিং এবং লার্ভিসাইড প্রয়োগ।

ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব এলাকায় চিকিৎসা সেবা উন্নত করতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো অপরিহার্য। সাধারণ জনগণকে ডেঙ্গুর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। অনেকেই ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে সাধারণ জ্বর হিসেবে গ্রহণ করেন এবং সময়মতো চিকিৎসা না করানোর ফলে রোগ জটিল আকার ধারণ করে। তাই গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় পর্যায়ের সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে আরও অবগত করতে হবে।

back to top