জলাবদ্ধতা দেশের অনেক স্থানের বড় একটি সমস্যা, যা প্রতি বর্ষা মৌসুমেই নতুন করে দেখা দেয়। বিশেষ করে খাল-নদী ভরাট, অপরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলা, এবং অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এ সমস্যা ক্রমেই তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব সমস্যা শুধু জনদুর্ভোগই সৃষ্টি করছে না, শিক্ষা কার্যক্রমকেও ব্যাহত করছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গুরুতর হুমকি।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার উদাহরণটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, কিভাবে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ছে। পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর কেডস ভিজে যাওয়া বা শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের অসুবিধা নিছক একটি ব্যক্তিগত কষ্ট নয়, এটি একটি বৃহত্তর সমস্যার বহির্প্রকাশ। বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে খেলাধুলা করতে পারছে না, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শুধু ক্লাস করতে আসবে, এমনটা নয়Ñবিদ্যালয় একটি পরিবেশ, যেখানে তারা সামাজিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকশিত হয়। এই ধরনের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে, তা শিক্ষা কার্যক্রমকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি এলেও, এটি স্পষ্ট যে, সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান ছাড়া এ ধরনের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। প্রথমত, এ সমস্যার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করা দরকার, যেমন খাল ভরাট, ড্রেনেজ অব্যবস্থা এবং খালগুলোতে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা। এর পাশাপাশি, খাল পুনর্খনন, পুকুর ভরাট বন্ধ করা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার মতো পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদি সমাধানের চেয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, পুরো সমাজের জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া শুধু শিক্ষার্থীদের সমস্যা নয়; এটি জাতির ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এ সমস্যা সমাধানে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
জলাবদ্ধতা দেশের অনেক স্থানের বড় একটি সমস্যা, যা প্রতি বর্ষা মৌসুমেই নতুন করে দেখা দেয়। বিশেষ করে খাল-নদী ভরাট, অপরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলা, এবং অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এ সমস্যা ক্রমেই তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব সমস্যা শুধু জনদুর্ভোগই সৃষ্টি করছে না, শিক্ষা কার্যক্রমকেও ব্যাহত করছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গুরুতর হুমকি।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার উদাহরণটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, কিভাবে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ছে। পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর কেডস ভিজে যাওয়া বা শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের অসুবিধা নিছক একটি ব্যক্তিগত কষ্ট নয়, এটি একটি বৃহত্তর সমস্যার বহির্প্রকাশ। বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে খেলাধুলা করতে পারছে না, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শুধু ক্লাস করতে আসবে, এমনটা নয়Ñবিদ্যালয় একটি পরিবেশ, যেখানে তারা সামাজিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকশিত হয়। এই ধরনের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে, তা শিক্ষা কার্যক্রমকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি এলেও, এটি স্পষ্ট যে, সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান ছাড়া এ ধরনের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। প্রথমত, এ সমস্যার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করা দরকার, যেমন খাল ভরাট, ড্রেনেজ অব্যবস্থা এবং খালগুলোতে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা। এর পাশাপাশি, খাল পুনর্খনন, পুকুর ভরাট বন্ধ করা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার মতো পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদি সমাধানের চেয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, পুরো সমাজের জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া শুধু শিক্ষার্থীদের সমস্যা নয়; এটি জাতির ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এ সমস্যা সমাধানে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।