বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি তুলে আদালত ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়ে বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আরেকটি মন্দ নজির স্থাপন করা হলো। মাসদুয়েক আগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে একই ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল দেশে। বিচারপতিদের অপসারণের জন্য এ ধরনের চাপ প্রয়োগ ও আন্দোলন বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলার জন্য শুভ নয়।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, বিচারকদের পদত্যাগের বা দায়িত্ব পালনে বিরত রাখার পেছনে ‘ভালো উদ্দেশ্য’ রয়েছে তাহলেও এক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে সেটাকে কোনোমতেই সমর্থন করা চলে না। এই প্রক্রিয়ার কারণে ‘ভালো উদ্দেশ্যও’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বিহিত করার জন্য নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে। অভিযুক্ত কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। সেটা না করে, পদত্যাগের দাবি তুলে, আদালত ঘেরাও করে চাপ প্রয়োগ করা সঙ্গত নয়। আর এ ধরনের চাপের ভিত্তিতে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও বাঞ্ছণীয় হতে পারে না। বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে যদি আন্দোলন-ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায় তাহলে বিচার বিভাগের কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।
আদালত ঘেরাওয়ের ঘটনায় দেশে ইতোমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ অভিযোগ করছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী বিচারকদের কারণে বিচার বিভাগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধান মোতাবেক বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে, এবং সেটিই অনুসরণ করা উচিত। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রাষ্ট্রের একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। আদালত হচ্ছে বিচারপ্রার্থী মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। কোনো কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হলে ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে যেতে পারে।
কোনো কারণে কোনো বিচারককে অপসারণে প্রয়োজন পড়তে পারে। আমরা আশা করব, সেক্ষেত্রে নিয়মনীতি অনুসরণ করা হবে, গায়ের জোরে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া কাম্য হতে পারে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে, যাতে ন্যায়বিচারের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়।
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি তুলে আদালত ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়ে বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আরেকটি মন্দ নজির স্থাপন করা হলো। মাসদুয়েক আগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে একই ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল দেশে। বিচারপতিদের অপসারণের জন্য এ ধরনের চাপ প্রয়োগ ও আন্দোলন বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলার জন্য শুভ নয়।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, বিচারকদের পদত্যাগের বা দায়িত্ব পালনে বিরত রাখার পেছনে ‘ভালো উদ্দেশ্য’ রয়েছে তাহলেও এক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে সেটাকে কোনোমতেই সমর্থন করা চলে না। এই প্রক্রিয়ার কারণে ‘ভালো উদ্দেশ্যও’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বিহিত করার জন্য নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে। অভিযুক্ত কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। সেটা না করে, পদত্যাগের দাবি তুলে, আদালত ঘেরাও করে চাপ প্রয়োগ করা সঙ্গত নয়। আর এ ধরনের চাপের ভিত্তিতে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও বাঞ্ছণীয় হতে পারে না। বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে যদি আন্দোলন-ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায় তাহলে বিচার বিভাগের কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।
আদালত ঘেরাওয়ের ঘটনায় দেশে ইতোমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ অভিযোগ করছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী বিচারকদের কারণে বিচার বিভাগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধান মোতাবেক বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে, এবং সেটিই অনুসরণ করা উচিত। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রাষ্ট্রের একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। আদালত হচ্ছে বিচারপ্রার্থী মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। কোনো কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হলে ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে যেতে পারে।
কোনো কারণে কোনো বিচারককে অপসারণে প্রয়োজন পড়তে পারে। আমরা আশা করব, সেক্ষেত্রে নিয়মনীতি অনুসরণ করা হবে, গায়ের জোরে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া কাম্য হতে পারে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে, যাতে ন্যায়বিচারের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়।