alt

সম্পাদকীয়

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

: শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি তুলে আদালত ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়ে বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আরেকটি মন্দ নজির স্থাপন করা হলো। মাসদুয়েক আগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে একই ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল দেশে। বিচারপতিদের অপসারণের জন্য এ ধরনের চাপ প্রয়োগ ও আন্দোলন বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলার জন্য শুভ নয়।

তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, বিচারকদের পদত্যাগের বা দায়িত্ব পালনে বিরত রাখার পেছনে ‘ভালো উদ্দেশ্য’ রয়েছে তাহলেও এক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে সেটাকে কোনোমতেই সমর্থন করা চলে না। এই প্রক্রিয়ার কারণে ‘ভালো উদ্দেশ্যও’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বিহিত করার জন্য নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে। অভিযুক্ত কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। সেটা না করে, পদত্যাগের দাবি তুলে, আদালত ঘেরাও করে চাপ প্রয়োগ করা সঙ্গত নয়। আর এ ধরনের চাপের ভিত্তিতে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও বাঞ্ছণীয় হতে পারে না। বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে যদি আন্দোলন-ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায় তাহলে বিচার বিভাগের কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।

আদালত ঘেরাওয়ের ঘটনায় দেশে ইতোমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ অভিযোগ করছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী বিচারকদের কারণে বিচার বিভাগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধান মোতাবেক বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে, এবং সেটিই অনুসরণ করা উচিত। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রাষ্ট্রের একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। আদালত হচ্ছে বিচারপ্রার্থী মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। কোনো কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হলে ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে যেতে পারে।

কোনো কারণে কোনো বিচারককে অপসারণে প্রয়োজন পড়তে পারে। আমরা আশা করব, সেক্ষেত্রে নিয়মনীতি অনুসরণ করা হবে, গায়ের জোরে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া কাম্য হতে পারে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে, যাতে ন্যায়বিচারের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি তুলে আদালত ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়ে বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আরেকটি মন্দ নজির স্থাপন করা হলো। মাসদুয়েক আগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে একই ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল দেশে। বিচারপতিদের অপসারণের জন্য এ ধরনের চাপ প্রয়োগ ও আন্দোলন বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলার জন্য শুভ নয়।

তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, বিচারকদের পদত্যাগের বা দায়িত্ব পালনে বিরত রাখার পেছনে ‘ভালো উদ্দেশ্য’ রয়েছে তাহলেও এক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে সেটাকে কোনোমতেই সমর্থন করা চলে না। এই প্রক্রিয়ার কারণে ‘ভালো উদ্দেশ্যও’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বিহিত করার জন্য নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে। অভিযুক্ত কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। সেটা না করে, পদত্যাগের দাবি তুলে, আদালত ঘেরাও করে চাপ প্রয়োগ করা সঙ্গত নয়। আর এ ধরনের চাপের ভিত্তিতে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও বাঞ্ছণীয় হতে পারে না। বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে যদি আন্দোলন-ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায় তাহলে বিচার বিভাগের কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।

আদালত ঘেরাওয়ের ঘটনায় দেশে ইতোমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ অভিযোগ করছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী বিচারকদের কারণে বিচার বিভাগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধান মোতাবেক বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে, এবং সেটিই অনুসরণ করা উচিত। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রাষ্ট্রের একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। আদালত হচ্ছে বিচারপ্রার্থী মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। কোনো কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হলে ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে যেতে পারে।

কোনো কারণে কোনো বিচারককে অপসারণে প্রয়োজন পড়তে পারে। আমরা আশা করব, সেক্ষেত্রে নিয়মনীতি অনুসরণ করা হবে, গায়ের জোরে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া কাম্য হতে পারে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে, যাতে ন্যায়বিচারের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়।

back to top