alt

সম্পাদকীয়

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

: শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশে নদী, খাল, বিল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কোনো নতুন ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ধামরাই উপজেলায় আলেক নদীর পাড় দখল করে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ। আলেক নদীর পাড়ে মার্কেট নির্মাণ করে স্থানীয় বাসিন্দারা শুধু নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘœ ঘটাচ্ছেন না, একই সঙ্গে পরিবেশ ও মানুষের জীবিকা নির্বাহেও সরাসরি হুমকি তৈরি করছেন।

এই ধরনের অবৈধ দখল শুধু এক অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটি দেশের প্রায় সব এলাকাতেই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের উদাসীনতা, কখনো কখনো রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই অবৈধ কর্মকা-গুলো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

নদীর পাড় দখল এবং অবৈধ নির্মাণের ফলে পরিবেশে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তা আর্থসামাজিক দিক থেকেও ব্যাপক ক্ষতিকর। নদী ভরাট এবং এর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে আশপাশের এলাকার কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বন্যা বা ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ে এবং পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক ব্যবস্থাও বিঘিœত হয়। ফলে মানুষের জীবন ও জীবিকা সংকটে পড়ে। তাছাড়া, নদী দখলের ফলে পরিবেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জীববৈচিত্র্য এবং কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে।

এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সরকারি সম্পত্তির ওপর অবৈধ দখলের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রায়ই নেয়া হয় না। প্রশাসনের মধ্যেও দুর্বলতা এবং কখনো কখনো প্রভাবশালীদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, যা অবৈধ দখলকারীদের অন্যায় সাহস জোগায়।

আমরা বলতে চাই, নদীর পাড়ে বা যে কোনো প্রাকৃতিক সম্পত্তির ওপর নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে। এছাড়া, দখলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বা প্রশাসনের কেউ যদি এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।

নদী বা প্রাকৃতিক সম্পদ একবার হারিয়ে গেলে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন। তাই সময় থাকতে সচেতন হতে হবে এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসনকে সজাগ ও দায়িত্বশীল হতে হবে, যেন আগামীতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশে নদী, খাল, বিল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কোনো নতুন ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ধামরাই উপজেলায় আলেক নদীর পাড় দখল করে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ। আলেক নদীর পাড়ে মার্কেট নির্মাণ করে স্থানীয় বাসিন্দারা শুধু নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘœ ঘটাচ্ছেন না, একই সঙ্গে পরিবেশ ও মানুষের জীবিকা নির্বাহেও সরাসরি হুমকি তৈরি করছেন।

এই ধরনের অবৈধ দখল শুধু এক অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটি দেশের প্রায় সব এলাকাতেই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের উদাসীনতা, কখনো কখনো রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই অবৈধ কর্মকা-গুলো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

নদীর পাড় দখল এবং অবৈধ নির্মাণের ফলে পরিবেশে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তা আর্থসামাজিক দিক থেকেও ব্যাপক ক্ষতিকর। নদী ভরাট এবং এর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে আশপাশের এলাকার কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বন্যা বা ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ে এবং পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক ব্যবস্থাও বিঘিœত হয়। ফলে মানুষের জীবন ও জীবিকা সংকটে পড়ে। তাছাড়া, নদী দখলের ফলে পরিবেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জীববৈচিত্র্য এবং কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে।

এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সরকারি সম্পত্তির ওপর অবৈধ দখলের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রায়ই নেয়া হয় না। প্রশাসনের মধ্যেও দুর্বলতা এবং কখনো কখনো প্রভাবশালীদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, যা অবৈধ দখলকারীদের অন্যায় সাহস জোগায়।

আমরা বলতে চাই, নদীর পাড়ে বা যে কোনো প্রাকৃতিক সম্পত্তির ওপর নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে। এছাড়া, দখলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বা প্রশাসনের কেউ যদি এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।

নদী বা প্রাকৃতিক সম্পদ একবার হারিয়ে গেলে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন। তাই সময় থাকতে সচেতন হতে হবে এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসনকে সজাগ ও দায়িত্বশীল হতে হবে, যেন আগামীতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

back to top