দেশজুড়ে চিকিৎসাসেবার সংকট এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার প্রাপ্যতা নিয়ে জনসাধারণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন নতুন হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামের অভাব থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ঘটনা এসব সংকটকে আরও প্রকটভাবে তুলে ধরেছে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটে ভুগছে। হাসপাতালটিতে ৪১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সেখানে মাত্র ১৯ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। নার্সিং কর্মকর্তা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদেও লোকবল ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে হাসপাতালের পরিবেশও স্বাস্থ্যসম্মত থাকছে না। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ডাক্তারদের অনুপস্থিতি তাদের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এ সংকটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং তাদের একাধিক স্থানে কাজ করা। অনেক চিকিৎসক নিয়মিত ছুটি নিয়ে শহরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে সেবা প্রদান করেন, যা সরকারি হাসপাতালগুলোর সেবা কার্যক্রমকে স্থবির করে দিচ্ছে। এ সমস্যা শুধু লালমনিরহাটেই সীমাবদ্ধ নয়; সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে একই ধরনের চিত্র দেখা যায়।
জনবল সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে যেসব হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে, সেখানে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি বর্তমান কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তাদের দায়িত্বশীলতার বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো দরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত এসব সংকটের সমাধান করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
আমরা চাই, প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকট দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যাতে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। বর্তমান সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষকে আরও সচেষ্ট হতে হবে এবং দেশের প্রতিটি কোণে জনগণের জন্য সুলভ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
দেশজুড়ে চিকিৎসাসেবার সংকট এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার প্রাপ্যতা নিয়ে জনসাধারণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন নতুন হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামের অভাব থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ঘটনা এসব সংকটকে আরও প্রকটভাবে তুলে ধরেছে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটে ভুগছে। হাসপাতালটিতে ৪১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সেখানে মাত্র ১৯ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। নার্সিং কর্মকর্তা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদেও লোকবল ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে হাসপাতালের পরিবেশও স্বাস্থ্যসম্মত থাকছে না। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ডাক্তারদের অনুপস্থিতি তাদের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এ সংকটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং তাদের একাধিক স্থানে কাজ করা। অনেক চিকিৎসক নিয়মিত ছুটি নিয়ে শহরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে সেবা প্রদান করেন, যা সরকারি হাসপাতালগুলোর সেবা কার্যক্রমকে স্থবির করে দিচ্ছে। এ সমস্যা শুধু লালমনিরহাটেই সীমাবদ্ধ নয়; সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে একই ধরনের চিত্র দেখা যায়।
জনবল সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে যেসব হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে, সেখানে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি বর্তমান কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তাদের দায়িত্বশীলতার বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো দরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত এসব সংকটের সমাধান করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
আমরা চাই, প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকট দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যাতে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। বর্তমান সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষকে আরও সচেষ্ট হতে হবে এবং দেশের প্রতিটি কোণে জনগণের জন্য সুলভ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।