alt

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

: শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশজুড়ে চিকিৎসাসেবার সংকট এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার প্রাপ্যতা নিয়ে জনসাধারণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন নতুন হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামের অভাব থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ঘটনা এসব সংকটকে আরও প্রকটভাবে তুলে ধরেছে।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটে ভুগছে। হাসপাতালটিতে ৪১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সেখানে মাত্র ১৯ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। নার্সিং কর্মকর্তা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদেও লোকবল ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে হাসপাতালের পরিবেশও স্বাস্থ্যসম্মত থাকছে না। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ডাক্তারদের অনুপস্থিতি তাদের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তিকে আরও জটিল করে তুলছে।

এ সংকটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং তাদের একাধিক স্থানে কাজ করা। অনেক চিকিৎসক নিয়মিত ছুটি নিয়ে শহরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে সেবা প্রদান করেন, যা সরকারি হাসপাতালগুলোর সেবা কার্যক্রমকে স্থবির করে দিচ্ছে। এ সমস্যা শুধু লালমনিরহাটেই সীমাবদ্ধ নয়; সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে একই ধরনের চিত্র দেখা যায়।

জনবল সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে যেসব হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে, সেখানে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি বর্তমান কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তাদের দায়িত্বশীলতার বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো দরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত এসব সংকটের সমাধান করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

আমরা চাই, প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকট দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যাতে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। বর্তমান সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষকে আরও সচেষ্ট হতে হবে এবং দেশের প্রতিটি কোণে জনগণের জন্য সুলভ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশজুড়ে চিকিৎসাসেবার সংকট এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার প্রাপ্যতা নিয়ে জনসাধারণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন নতুন হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামের অভাব থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ঘটনা এসব সংকটকে আরও প্রকটভাবে তুলে ধরেছে।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটে ভুগছে। হাসপাতালটিতে ৪১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সেখানে মাত্র ১৯ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। নার্সিং কর্মকর্তা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদেও লোকবল ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে হাসপাতালের পরিবেশও স্বাস্থ্যসম্মত থাকছে না। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ডাক্তারদের অনুপস্থিতি তাদের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তিকে আরও জটিল করে তুলছে।

এ সংকটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং তাদের একাধিক স্থানে কাজ করা। অনেক চিকিৎসক নিয়মিত ছুটি নিয়ে শহরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে সেবা প্রদান করেন, যা সরকারি হাসপাতালগুলোর সেবা কার্যক্রমকে স্থবির করে দিচ্ছে। এ সমস্যা শুধু লালমনিরহাটেই সীমাবদ্ধ নয়; সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে একই ধরনের চিত্র দেখা যায়।

জনবল সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে যেসব হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে, সেখানে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি বর্তমান কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তাদের দায়িত্বশীলতার বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো দরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত এসব সংকটের সমাধান করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

আমরা চাই, প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকট দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যাতে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। বর্তমান সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষকে আরও সচেষ্ট হতে হবে এবং দেশের প্রতিটি কোণে জনগণের জন্য সুলভ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top