alt

মতামত » সম্পাদকীয়

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

: রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় উঠে আসা খবরগুলো আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। দৈনন্দিন বাজারের চিত্র এখন এমন যে, সবজি, পেঁয়াজ, ডিম থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ পরিস্থিতি শুধু নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তের জীবনকেও অসহনীয় করে তুলেছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের যে অবনতি ঘটছে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বাজারে আসা ক্রেতারা প্রতিনিয়তই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার চাপ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ওপর আরও বেশি, যাদের মাসিক আয় বাড়ছে না, বরং বাজারের চাপে ঋণের বোঝা বাড়ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, যার কারণে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই কথায় কিছু সত্যতা থাকলেও, এর পেছনে মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ করা জরুরি। পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের কথা বলছেন। ক্রেতাদের অনেকেই মনে করেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে পণ্যের দাম কখনোই নিয়ন্ত্রণে আসবে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেয়া যৌক্তিক মূল্যের তুলনায় বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দামের বেশ ব্যবধান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, বেগুনের যৌক্তিক মূল্য ৪৬ টাকা ৪৫ পয়সা, কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। পেঁয়াজের যৌক্তিক মূল্য ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এ ধরনের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য সরকারের একটি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙা এবং তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা দরকার। পণ্যের মজুতদারি ও অবৈধ মুনাফা রোধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কৃষি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমানো এবং পণ্যের সরবরাহ চেইন ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষা করতে নিয়মিত মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালাতে হবে।

পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এই সংকট এক দিনের সমস্যা নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এজন্য সরকার, ব্যবসায়ী, এবং সাধারণ মানুষ—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। অন্যথায়, দেশের আর্থিক অস্থিতিশীলতা আরও গভীর হবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় উঠে আসা খবরগুলো আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। দৈনন্দিন বাজারের চিত্র এখন এমন যে, সবজি, পেঁয়াজ, ডিম থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ পরিস্থিতি শুধু নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তের জীবনকেও অসহনীয় করে তুলেছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের যে অবনতি ঘটছে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বাজারে আসা ক্রেতারা প্রতিনিয়তই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার চাপ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ওপর আরও বেশি, যাদের মাসিক আয় বাড়ছে না, বরং বাজারের চাপে ঋণের বোঝা বাড়ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, যার কারণে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই কথায় কিছু সত্যতা থাকলেও, এর পেছনে মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ করা জরুরি। পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের কথা বলছেন। ক্রেতাদের অনেকেই মনে করেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে পণ্যের দাম কখনোই নিয়ন্ত্রণে আসবে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেয়া যৌক্তিক মূল্যের তুলনায় বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দামের বেশ ব্যবধান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, বেগুনের যৌক্তিক মূল্য ৪৬ টাকা ৪৫ পয়সা, কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। পেঁয়াজের যৌক্তিক মূল্য ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এ ধরনের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য সরকারের একটি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙা এবং তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা দরকার। পণ্যের মজুতদারি ও অবৈধ মুনাফা রোধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কৃষি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমানো এবং পণ্যের সরবরাহ চেইন ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষা করতে নিয়মিত মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালাতে হবে।

পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এই সংকট এক দিনের সমস্যা নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এজন্য সরকার, ব্যবসায়ী, এবং সাধারণ মানুষ—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। অন্যথায়, দেশের আর্থিক অস্থিতিশীলতা আরও গভীর হবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

back to top