দেশের কৃষি উৎপাদন বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যা, ভারি বৃষ্টিপাত এবং বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নওগাঁর পোরশার আমন ধানের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে, যেখানে পচন রোগের আক্রমণে কৃষকরা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। এসব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর নিষ্ক্রিয়তা শুধু কৃষকদের হতাশা বাড়াচ্ছে না, বরং দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা এবং নিতপুর ইউনিয়নে আমন ধানের ওপর পচন রোগের আক্রমণ কৃষকদের জন্য এক মহাদুর্যোগ বয়ে এনেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে কীটনাশক ব্যবহার করেও সফল হচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে যে, তারা কৃষি বিভাগ থেকে যথাযথ সাহায্য বা পরামর্শ পাচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, যেসব বিভাগ এবং কর্মচারীদের দায়িত্ব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো, তারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এমন উদাসীনতা এবং খামখেয়ালিপনা কৃষির ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করে তুলছে।
এ বছর কৃষি উৎপাদনের ওপর বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত এসেছে। এর সঙ্গে কৃষি বিভাগের অদক্ষতা যুক্ত হলে ফলাফল হয় ভয়াবহ। পোরশার কৃষকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং পরামর্শ সেবা দেয়া কৃষি বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু কৃষকরা যখন ফসলের রোগবালাই ঠেকাতে একা লড়াই করছেন, তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ ধরনের উদাসীনতা দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা উচিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে পোরশার কৃষকদের সহায়তা দিতে হবে। তাদের প্রয়োজনীয় কীটনাশক, পরামর্শ এবং সঠিক প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় কৃষি অফিস এবং কৃষি কর্মকর্তাদের উচিত মাঠপর্যায়ে গিয়ে সমস্যাগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা এবং কৃষকদের সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দেয়া। কৃষি বিভাগের অব্যবস্থাপনা এবং কর্মকর্তাদের উদাসীনতা যে কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
দেশের কৃষি উৎপাদন বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যা, ভারি বৃষ্টিপাত এবং বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নওগাঁর পোরশার আমন ধানের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে, যেখানে পচন রোগের আক্রমণে কৃষকরা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। এসব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর নিষ্ক্রিয়তা শুধু কৃষকদের হতাশা বাড়াচ্ছে না, বরং দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা এবং নিতপুর ইউনিয়নে আমন ধানের ওপর পচন রোগের আক্রমণ কৃষকদের জন্য এক মহাদুর্যোগ বয়ে এনেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে কীটনাশক ব্যবহার করেও সফল হচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে যে, তারা কৃষি বিভাগ থেকে যথাযথ সাহায্য বা পরামর্শ পাচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, যেসব বিভাগ এবং কর্মচারীদের দায়িত্ব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো, তারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এমন উদাসীনতা এবং খামখেয়ালিপনা কৃষির ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করে তুলছে।
এ বছর কৃষি উৎপাদনের ওপর বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত এসেছে। এর সঙ্গে কৃষি বিভাগের অদক্ষতা যুক্ত হলে ফলাফল হয় ভয়াবহ। পোরশার কৃষকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং পরামর্শ সেবা দেয়া কৃষি বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু কৃষকরা যখন ফসলের রোগবালাই ঠেকাতে একা লড়াই করছেন, তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ ধরনের উদাসীনতা দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা উচিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে পোরশার কৃষকদের সহায়তা দিতে হবে। তাদের প্রয়োজনীয় কীটনাশক, পরামর্শ এবং সঠিক প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় কৃষি অফিস এবং কৃষি কর্মকর্তাদের উচিত মাঠপর্যায়ে গিয়ে সমস্যাগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা এবং কৃষকদের সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দেয়া। কৃষি বিভাগের অব্যবস্থাপনা এবং কর্মকর্তাদের উদাসীনতা যে কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।