alt

opinion » editorial

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

দেশের কৃষি উৎপাদন বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যা, ভারি বৃষ্টিপাত এবং বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নওগাঁর পোরশার আমন ধানের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে, যেখানে পচন রোগের আক্রমণে কৃষকরা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। এসব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর নিষ্ক্রিয়তা শুধু কৃষকদের হতাশা বাড়াচ্ছে না, বরং দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা এবং নিতপুর ইউনিয়নে আমন ধানের ওপর পচন রোগের আক্রমণ কৃষকদের জন্য এক মহাদুর্যোগ বয়ে এনেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে কীটনাশক ব্যবহার করেও সফল হচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে যে, তারা কৃষি বিভাগ থেকে যথাযথ সাহায্য বা পরামর্শ পাচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, যেসব বিভাগ এবং কর্মচারীদের দায়িত্ব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো, তারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এমন উদাসীনতা এবং খামখেয়ালিপনা কৃষির ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করে তুলছে।

এ বছর কৃষি উৎপাদনের ওপর বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত এসেছে। এর সঙ্গে কৃষি বিভাগের অদক্ষতা যুক্ত হলে ফলাফল হয় ভয়াবহ। পোরশার কৃষকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং পরামর্শ সেবা দেয়া কৃষি বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু কৃষকরা যখন ফসলের রোগবালাই ঠেকাতে একা লড়াই করছেন, তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ ধরনের উদাসীনতা দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা উচিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে পোরশার কৃষকদের সহায়তা দিতে হবে। তাদের প্রয়োজনীয় কীটনাশক, পরামর্শ এবং সঠিক প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় কৃষি অফিস এবং কৃষি কর্মকর্তাদের উচিত মাঠপর্যায়ে গিয়ে সমস্যাগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা এবং কৃষকদের সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দেয়া। কৃষি বিভাগের অব্যবস্থাপনা এবং কর্মকর্তাদের উদাসীনতা যে কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

opinion » editorial

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

দেশের কৃষি উৎপাদন বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যা, ভারি বৃষ্টিপাত এবং বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নওগাঁর পোরশার আমন ধানের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে, যেখানে পচন রোগের আক্রমণে কৃষকরা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। এসব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর নিষ্ক্রিয়তা শুধু কৃষকদের হতাশা বাড়াচ্ছে না, বরং দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা এবং নিতপুর ইউনিয়নে আমন ধানের ওপর পচন রোগের আক্রমণ কৃষকদের জন্য এক মহাদুর্যোগ বয়ে এনেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে কীটনাশক ব্যবহার করেও সফল হচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে যে, তারা কৃষি বিভাগ থেকে যথাযথ সাহায্য বা পরামর্শ পাচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, যেসব বিভাগ এবং কর্মচারীদের দায়িত্ব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো, তারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এমন উদাসীনতা এবং খামখেয়ালিপনা কৃষির ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করে তুলছে।

এ বছর কৃষি উৎপাদনের ওপর বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত এসেছে। এর সঙ্গে কৃষি বিভাগের অদক্ষতা যুক্ত হলে ফলাফল হয় ভয়াবহ। পোরশার কৃষকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং পরামর্শ সেবা দেয়া কৃষি বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু কৃষকরা যখন ফসলের রোগবালাই ঠেকাতে একা লড়াই করছেন, তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ ধরনের উদাসীনতা দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা উচিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে পোরশার কৃষকদের সহায়তা দিতে হবে। তাদের প্রয়োজনীয় কীটনাশক, পরামর্শ এবং সঠিক প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় কৃষি অফিস এবং কৃষি কর্মকর্তাদের উচিত মাঠপর্যায়ে গিয়ে সমস্যাগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা এবং কৃষকদের সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দেয়া। কৃষি বিভাগের অব্যবস্থাপনা এবং কর্মকর্তাদের উদাসীনতা যে কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।

back to top