alt

সম্পাদকীয়

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

কর্ণফুলী নদীর পাটনিজীবী সাম্পান মাঝিদের জীবনযাত্রা ও তাদের পেশা এক সময়ে গৌরবময় ছিল, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে রক্ষা করে আসছেন এই অঞ্চলের মানুষ। যুগের পর যুগ ধরে এই মাঝিরা নদী পারাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছেন, তাদের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে কর্ণফুলী নদীর জীবিকা।

সাম্পান মাঝিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হলো কর্ণফুলী নদীর নির্দিষ্ট ঘাটে ইজারা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা, যা ২০০৩ সালের পাটনিজীবী নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষিত। তবে অভিযোগ উঠেছে যে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নীতিমালা উপেক্ষা করে ঘাটের ইজারা নিয়ে অন্যায়ভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, সাম্পান মাঝিদের ঘাট নিয়ে সংকটের মূল কারণ চসিকের রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়ম। প্রতিবছর এই ঘাটগুলো থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হতো, কিন্তু আইনি জটিলতার অজুহাতে ঘাটগুলোর ইজারা না দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ফলে রাষ্ট্র রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সাধারণ মাঝিরা তাদের অধিকার হারাচ্ছেন।

আমরা বলতে চাই, চসিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা আমলে নিতে হবে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। সাম্পান মাঝিদের ঘাটগুলো পুনরায় তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সরকারকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। যাত্রী পারাপারের সেবা নিশ্চিত করতে হলে চসিকের এই ধরনের অনিয়ম বন্ধ করা জরুরি।

সাম্পান মাঝিরা কর্ণফুলী নদীর একটি অংশ, তাদের ছাড়া এই নদীর ইতিহাস অসম্পূর্ণ। তাই তাদের অধিকার রক্ষায় প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে, সাম্পান মাঝিদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে নীতিমালা অনুযায়ী ঘাট ইজারা প্রদান করা এবং অবৈধ ইজারা কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

কর্ণফুলী নদীর পাটনিজীবী সাম্পান মাঝিদের জীবনযাত্রা ও তাদের পেশা এক সময়ে গৌরবময় ছিল, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে রক্ষা করে আসছেন এই অঞ্চলের মানুষ। যুগের পর যুগ ধরে এই মাঝিরা নদী পারাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছেন, তাদের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে কর্ণফুলী নদীর জীবিকা।

সাম্পান মাঝিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হলো কর্ণফুলী নদীর নির্দিষ্ট ঘাটে ইজারা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা, যা ২০০৩ সালের পাটনিজীবী নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষিত। তবে অভিযোগ উঠেছে যে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নীতিমালা উপেক্ষা করে ঘাটের ইজারা নিয়ে অন্যায়ভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, সাম্পান মাঝিদের ঘাট নিয়ে সংকটের মূল কারণ চসিকের রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়ম। প্রতিবছর এই ঘাটগুলো থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হতো, কিন্তু আইনি জটিলতার অজুহাতে ঘাটগুলোর ইজারা না দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ফলে রাষ্ট্র রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সাধারণ মাঝিরা তাদের অধিকার হারাচ্ছেন।

আমরা বলতে চাই, চসিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা আমলে নিতে হবে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। সাম্পান মাঝিদের ঘাটগুলো পুনরায় তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সরকারকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। যাত্রী পারাপারের সেবা নিশ্চিত করতে হলে চসিকের এই ধরনের অনিয়ম বন্ধ করা জরুরি।

সাম্পান মাঝিরা কর্ণফুলী নদীর একটি অংশ, তাদের ছাড়া এই নদীর ইতিহাস অসম্পূর্ণ। তাই তাদের অধিকার রক্ষায় প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে, সাম্পান মাঝিদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে নীতিমালা অনুযায়ী ঘাট ইজারা প্রদান করা এবং অবৈধ ইজারা কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।

back to top