alt

সম্পাদকীয়

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

: শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় গবাদিপশুর মধ্যে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই রোগের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এবং সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন। জানা গেছে, উপজেলায় প্রান্তিক কৃষক ও খামারিদের ২০ হাজারেরও বেশি গবাদিপশু রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পশু লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক মাসে ৫ হাজারেরও বেশি কৃষক তাদের গবাদিপশুর চিকিৎসা করিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, এই রোগে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে।

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের কোন সুনির্দিষ্ট ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। প্রান্তিক কৃষকদের জীবিকা গবাদিপশুর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। গবাদিপশুর মৃত্যু বা অসুস্থতা তাদের অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন করে। লাম্পি স্কিন ডিজিজের দ্রুত বিস্তার, মৃত্যুর হার এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাব কৃষকদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগটি প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। ভেটেরিনারি সার্জনরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, গরুর জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল এবং চুলকানির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন দেয়া যেতে পারে। মশা-মাছি থেকে গবাদিপশুকে দূরে রাখা এবং আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখা অপরিহার্য।

প্রতিটি গবাদিপশুকে নিয়মিতভাবে ভেটেরিনারি ডাক্তারদের পরামর্শে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পরিচর্যা এবং নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে আতঙ্কের কিছু নেই বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ বাহুবলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রান্তিক কৃষকদের জন্য তা বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, সঠিক সচেতনতা, পরিচর্যা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব। সরকার ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি, যাতে কৃষকরা তাদের গবাদিপশু হারানোর ভয় থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় গবাদিপশুর মধ্যে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই রোগের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এবং সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন। জানা গেছে, উপজেলায় প্রান্তিক কৃষক ও খামারিদের ২০ হাজারেরও বেশি গবাদিপশু রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পশু লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক মাসে ৫ হাজারেরও বেশি কৃষক তাদের গবাদিপশুর চিকিৎসা করিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, এই রোগে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে।

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের কোন সুনির্দিষ্ট ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। প্রান্তিক কৃষকদের জীবিকা গবাদিপশুর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। গবাদিপশুর মৃত্যু বা অসুস্থতা তাদের অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন করে। লাম্পি স্কিন ডিজিজের দ্রুত বিস্তার, মৃত্যুর হার এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাব কৃষকদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগটি প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। ভেটেরিনারি সার্জনরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, গরুর জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল এবং চুলকানির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন দেয়া যেতে পারে। মশা-মাছি থেকে গবাদিপশুকে দূরে রাখা এবং আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখা অপরিহার্য।

প্রতিটি গবাদিপশুকে নিয়মিতভাবে ভেটেরিনারি ডাক্তারদের পরামর্শে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পরিচর্যা এবং নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে আতঙ্কের কিছু নেই বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ বাহুবলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রান্তিক কৃষকদের জন্য তা বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, সঠিক সচেতনতা, পরিচর্যা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব। সরকার ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি, যাতে কৃষকরা তাদের গবাদিপশু হারানোর ভয় থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।

back to top