পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বনভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ বর্তমানে ১৫.৫৮ শতাংশ, যা প্রয়োজনীয় ২৫ শতাংশের অনেক নিচে। এর ফলে পরিবেশ ও অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর প্রভাব পড়ছে। তবে সবচেয়ে বঢ় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের বনভূমি বেদখল এবং অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়া, যা শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলায় উপকূলীয় বনভূমি বেদখলের ঘটনাটি বনভূমি রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার চূড়ান্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের বেআইনি ভূমিদস্যুতার কারণে বনের গাছ কেটে বন উজাড় করে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের ঘটনা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার প্রমাণ দেয়। এই ধরনের ঘটনাগুলো বন বিভাগের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবকে স্পষ্ট করে এবং প্রশাসনের দায়বদ্ধতাহীনতার একটি ভয়ঙ্কর চিত্র তুলে ধরে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালির ঘটনায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বন দখলের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জমি দখলের ঘটনাটি ২০০৯ সালে শুরু হয়, এবং ২০১৭ সালে আপিল বিভাগ ইজারা বাতিলের নির্দেশ দিলেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রশাসনের উদাসীনতা পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাবে বনভূমি বেদখল হয়ে পড়ছে, যা বন বিভাগের কার্যকারিতা এবং নৈতিক দায়িত্বের অভাবকে প্রকাশ করে। এ ধরনের ঘটনায় যারা আইন ভেঙে বন দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া প্রশাসনের দুর্বলতার পরিচায়ক। বিচার বিভাগের নির্দেশনা কার্যকর করতে প্রশাসন কেন এত ধীর, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
বনভূমি বেদখলের এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হলে প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। বনভূমি রক্ষার জন্য বন অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যথাযথ সংযোগ এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ তৈরি করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ ভূমিদখলের পেছনের নেপথ্য কারণ এবং প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত থাকলে, তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে এবং যথাযথ শাস্তি প্রদান করতে হবে।
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বনভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ বর্তমানে ১৫.৫৮ শতাংশ, যা প্রয়োজনীয় ২৫ শতাংশের অনেক নিচে। এর ফলে পরিবেশ ও অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর প্রভাব পড়ছে। তবে সবচেয়ে বঢ় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের বনভূমি বেদখল এবং অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়া, যা শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলায় উপকূলীয় বনভূমি বেদখলের ঘটনাটি বনভূমি রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার চূড়ান্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের বেআইনি ভূমিদস্যুতার কারণে বনের গাছ কেটে বন উজাড় করে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের ঘটনা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার প্রমাণ দেয়। এই ধরনের ঘটনাগুলো বন বিভাগের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবকে স্পষ্ট করে এবং প্রশাসনের দায়বদ্ধতাহীনতার একটি ভয়ঙ্কর চিত্র তুলে ধরে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালির ঘটনায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বন দখলের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জমি দখলের ঘটনাটি ২০০৯ সালে শুরু হয়, এবং ২০১৭ সালে আপিল বিভাগ ইজারা বাতিলের নির্দেশ দিলেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রশাসনের উদাসীনতা পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাবে বনভূমি বেদখল হয়ে পড়ছে, যা বন বিভাগের কার্যকারিতা এবং নৈতিক দায়িত্বের অভাবকে প্রকাশ করে। এ ধরনের ঘটনায় যারা আইন ভেঙে বন দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া প্রশাসনের দুর্বলতার পরিচায়ক। বিচার বিভাগের নির্দেশনা কার্যকর করতে প্রশাসন কেন এত ধীর, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
বনভূমি বেদখলের এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হলে প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। বনভূমি রক্ষার জন্য বন অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যথাযথ সংযোগ এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ তৈরি করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ ভূমিদখলের পেছনের নেপথ্য কারণ এবং প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত থাকলে, তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে এবং যথাযথ শাস্তি প্রদান করতে হবে।