alt

সম্পাদকীয়

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

: শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বনভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ বর্তমানে ১৫.৫৮ শতাংশ, যা প্রয়োজনীয় ২৫ শতাংশের অনেক নিচে। এর ফলে পরিবেশ ও অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর প্রভাব পড়ছে। তবে সবচেয়ে বঢ় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের বনভূমি বেদখল এবং অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়া, যা শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলায় উপকূলীয় বনভূমি বেদখলের ঘটনাটি বনভূমি রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার চূড়ান্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের বেআইনি ভূমিদস্যুতার কারণে বনের গাছ কেটে বন উজাড় করে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের ঘটনা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার প্রমাণ দেয়। এই ধরনের ঘটনাগুলো বন বিভাগের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবকে স্পষ্ট করে এবং প্রশাসনের দায়বদ্ধতাহীনতার একটি ভয়ঙ্কর চিত্র তুলে ধরে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালির ঘটনায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বন দখলের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জমি দখলের ঘটনাটি ২০০৯ সালে শুরু হয়, এবং ২০১৭ সালে আপিল বিভাগ ইজারা বাতিলের নির্দেশ দিলেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রশাসনের উদাসীনতা পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাবে বনভূমি বেদখল হয়ে পড়ছে, যা বন বিভাগের কার্যকারিতা এবং নৈতিক দায়িত্বের অভাবকে প্রকাশ করে। এ ধরনের ঘটনায় যারা আইন ভেঙে বন দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া প্রশাসনের দুর্বলতার পরিচায়ক। বিচার বিভাগের নির্দেশনা কার্যকর করতে প্রশাসন কেন এত ধীর, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

বনভূমি বেদখলের এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হলে প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। বনভূমি রক্ষার জন্য বন অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যথাযথ সংযোগ এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ তৈরি করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ ভূমিদখলের পেছনের নেপথ্য কারণ এবং প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত থাকলে, তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে এবং যথাযথ শাস্তি প্রদান করতে হবে।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

tab

সম্পাদকীয়

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বনভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ বর্তমানে ১৫.৫৮ শতাংশ, যা প্রয়োজনীয় ২৫ শতাংশের অনেক নিচে। এর ফলে পরিবেশ ও অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর প্রভাব পড়ছে। তবে সবচেয়ে বঢ় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের বনভূমি বেদখল এবং অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়া, যা শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলায় উপকূলীয় বনভূমি বেদখলের ঘটনাটি বনভূমি রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার চূড়ান্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের বেআইনি ভূমিদস্যুতার কারণে বনের গাছ কেটে বন উজাড় করে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের ঘটনা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার প্রমাণ দেয়। এই ধরনের ঘটনাগুলো বন বিভাগের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবকে স্পষ্ট করে এবং প্রশাসনের দায়বদ্ধতাহীনতার একটি ভয়ঙ্কর চিত্র তুলে ধরে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালির ঘটনায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বন দখলের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জমি দখলের ঘটনাটি ২০০৯ সালে শুরু হয়, এবং ২০১৭ সালে আপিল বিভাগ ইজারা বাতিলের নির্দেশ দিলেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রশাসনের উদাসীনতা পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাবে বনভূমি বেদখল হয়ে পড়ছে, যা বন বিভাগের কার্যকারিতা এবং নৈতিক দায়িত্বের অভাবকে প্রকাশ করে। এ ধরনের ঘটনায় যারা আইন ভেঙে বন দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া প্রশাসনের দুর্বলতার পরিচায়ক। বিচার বিভাগের নির্দেশনা কার্যকর করতে প্রশাসন কেন এত ধীর, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

বনভূমি বেদখলের এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হলে প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। বনভূমি রক্ষার জন্য বন অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যথাযথ সংযোগ এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ তৈরি করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ ভূমিদখলের পেছনের নেপথ্য কারণ এবং প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত থাকলে, তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে এবং যথাযথ শাস্তি প্রদান করতে হবে।

back to top