জরায়ুমুখ ক্যানসার বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যানসারের কারণ, যা প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু ঘটায়। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান কর্মসূচি। দেশের ৭টি বিভাগে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬২ লাখেরও বেশি কিশোরীকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে, যা পরবর্তী প্রজন্মকে ক্যানসারের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এই কর্মসূচি নিঃসন্দেহে নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি ভালো উদ্যোগ।
এইচপিভি ভাইরাস মূলত যৌনবাহিত, যা নারীদের জরায়ুমুখে ক্যানসার সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে লক্ষণ প্রকাশ না করায় আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শেষ পর্যায়ে গিয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে, যখন আর চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হয় না। এই অবস্থায়, যথাসময়ে একটি টিকা নিয়ে আজীবন সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচপিভি টিকা শুধু একজন নারীকে নয়, পুরো পরিবার এবং সমাজকেও আর্থিক ও মানসিক দিক থেকে সুরক্ষা দেবে। ক্যানসার একটি ভয়াবহ রোগ, যা একটি পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়। তাই এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুধু নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নয়, আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
টিকা নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শঙ্কা দূর করার জন্য সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। কিশোরী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যমে এই সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি, যাতে কোনো কিশোরী এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।
পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রশাসনকে এই উদ্যোগে পাশে থাকতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে জরায়ুমুখ ক্যানসার মুক্ত করার যে লক্ষ্য রয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য এখন থেকেই সব কিশোরীকে টিকাদানে উৎসাহিত করতে হবে।
আমাদের প্রত্যাশা, টিকাদানের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন হবে এবং দেশের প্রতিটি কিশোরী এ সুরক্ষা সুবিধা পাবে।
রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
জরায়ুমুখ ক্যানসার বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যানসারের কারণ, যা প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু ঘটায়। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান কর্মসূচি। দেশের ৭টি বিভাগে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬২ লাখেরও বেশি কিশোরীকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে, যা পরবর্তী প্রজন্মকে ক্যানসারের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এই কর্মসূচি নিঃসন্দেহে নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি ভালো উদ্যোগ।
এইচপিভি ভাইরাস মূলত যৌনবাহিত, যা নারীদের জরায়ুমুখে ক্যানসার সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে লক্ষণ প্রকাশ না করায় আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শেষ পর্যায়ে গিয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে, যখন আর চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হয় না। এই অবস্থায়, যথাসময়ে একটি টিকা নিয়ে আজীবন সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচপিভি টিকা শুধু একজন নারীকে নয়, পুরো পরিবার এবং সমাজকেও আর্থিক ও মানসিক দিক থেকে সুরক্ষা দেবে। ক্যানসার একটি ভয়াবহ রোগ, যা একটি পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়। তাই এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুধু নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নয়, আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
টিকা নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শঙ্কা দূর করার জন্য সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। কিশোরী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যমে এই সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি, যাতে কোনো কিশোরী এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।
পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রশাসনকে এই উদ্যোগে পাশে থাকতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে জরায়ুমুখ ক্যানসার মুক্ত করার যে লক্ষ্য রয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য এখন থেকেই সব কিশোরীকে টিকাদানে উৎসাহিত করতে হবে।
আমাদের প্রত্যাশা, টিকাদানের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন হবে এবং দেশের প্রতিটি কিশোরী এ সুরক্ষা সুবিধা পাবে।