alt

সম্পাদকীয়

এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি সফল হোক

: রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

জরায়ুমুখ ক্যানসার বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যানসারের কারণ, যা প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু ঘটায়। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান কর্মসূচি। দেশের ৭টি বিভাগে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬২ লাখেরও বেশি কিশোরীকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে, যা পরবর্তী প্রজন্মকে ক্যানসারের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এই কর্মসূচি নিঃসন্দেহে নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি ভালো উদ্যোগ।

এইচপিভি ভাইরাস মূলত যৌনবাহিত, যা নারীদের জরায়ুমুখে ক্যানসার সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে লক্ষণ প্রকাশ না করায় আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শেষ পর্যায়ে গিয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে, যখন আর চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হয় না। এই অবস্থায়, যথাসময়ে একটি টিকা নিয়ে আজীবন সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচপিভি টিকা শুধু একজন নারীকে নয়, পুরো পরিবার এবং সমাজকেও আর্থিক ও মানসিক দিক থেকে সুরক্ষা দেবে। ক্যানসার একটি ভয়াবহ রোগ, যা একটি পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়। তাই এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুধু নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নয়, আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

টিকা নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শঙ্কা দূর করার জন্য সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। কিশোরী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যমে এই সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি, যাতে কোনো কিশোরী এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।

পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রশাসনকে এই উদ্যোগে পাশে থাকতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে জরায়ুমুখ ক্যানসার মুক্ত করার যে লক্ষ্য রয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য এখন থেকেই সব কিশোরীকে টিকাদানে উৎসাহিত করতে হবে।

আমাদের প্রত্যাশা, টিকাদানের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন হবে এবং দেশের প্রতিটি কিশোরী এ সুরক্ষা সুবিধা পাবে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

tab

সম্পাদকীয়

এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি সফল হোক

রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

জরায়ুমুখ ক্যানসার বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যানসারের কারণ, যা প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু ঘটায়। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান কর্মসূচি। দেশের ৭টি বিভাগে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬২ লাখেরও বেশি কিশোরীকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে, যা পরবর্তী প্রজন্মকে ক্যানসারের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এই কর্মসূচি নিঃসন্দেহে নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি ভালো উদ্যোগ।

এইচপিভি ভাইরাস মূলত যৌনবাহিত, যা নারীদের জরায়ুমুখে ক্যানসার সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে লক্ষণ প্রকাশ না করায় আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শেষ পর্যায়ে গিয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে, যখন আর চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হয় না। এই অবস্থায়, যথাসময়ে একটি টিকা নিয়ে আজীবন সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচপিভি টিকা শুধু একজন নারীকে নয়, পুরো পরিবার এবং সমাজকেও আর্থিক ও মানসিক দিক থেকে সুরক্ষা দেবে। ক্যানসার একটি ভয়াবহ রোগ, যা একটি পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়। তাই এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুধু নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নয়, আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

টিকা নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শঙ্কা দূর করার জন্য সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। কিশোরী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যমে এই সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি, যাতে কোনো কিশোরী এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।

পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রশাসনকে এই উদ্যোগে পাশে থাকতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে জরায়ুমুখ ক্যানসার মুক্ত করার যে লক্ষ্য রয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য এখন থেকেই সব কিশোরীকে টিকাদানে উৎসাহিত করতে হবে।

আমাদের প্রত্যাশা, টিকাদানের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন হবে এবং দেশের প্রতিটি কিশোরী এ সুরক্ষা সুবিধা পাবে।

back to top