alt

সম্পাদকীয়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের মনোবল ফেরানো জরুরি

: মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, হামলার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাতিরঝিলসহ বিভিন্নস্থানে অপরাধমূলক কর্মকা-ের ঘটনা নাগরিকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাঠামোগত দুর্বলতা, নৈতিক সংকট ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব অনুভূত হচ্ছে।

৫ আগস্টের পর দেশে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার পটভূমিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। সাম্প্রতিক সময়ে মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, মিরপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা যেমন বেড়েছে, তেমনি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনাকে শুধু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে রাজি নন অনেকেই। তারা একে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির প্রতিফলন হিসেবেই গণ্য করছেন।

বোধগম্য কারণে পুলিশ বাহিনী বিতর্কিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। এটাকে উপেক্ষা করা যায় না। আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকা ও পরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার কারণেই অনেক পুলিশ সদস্য এখনো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মাঠ পর্যায়ে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে তাদের আন্তরিকতা এবং প্রস্তুতির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেণ, ৫ আগস্টের পর থেকে সংঘটিত বিভিন্ন সহিংসতায় পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। পুলিশকে পূর্ণমাত্রায় কার্যকর বাহিনী হিসেবে পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনী বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে এটা টেকসই সমাধন নয়। আইনশৃঙ্খলা শেষ পর্যন্ত পুলিশকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য তাদের মনোবলের পুনরুদ্ধার করার কাজটি দ্রুত শুরু করতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মহলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর করা না গেলে অপরাধীরা বারবার পরিস্থিতির সুযোগ নেবে, আর জনজীবনে নিরাপত্তার অভাব আরো গভীর সংকটে পরিণত হবে।

আমরা আশা করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নৈতিক সংকট কাটিয়ে পুনরায় পুর্নোদ্যমে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে, নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

স্বাধীনতা দিবস : একাত্তরের স্বপ্ন পুনর্জাগরণের প্রত্যয়

আজ সেই কালরাত্রি

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সুন্দরবনে আবার অগ্নিকাণ্ড

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

tab

সম্পাদকীয়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের মনোবল ফেরানো জরুরি

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, হামলার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাতিরঝিলসহ বিভিন্নস্থানে অপরাধমূলক কর্মকা-ের ঘটনা নাগরিকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাঠামোগত দুর্বলতা, নৈতিক সংকট ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব অনুভূত হচ্ছে।

৫ আগস্টের পর দেশে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার পটভূমিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। সাম্প্রতিক সময়ে মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, মিরপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা যেমন বেড়েছে, তেমনি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনাকে শুধু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে রাজি নন অনেকেই। তারা একে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির প্রতিফলন হিসেবেই গণ্য করছেন।

বোধগম্য কারণে পুলিশ বাহিনী বিতর্কিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। এটাকে উপেক্ষা করা যায় না। আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকা ও পরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার কারণেই অনেক পুলিশ সদস্য এখনো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মাঠ পর্যায়ে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে তাদের আন্তরিকতা এবং প্রস্তুতির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেণ, ৫ আগস্টের পর থেকে সংঘটিত বিভিন্ন সহিংসতায় পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। পুলিশকে পূর্ণমাত্রায় কার্যকর বাহিনী হিসেবে পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনী বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে এটা টেকসই সমাধন নয়। আইনশৃঙ্খলা শেষ পর্যন্ত পুলিশকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য তাদের মনোবলের পুনরুদ্ধার করার কাজটি দ্রুত শুরু করতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মহলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর করা না গেলে অপরাধীরা বারবার পরিস্থিতির সুযোগ নেবে, আর জনজীবনে নিরাপত্তার অভাব আরো গভীর সংকটে পরিণত হবে।

আমরা আশা করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নৈতিক সংকট কাটিয়ে পুনরায় পুর্নোদ্যমে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে, নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।

back to top