পথচারীদের নির্বিঘেœ হাঁটার জন্য সড়কগুলোতে ফুটপাতও থাকে। কিন্তু অনেক ফুটপাত দেখে বোঝার উপায় থাকে না যে সেটি রাস্তা নাকি দোকানপাট; কারণ সেটি থাকে হকারদের দখলে। কেবল যে হকাররাই ফুটপাত দখল করে তা নয়; অনেক স্থানে দিনের পর দিন নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা হয়, গাড়ি পার্কিং করা হয়, গড়ে তোলা হয় অস্থায়ী দোকানপাট। এরকম দৃশ্য দেশের সব জায়গাতেই কমবেশি দেখা যায়।
সিলেট নগরের ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে চাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ভাসমান ব্যাবসায়ীরা আর ফুটপাত ও সড়কে বসতে পারবে না।
পথচারীদের নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ চলাচলের জন্য ফুটপাত থাকার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সিলেট নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং সেটা টেকসই করাই আসল চ্যালেঞ্জ। সাময়িক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করলেও পুনর্দখলের প্রবণতা থেকে ফুটপাতগুলোকে রক্ষা করা না গেলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাত পুনর্দখল রোধের জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো দরকার।
হকারদের বিকল্প জীবিকার সুযোগও করে দিতে হবে। পরিকল্পিত পুনর্বাসন করা হলে হকারদের পুনরায় ফুটপাতে ফিরে আসার প্রবণতা কমতে পারে। ফুটপাতকে কেন্দ্র করে যাদের জীবন-জীবিকা তাদের জন্য বিকল্প বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, নাগরিক সুবিধা এবং শহরের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে একটি টেকসই ব্যবস্থা থাকতে হবে। ফুটপাত ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও থাকা জরুরি। পরিকল্পনার অভাবে পথচারীরা মূল সড়কে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন, যা একদিকে তাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে গাড়ির গতি কমিয়ে নগরীতে যানজটও তৈরি করছে।
আমাদের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফুটপাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সুবিধাকে দখলমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থান নেবে এবং নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পথচলার সুযোগ নিশ্চিত করবে।
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
পথচারীদের নির্বিঘেœ হাঁটার জন্য সড়কগুলোতে ফুটপাতও থাকে। কিন্তু অনেক ফুটপাত দেখে বোঝার উপায় থাকে না যে সেটি রাস্তা নাকি দোকানপাট; কারণ সেটি থাকে হকারদের দখলে। কেবল যে হকাররাই ফুটপাত দখল করে তা নয়; অনেক স্থানে দিনের পর দিন নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা হয়, গাড়ি পার্কিং করা হয়, গড়ে তোলা হয় অস্থায়ী দোকানপাট। এরকম দৃশ্য দেশের সব জায়গাতেই কমবেশি দেখা যায়।
সিলেট নগরের ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে চাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ভাসমান ব্যাবসায়ীরা আর ফুটপাত ও সড়কে বসতে পারবে না।
পথচারীদের নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ চলাচলের জন্য ফুটপাত থাকার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সিলেট নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং সেটা টেকসই করাই আসল চ্যালেঞ্জ। সাময়িক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করলেও পুনর্দখলের প্রবণতা থেকে ফুটপাতগুলোকে রক্ষা করা না গেলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাত পুনর্দখল রোধের জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো দরকার।
হকারদের বিকল্প জীবিকার সুযোগও করে দিতে হবে। পরিকল্পিত পুনর্বাসন করা হলে হকারদের পুনরায় ফুটপাতে ফিরে আসার প্রবণতা কমতে পারে। ফুটপাতকে কেন্দ্র করে যাদের জীবন-জীবিকা তাদের জন্য বিকল্প বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, নাগরিক সুবিধা এবং শহরের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে একটি টেকসই ব্যবস্থা থাকতে হবে। ফুটপাত ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও থাকা জরুরি। পরিকল্পনার অভাবে পথচারীরা মূল সড়কে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন, যা একদিকে তাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে গাড়ির গতি কমিয়ে নগরীতে যানজটও তৈরি করছে।
আমাদের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফুটপাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সুবিধাকে দখলমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থান নেবে এবং নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পথচলার সুযোগ নিশ্চিত করবে।