alt

সম্পাদকীয়

জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করুন

: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে সার প্রয়োগ করা হয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, নিয়ম না মেনে উচ্চ ফলনের আশায় কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মাটির উর্বরাশক্তি কমে যাচ্ছে। গত শতকের আশির দশক থেকে দেশে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ লক্ষণীয় হারে বাড়তে শুরু করে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বর্তমানে তা ৭৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাসায়নিক সারের ভালো বিকল্প হতে পারে জৈব পদ্ধতিতে চাষ। দেখা গেছে যে জৈব সার ও সবুজ সার ব্যবহারের পর জমিতে ভালো ফসল উৎপাদন হচ্ছে। কেঁচো সার সে রকমই একটি জৈব সার। এই সারে রয়েছে কেঁচোর মল, প্রচুর পরিমাণে হিউমাস ও নানা রকম পুষ্টি উপাদান। এখন দেশের কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সার।

আশার কথা হচ্ছে, রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈব সার, বিশেষ করে কেঁচো সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

প্রসঙ্গক্রমে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কথা বলা যায়। সেখানকার সাতটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা কেঁচো সার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কেঁচো সার ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। বর্তমানে দেশের অনেক স্থানে কম-বেশি প্রায় সব জায়গায় কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে। এর উৎপাদন খরচও তুলনামূলকভাবে কম। অপরদিকে রাসায়নিক সারের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। জৈব সার উৎপাদন করতে বাড়তি শ্রম দিতে হয় না।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কেঁচো সার ভালো কাজ করে থাকে। এই সার ব্যাবহার করে অধিক পরিমানে ফসল উৎপাদন করা যায়। কেঁচো সার ব্যাবহার করলে মাটির গুণাগুণ অক্ষুণœ থাকে এবং কৃষি জমির উর্বরতা বেড়ে যায়।

ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে জৈব কেঁচো সার ব্যবহার করার খবরটি ভালো। এর ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। দেখা গেছে, কেউ সার তৈরি করলেও শুধু যোগাযোগের অভাবে বিক্রি করতে পারছেন না। আবার কৃষকের কাছে এই সারের চাহিদা থাকলেও কোথায় তা পাওয়া যায়, সেই তথ্য না থাকায় তিনি তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা জরুরি বলে আমরা মনে করি।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করুন

বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে সার প্রয়োগ করা হয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, নিয়ম না মেনে উচ্চ ফলনের আশায় কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মাটির উর্বরাশক্তি কমে যাচ্ছে। গত শতকের আশির দশক থেকে দেশে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ লক্ষণীয় হারে বাড়তে শুরু করে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বর্তমানে তা ৭৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাসায়নিক সারের ভালো বিকল্প হতে পারে জৈব পদ্ধতিতে চাষ। দেখা গেছে যে জৈব সার ও সবুজ সার ব্যবহারের পর জমিতে ভালো ফসল উৎপাদন হচ্ছে। কেঁচো সার সে রকমই একটি জৈব সার। এই সারে রয়েছে কেঁচোর মল, প্রচুর পরিমাণে হিউমাস ও নানা রকম পুষ্টি উপাদান। এখন দেশের কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সার।

আশার কথা হচ্ছে, রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈব সার, বিশেষ করে কেঁচো সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

প্রসঙ্গক্রমে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কথা বলা যায়। সেখানকার সাতটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা কেঁচো সার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কেঁচো সার ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। বর্তমানে দেশের অনেক স্থানে কম-বেশি প্রায় সব জায়গায় কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে। এর উৎপাদন খরচও তুলনামূলকভাবে কম। অপরদিকে রাসায়নিক সারের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। জৈব সার উৎপাদন করতে বাড়তি শ্রম দিতে হয় না।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কেঁচো সার ভালো কাজ করে থাকে। এই সার ব্যাবহার করে অধিক পরিমানে ফসল উৎপাদন করা যায়। কেঁচো সার ব্যাবহার করলে মাটির গুণাগুণ অক্ষুণœ থাকে এবং কৃষি জমির উর্বরতা বেড়ে যায়।

ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে জৈব কেঁচো সার ব্যবহার করার খবরটি ভালো। এর ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। দেখা গেছে, কেউ সার তৈরি করলেও শুধু যোগাযোগের অভাবে বিক্রি করতে পারছেন না। আবার কৃষকের কাছে এই সারের চাহিদা থাকলেও কোথায় তা পাওয়া যায়, সেই তথ্য না থাকায় তিনি তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা জরুরি বলে আমরা মনে করি।

back to top