alt

সম্পাদকীয়

সার সংকটের অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

কৃষকের ফসল ফলানোর জন্য অত্যাবশকীয় একটি উপাদন হচ্ছে সার। কৃষকের সারা বছরই সারের প্রয়োজন পড়ে। কোনো কোনো ফসলের মৌসুমে সারের চাহিদা বাড়ে বৈ কমে না; কিন্তু সময়মতো যদি কৃষক এই সার সংগ্রহ করতে না পারে অথবা তাকে সেটা বাড়তি দামে কিনতে হয় তাহলে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হয়, উৎপাদন খরচও বাড়ে।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সার বিতরণ-বিপণনের নানান স্তরে অনিয়ম হচ্ছে। সেখানে অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতাদের সময়মত ও প্রয়োজন মতো সার দেওয়া হচ্ছে না। ডিলার নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তির নামে ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। ডিলাররা সার বাইরে অনৈতিকভাবে বিক্রি করেন। আর মৌসুমের সময় সার না পাওয়ায় কৃষকদেরকে সেটা চড়া দামে বাইরে থেকে কিনতে হয়।

ডিলার নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ডিলারশিপ কেন দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা জানতে চাইব। এ অনিয়মের কারণে সারের চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়েছে। মৌসুমের সময়ে কৃষকরা চাহিদামোতো সার পাবেন না, বা তাদের চাড়া মূল্যে সার কিনতে হবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।

আমরা বলতে চাই, সার বিক্রির প্রশ্নে কৃষকের স্বার্থকে অগ্রগণ্য করতে হবে। যে কোনো মূল্যে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তদারকি জোরদার করতে হবে। ডিলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নীতিমালা মানতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। ডিলারদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সার বিতরণে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয় থাকা চাই।

সারের কৃত্রিম সংকট দূর করা না গেলে কৃষকদের অবস্থা আরও নাজুক হতে পারে। সার সংকট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া গেলে কৃষকের ফসল উৎপাদনের পথে বড় একটা বাধা দূর হবে। এটা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও জরুরি। আমরা আশা করি, হবিগঞ্জের মাধবপুরে সার বিক্রি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা আমলে নেওয়া হবে এবং সেই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

সার সংকটের অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

কৃষকের ফসল ফলানোর জন্য অত্যাবশকীয় একটি উপাদন হচ্ছে সার। কৃষকের সারা বছরই সারের প্রয়োজন পড়ে। কোনো কোনো ফসলের মৌসুমে সারের চাহিদা বাড়ে বৈ কমে না; কিন্তু সময়মতো যদি কৃষক এই সার সংগ্রহ করতে না পারে অথবা তাকে সেটা বাড়তি দামে কিনতে হয় তাহলে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হয়, উৎপাদন খরচও বাড়ে।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সার বিতরণ-বিপণনের নানান স্তরে অনিয়ম হচ্ছে। সেখানে অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতাদের সময়মত ও প্রয়োজন মতো সার দেওয়া হচ্ছে না। ডিলার নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তির নামে ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। ডিলাররা সার বাইরে অনৈতিকভাবে বিক্রি করেন। আর মৌসুমের সময় সার না পাওয়ায় কৃষকদেরকে সেটা চড়া দামে বাইরে থেকে কিনতে হয়।

ডিলার নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ডিলারশিপ কেন দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা জানতে চাইব। এ অনিয়মের কারণে সারের চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়েছে। মৌসুমের সময়ে কৃষকরা চাহিদামোতো সার পাবেন না, বা তাদের চাড়া মূল্যে সার কিনতে হবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।

আমরা বলতে চাই, সার বিক্রির প্রশ্নে কৃষকের স্বার্থকে অগ্রগণ্য করতে হবে। যে কোনো মূল্যে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তদারকি জোরদার করতে হবে। ডিলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নীতিমালা মানতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। ডিলারদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সার বিতরণে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয় থাকা চাই।

সারের কৃত্রিম সংকট দূর করা না গেলে কৃষকদের অবস্থা আরও নাজুক হতে পারে। সার সংকট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া গেলে কৃষকের ফসল উৎপাদনের পথে বড় একটা বাধা দূর হবে। এটা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও জরুরি। আমরা আশা করি, হবিগঞ্জের মাধবপুরে সার বিক্রি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা আমলে নেওয়া হবে এবং সেই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

back to top