alt

সম্পাদকীয়

বর্জ্যে বিপন্ন করতোয়া

: শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

দেশে নদ-নদীর সংখ্যা কমছে। ভূমিদুস্য, বালুখেকো, নদীখেকোদের কারণে নদীগুলো মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীতে বালু, মাটি ভরাট করে, পার দখল করে এবং বর্জ্য ফেলে নদী শুকিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে।

বর্জ্য ফেলে নদী ধ্বংস করার একটা উদাহরণ হচ্ছে, বগুড়ার শেরপুর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা এক সময়ের খরস্রোতা নদী করতোয়া। ময়লা-আবর্জনার ভারে নদীটি এখন মৃতপ্রায়। বর্ষাকালে নদীতে পানি প্রবহমান থাকলেও বছরের বেশিরভাগ সময় থাকে শুষ্ক। নদীর প্রশস্ত সীমারেখা বোঝা গেলেও নদীতে পানির প্রবাহ এখন শীর্ণ নালার মতো। নদীর কোনো কোনো অংশ বর্জ্যরে কারণে ভরাট হয়ে ভাগাড়ে পরিণত হয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে সেতুর মাদ্রাসা গেট ঘাটপাড় গার্ডারে মরিচা পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে গার্ডারগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। আর নদীর বুকে অনেক জায়গায় চাষাবাদও হচ্ছে।

শেরপুর পৌরসভার বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে নদীতে। যদিও শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্ব শেরপুর পৌরসভার। বর্জ্যরে বিশাল স্তূপ নদীর মাঝ বরাবর চলে গেছে। নদীর দুই ধারে ভরাট করে গড়ে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও খাবারের দোকান। এতে জনস্বাস্থ্যও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

করতোয়া দখল ও দূষণ রোধে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। নদীর দূষণ রোধে সেখানে বর্জ্য না ফেলার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ। এ জন্য করতোয়া নদীতে বর্জ্য না ফেলার বিষয়টি তদারকির জন্য আদালত পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা উদাসীন।

আমরা বলতে চাই, করতোয়া নদীর দূষণ রোধে প্রশাসন ও পৌরসভাকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। নদীকে বর্জ্য ও দখল মুক্ত করে পানির প্রবাহ পূর্বের ন্যায় করতে হবে। সেখানে যাতে পুনরায় আর কেউ বর্জ্য ফেলতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। শেরপুরে একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হলে নদীতে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা কমতে পারে বলে আমরা আশা করতে চাই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এ প্রত্যাশা করি।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

বর্জ্যে বিপন্ন করতোয়া

শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

দেশে নদ-নদীর সংখ্যা কমছে। ভূমিদুস্য, বালুখেকো, নদীখেকোদের কারণে নদীগুলো মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীতে বালু, মাটি ভরাট করে, পার দখল করে এবং বর্জ্য ফেলে নদী শুকিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে।

বর্জ্য ফেলে নদী ধ্বংস করার একটা উদাহরণ হচ্ছে, বগুড়ার শেরপুর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা এক সময়ের খরস্রোতা নদী করতোয়া। ময়লা-আবর্জনার ভারে নদীটি এখন মৃতপ্রায়। বর্ষাকালে নদীতে পানি প্রবহমান থাকলেও বছরের বেশিরভাগ সময় থাকে শুষ্ক। নদীর প্রশস্ত সীমারেখা বোঝা গেলেও নদীতে পানির প্রবাহ এখন শীর্ণ নালার মতো। নদীর কোনো কোনো অংশ বর্জ্যরে কারণে ভরাট হয়ে ভাগাড়ে পরিণত হয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে সেতুর মাদ্রাসা গেট ঘাটপাড় গার্ডারে মরিচা পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে গার্ডারগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। আর নদীর বুকে অনেক জায়গায় চাষাবাদও হচ্ছে।

শেরপুর পৌরসভার বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে নদীতে। যদিও শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্ব শেরপুর পৌরসভার। বর্জ্যরে বিশাল স্তূপ নদীর মাঝ বরাবর চলে গেছে। নদীর দুই ধারে ভরাট করে গড়ে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও খাবারের দোকান। এতে জনস্বাস্থ্যও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

করতোয়া দখল ও দূষণ রোধে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। নদীর দূষণ রোধে সেখানে বর্জ্য না ফেলার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ। এ জন্য করতোয়া নদীতে বর্জ্য না ফেলার বিষয়টি তদারকির জন্য আদালত পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা উদাসীন।

আমরা বলতে চাই, করতোয়া নদীর দূষণ রোধে প্রশাসন ও পৌরসভাকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। নদীকে বর্জ্য ও দখল মুক্ত করে পানির প্রবাহ পূর্বের ন্যায় করতে হবে। সেখানে যাতে পুনরায় আর কেউ বর্জ্য ফেলতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। শেরপুরে একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হলে নদীতে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা কমতে পারে বলে আমরা আশা করতে চাই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এ প্রত্যাশা করি।

back to top