alt

সম্পাদকীয়

খেলনায় সিসা : শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে

: শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

শিশুরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তারা ভবিষ্যতের কর্ণধার। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে আমাদের শিশুরা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বেড়ে উঠছে। শিশুদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত পণ্য ও খেলনায় উচ্চমাত্রায় সিসাসহ বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে। এসব রাসায়নিক সরাসরি প্রভাব ফেলছে শিশুস্বাস্থ্যে। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এজডোর) এক গবেষণায় জানা গেছে এ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিসা একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন, কোন মাত্রাতেই এর সংস্পর্শে আসা নিরাপদ নয়। সিসার বিষক্রিয়া মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, শিক্ষা অর্জনকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভবিষ্যতের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করতে পারে।

বেশিরভাগ দেশে সিসার নিরাপদ সীমা ৯০ পিপিএম নির্ধারণ করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের বাজার থেকে সংগ্রহ করা ২৫০টি পণ্যের মধ্যে ১৫৭টি পণ্যেই সিসা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৫৯ শতাংশ পণ্যে ৯০ পিপিএমের অধিক মাত্রার সিসা রয়েছে, যাতে ১৩৭০ পিপিএম মাত্রা পর্যন্ত সিসার উপস্থিতি পাওয়া যায়। সিসার পাশাপাশি ক্ষতিকর মাত্রায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, বেরিয়াম ও পারদও আছে এসব পণ্যে।

শিশুরা খেলনার মাধ্যমে শুধু মজাই করে না, বরং শিক্ষাও গ্রহণ করে। খেলনা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলনাগুলোতে থাকা সিসার মতো ক্ষতিকর পদার্থ শিশুদের বিকাশে চিরস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। এসব বিষাক্ত উপাদান শিশুর দেহে জমে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদে জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। নিরাপদভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতে খেলনাগুলো সিসামুক্ত হওয়া জরুরি।

শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। বাজারে নিরাপদ ও সিসামুক্ত খেলনা নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর মনিটরিং ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। প্রতিটি পণ্যের স্বাস্থ্যঝুঁকি পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং উচ্চমাত্রার সিসাযুক্ত পণ্যগুলো বাজার থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আইনানুযায়ী নির্দিষ্ট মানদ-ে সিসার মাত্রা নির্ধারণ করে বাজারে বিপণনযোগ্য পণ্যগুলোতে সঠিক তদারকি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা ও সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার। শিশুরা যেন ক্ষতিকর উপাদানসমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার না করে, সেই বিষয়ে পরিবারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে খেলনা নির্বাচনে সঠিক মান এবং নিরাপত্তার বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

খেলনায় সিসা : শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে

শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

শিশুরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তারা ভবিষ্যতের কর্ণধার। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে আমাদের শিশুরা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বেড়ে উঠছে। শিশুদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত পণ্য ও খেলনায় উচ্চমাত্রায় সিসাসহ বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে। এসব রাসায়নিক সরাসরি প্রভাব ফেলছে শিশুস্বাস্থ্যে। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এজডোর) এক গবেষণায় জানা গেছে এ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিসা একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন, কোন মাত্রাতেই এর সংস্পর্শে আসা নিরাপদ নয়। সিসার বিষক্রিয়া মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, শিক্ষা অর্জনকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভবিষ্যতের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করতে পারে।

বেশিরভাগ দেশে সিসার নিরাপদ সীমা ৯০ পিপিএম নির্ধারণ করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের বাজার থেকে সংগ্রহ করা ২৫০টি পণ্যের মধ্যে ১৫৭টি পণ্যেই সিসা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৫৯ শতাংশ পণ্যে ৯০ পিপিএমের অধিক মাত্রার সিসা রয়েছে, যাতে ১৩৭০ পিপিএম মাত্রা পর্যন্ত সিসার উপস্থিতি পাওয়া যায়। সিসার পাশাপাশি ক্ষতিকর মাত্রায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, বেরিয়াম ও পারদও আছে এসব পণ্যে।

শিশুরা খেলনার মাধ্যমে শুধু মজাই করে না, বরং শিক্ষাও গ্রহণ করে। খেলনা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলনাগুলোতে থাকা সিসার মতো ক্ষতিকর পদার্থ শিশুদের বিকাশে চিরস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। এসব বিষাক্ত উপাদান শিশুর দেহে জমে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদে জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। নিরাপদভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতে খেলনাগুলো সিসামুক্ত হওয়া জরুরি।

শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। বাজারে নিরাপদ ও সিসামুক্ত খেলনা নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর মনিটরিং ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। প্রতিটি পণ্যের স্বাস্থ্যঝুঁকি পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং উচ্চমাত্রার সিসাযুক্ত পণ্যগুলো বাজার থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আইনানুযায়ী নির্দিষ্ট মানদ-ে সিসার মাত্রা নির্ধারণ করে বাজারে বিপণনযোগ্য পণ্যগুলোতে সঠিক তদারকি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা ও সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার। শিশুরা যেন ক্ষতিকর উপাদানসমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার না করে, সেই বিষয়ে পরিবারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে খেলনা নির্বাচনে সঠিক মান এবং নিরাপত্তার বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

back to top