alt

সম্পাদকীয়

পাখির বাসস্থান সংরক্ষণে চাই সামাজিক উদ্যোগ

: রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাখি। নগরায়ন ও বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে পাখিদের বাসস্থান সংকুচিত হচ্ছে। টাঙ্গাইলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাখিদের জন্য অর্ধশতাধিক গাছে মাটির হাঁড়ি স্থাপন করেছে। এই উদ্যোগ আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

অপরিকল্পতি নগরায়ন ও নির্বিচারে বনাঞ্চল কেটে মানববসতি গড়ে তোলার কারণে পাখির বাসস্থান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নানা কারণে শহরাঞ্চলে গাছের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে লোকালয়ে বাস করে যেসব পাখি তাদের বাসস্থান সংকট প্রকট হয়েছে। ফলে এরা নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও অতিরিক্ত দূষণও পাখিদের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাখি না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা পরোক্ষভাবে আমাদের জীবনকেও বিপন্ন করে তুলতে পারে।

টাঙ্গাইলে যেভাবে মাটির হাঁড়ি স্থাপন করে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করছেন, তা একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। এই মাটির হাঁড়ি ঝড়-বৃষ্টি ও শীত থেকে পাখিদের রক্ষা করতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি এদের প্রজননেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পাখি সংরক্ষণ ও রক্ষায় সমাজে এমন আরও অনেক উদ্যোগের প্রয়োজন। আশাকরি, টাঙ্গাইলের এই উদ্যোগ অন্যান্য অঞ্চলের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে। পাখিরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

পাখি রক্ষায় নগর ও গ্রামাঞ্চলে গাছ লাগাতে হবে, যাতে প্রাকৃতিক বাসস্থান তৈরির সুযোগ পায় পাখিরা। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নীতি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। বনভূমি সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমাতে আমাদের সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন। বনাঞ্চল ও গাছপালা রক্ষায় প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সরকারি পর্যায়ে বন রক্ষার আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকর করতে হবে, পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। পাখি রক্ষায় শুধু সরকারি নয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়েও এগিয়ে আসার প্রয়োজন আছে। পাখি আমাদের জীববৈচিত্র্যের অংশ, তাদের রক্ষা করতে পারলেই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় আমরা ভূমিকা রাখতে পারব।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

tab

সম্পাদকীয়

পাখির বাসস্থান সংরক্ষণে চাই সামাজিক উদ্যোগ

রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাখি। নগরায়ন ও বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে পাখিদের বাসস্থান সংকুচিত হচ্ছে। টাঙ্গাইলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাখিদের জন্য অর্ধশতাধিক গাছে মাটির হাঁড়ি স্থাপন করেছে। এই উদ্যোগ আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

অপরিকল্পতি নগরায়ন ও নির্বিচারে বনাঞ্চল কেটে মানববসতি গড়ে তোলার কারণে পাখির বাসস্থান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নানা কারণে শহরাঞ্চলে গাছের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে লোকালয়ে বাস করে যেসব পাখি তাদের বাসস্থান সংকট প্রকট হয়েছে। ফলে এরা নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও অতিরিক্ত দূষণও পাখিদের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাখি না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা পরোক্ষভাবে আমাদের জীবনকেও বিপন্ন করে তুলতে পারে।

টাঙ্গাইলে যেভাবে মাটির হাঁড়ি স্থাপন করে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করছেন, তা একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। এই মাটির হাঁড়ি ঝড়-বৃষ্টি ও শীত থেকে পাখিদের রক্ষা করতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি এদের প্রজননেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পাখি সংরক্ষণ ও রক্ষায় সমাজে এমন আরও অনেক উদ্যোগের প্রয়োজন। আশাকরি, টাঙ্গাইলের এই উদ্যোগ অন্যান্য অঞ্চলের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে। পাখিরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

পাখি রক্ষায় নগর ও গ্রামাঞ্চলে গাছ লাগাতে হবে, যাতে প্রাকৃতিক বাসস্থান তৈরির সুযোগ পায় পাখিরা। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নীতি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। বনভূমি সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমাতে আমাদের সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন। বনাঞ্চল ও গাছপালা রক্ষায় প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সরকারি পর্যায়ে বন রক্ষার আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকর করতে হবে, পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। পাখি রক্ষায় শুধু সরকারি নয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়েও এগিয়ে আসার প্রয়োজন আছে। পাখি আমাদের জীববৈচিত্র্যের অংশ, তাদের রক্ষা করতে পারলেই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় আমরা ভূমিকা রাখতে পারব।

back to top