alt

সম্পাদকীয়

ভালুকার বনাঞ্চল রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা প্রয়োজন

: শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকার কাদিগড় জাতীয় উদ্যান এবং তার আশপাশের বনাঞ্চলে অবৈধ করাতকল স্থাপন ও গাছ নিধনের বিপজ্জনক প্রবণতা প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। শতাধিক অবৈধ করাতকল রাত-দিন সরকারি শাল-গজারি এবং আকাশমনি গাছ নির্বিচারে চেরাই করে চলেছে। এ পরিস্থিতির কারণে একদিকে বনজ সম্পদ যেমন দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্যও ব্যাপক হুমকির মুখে পড়েছে। এতে শুধু ভালুকা নয়, সারা দেশের জলবায়ু এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কাদিগড় জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার পর এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য এবং পর্যটন উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। বন আইনের আওতায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন নিষিদ্ধ, তবুও সরকারি নির্দেশনা এবং বন সংরক্ষণ আইনকে অবজ্ঞা করে দুই কিলোমিটারের মধ্যে গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মদদে এবং বনবিভাগের উদাসীনতায় এ অবৈধ কার্যক্রম নির্বিঘেœ চলছে।

এ ধরনের পরিস্থিতি পরিবেশগত ভারসাম্যকে ধ্বংস করার পাশাপাশি স্থানীয় জীববৈচিত্র্যকেও ব্যাপক হুমকির মুখে ফেলছে। ইতোমধ্যে লজ্জাবতী বানর, মেছোবাঘের মতো বিরল প্রাণী হুমকির সম্মুখীন। গাছ কাটা এবং অবৈধ কাঠ পাচারের কারণে উদ্যানের ভেতরে ও আশপাশে প্রাণিসম্পদ হারাচ্ছে তাদের স্বাভাবিক আবাসস্থল, যার ফলে পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বারবার এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, ভালুকার বনাঞ্চল সুরক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এই অবৈধ করাতকল বন্ধে বনবিভাগকে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে একটি স্থায়ী মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাপার মতো সংগঠনগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় একটি টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করে অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ভালুকার বনাঞ্চল শুধু একটি এলাকার সম্পদ নয়; এটি দেশের পরিবেশ ও জলবায়ুর সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বনজ সম্পদ ধ্বংস রোধে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া ভালুকার বনাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

tab

সম্পাদকীয়

ভালুকার বনাঞ্চল রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা প্রয়োজন

শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকার কাদিগড় জাতীয় উদ্যান এবং তার আশপাশের বনাঞ্চলে অবৈধ করাতকল স্থাপন ও গাছ নিধনের বিপজ্জনক প্রবণতা প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। শতাধিক অবৈধ করাতকল রাত-দিন সরকারি শাল-গজারি এবং আকাশমনি গাছ নির্বিচারে চেরাই করে চলেছে। এ পরিস্থিতির কারণে একদিকে বনজ সম্পদ যেমন দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্যও ব্যাপক হুমকির মুখে পড়েছে। এতে শুধু ভালুকা নয়, সারা দেশের জলবায়ু এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কাদিগড় জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার পর এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য এবং পর্যটন উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। বন আইনের আওতায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন নিষিদ্ধ, তবুও সরকারি নির্দেশনা এবং বন সংরক্ষণ আইনকে অবজ্ঞা করে দুই কিলোমিটারের মধ্যে গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মদদে এবং বনবিভাগের উদাসীনতায় এ অবৈধ কার্যক্রম নির্বিঘেœ চলছে।

এ ধরনের পরিস্থিতি পরিবেশগত ভারসাম্যকে ধ্বংস করার পাশাপাশি স্থানীয় জীববৈচিত্র্যকেও ব্যাপক হুমকির মুখে ফেলছে। ইতোমধ্যে লজ্জাবতী বানর, মেছোবাঘের মতো বিরল প্রাণী হুমকির সম্মুখীন। গাছ কাটা এবং অবৈধ কাঠ পাচারের কারণে উদ্যানের ভেতরে ও আশপাশে প্রাণিসম্পদ হারাচ্ছে তাদের স্বাভাবিক আবাসস্থল, যার ফলে পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বারবার এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, ভালুকার বনাঞ্চল সুরক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এই অবৈধ করাতকল বন্ধে বনবিভাগকে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে একটি স্থায়ী মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাপার মতো সংগঠনগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় একটি টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করে অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ভালুকার বনাঞ্চল শুধু একটি এলাকার সম্পদ নয়; এটি দেশের পরিবেশ ও জলবায়ুর সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বনজ সম্পদ ধ্বংস রোধে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া ভালুকার বনাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

back to top